ব্যবসা
প্রথমবার এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করল সরকার
ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রির লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করে দিল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হিসেবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৯৭৫ টাকা এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান এলপি গ্যাস কোম্পানি লি. এর সাড়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৫৯১ টাকা নির্ধারণ করে বিইআরসি।
সোমবার বিইআরসি চেয়ারম্যান মো আব্দুল জলিল ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সৌদির চুক্তি মূল্যের (সিপি) ওপর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত মূল্য আজ থেকেই কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়।
আরও পড়ুন: রমজানে নকল-ভেজালের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা : শিল্পমন্ত্রী
এতদিন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সিলিন্ডার প্রতি ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা এবং সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সিলিন্ডার প্রতি ৭০০ টাকার অধিক গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করছিল।
আরও পড়ুন: রূপকল্প ২০৪১-এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের তাগিদ শিল্পমন্ত্রীর
জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে নিজেদের অফিস এবং কার্যক্রম না থাকায় এই মূল্য নির্ধারণ নিশ্চিত করা কঠিন হবে বলে জানান বিইআরসি প্রধান।
আরও পড়ুন: সরকারি ক্রয়ে এসএমই খাতের জন্য কোটা নির্ধারণের চেষ্টা চলছে: শিল্পমন্ত্রী
সোশ্যাল মিডিয়া কমার্সে তরুণ উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বাড়ছে: প্রতিমন্ত্রী
সোশ্যাল মিডিয়া কমার্সে তরুণ উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ‘এফ-কমার্সেরক্ষেত্রে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ক্রমেই উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্তত ৪ লাখ নতুন উদ্যোক্তা এফ-কমার্সের সাথে যুক্ত আছেন, তাদের জন্য এবং স্টার্ট আপ বিজনেসের সাথে যুক্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক ৪ শতাংশ সুদে স্বল্প ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে। ’
রবিবার ‘রুরাল টু গ্লোবাল ই-কমার্স পলিসি কনফারেন্স ২০২১’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনলাইন ইনফ্রাস্ট্রাকচারে রেগুলেশনের সাথে ডিরেগুলেশনের ব্যাপারটিও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে যাতে করে নতুন উদ্ভাবনের সুযোগ তৈরি হতে পারে। গ্লোবাল ই-কমার্সের প্ল্যাটফর্মে ১৬ টি ডমিনো ইফেক্ট ইস্যুকে লক্ষ্য রেখে সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। এভাবেই বাংলাদেশ গ্লোবালি তার অবস্থান শক্ত করতে সমর্থ হবে।
আরও পড়ুন: ‘ট্যুর ফর সোশ্যাল গুডস’ পর্যটন খাতকে জাগিয়ে তুলবে: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
তিনি করোনাকালীন ই-ক্যাবের কর্মসূচির প্রশংসা করেন এবং সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন।
ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে এটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী, বিল্ডের সিইও ফেরদৌস আরা বেগম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসোসিয়েট প্রফেসর বিএম মাইনুল হাসান এবং ধামাকা শপের এমডি জসিম উদ্দীন চিশতিসহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ২০২১ সালের মধ্যে অনলাইনে আসবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক ৪০টি সার্ভিস: পলক
আরও পড়ুন: ২০২১ সালের মধ্যে অনলাইনে আসবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক ৪০টি সার্ভিস: পলক
রমজানে নকল-ভেজালের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা : শিল্পমন্ত্রী
পবিত্র রমজান মাসে নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্য সরবরাহরোধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
তিনি বলেন, ‘আসন্ন রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো অভাব হবে না। আমাদের চিনি ও লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। যদি কেউ কারসাজির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
পবিত্র রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মাননিয়ন্ত্রণে বিএসটিআই’র গৃহীত বিশেষ কার্যক্রম ও চিনির বাজারস্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) চিনি বিক্রয় কার্যক্রম সম্পর্কে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পবিত্র রমজান মাসে জনগণ যাতে মানসম্মত পণ্য ক্রয় ও ব্যবহার করতে পারে, সে লক্ষ্যে বিভিন্ন মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ-প্রচার করা হচ্ছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: সরকারি ক্রয়ে এসএমই খাতের জন্য কোটা নির্ধারণের চেষ্টা চলছে: শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিএসটিআই কর্তৃক আকস্মিকভাবে পরিচালিত অভিযানগুলোতে বিশেষ করে রোজাদাররা সচরাচর যে সব খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করে থাকেন এবং ইফতার সামগ্রীর উপর বিশেষ নজর রাখা হবে।
তিনি বলেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী চক্র কারসাজি করে সরকারের কার্যক্রমে বাধাগ্রস্থ করে। কোভিডকালীন সময়ে আমাদের সরকার এর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে তিনি প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএসএফআইসি’র প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি ৬৮/-(আটষট্টি) টাকা এবং মিল এলাকায় খোলা চিনি কেজি প্রতি ৬৩/-(তেষট্টি) টাকা দরে বিক্রয় হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিম্নমানের ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য সরবরাহরোধে বিএসটিআই কর্তৃক সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হবে।
আরও পড়ুন: রূপকল্প ২০৪১-এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের তাগিদ শিল্পমন্ত্রীর
সিন্ডিকেটের মাধ্যমের পণ্যের কৃত্রিম সংকট যাতে সৃষ্টি না করতে পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী করোনার এই মহামারীতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।
সংবাদ সম্মেলনে জুলাই ২০২০ হতে মার্চ ২০২১ পার্যন্ত বিএসটিআই কর্তৃক মাননিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত গৃহিত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশিয় ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে: শিল্পমন্ত্রী
শিল্পসচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) লুৎফুন নাহার বেগম ও মো. সেলিম উদ্দিন (অ:দা: মান নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবসা সহায়তা), বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ড. মো. নজরুল আনোয়ার ও বিএসএফআইসি চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান অপুসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার প্রধানরা ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।
‘ঘরে থাকাই নিরাপদ, ই-কমার্সই ভবিষ্যৎ’ জানাল ই-ক্যাব
বৃহস্পতিবার ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
হাইকমিশনের উদ্যোগে মালয়েশিয়াতে বিএডিসি’র আলু রপ্তানি
কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক উৎপাদিত আলু মালয়েশিয়াতে রপ্তানি করা শুরু হয়েছে।
বিএডিসি এ পর্যন্ত ৪টি কনটেইনারের মাধ্যমে মোট ১১১ মেট্টিক টন ডায়মন্ড জাতের আলু মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করেছে। বিএডিসি’র ইতিহাসে এটাই সর্বপ্রথম আলু রপ্তানি।
আরও পড়ুন: পশ্চিমা বিশ্বের মতো উন্নত হবে বাংলাদেশের কৃষি: মন্ত্রী
বাংলাদেশ হাইকমিশন, কুয়ালালামপুর মনে করে, আলু রপ্তানিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের মতো একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ নিঃসন্দেহে একটি মাইলফলক, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে এক নবদিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
বিএডিসি’র মানসম্মত বীজ আলু উৎপাদন, সংরক্ষণ ও কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় চুক্তিবদ্ধ চাষ বা কনট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে ডায়মন্ড জাতের উন্নতমানের এ আলু উৎপাদিত হয়েছে। রপ্তানিকৃত এ আলু বগুড়া, পঞ্চগড় ও সিরাজগঞ্জ থেকে সরবরাহ করা হয়েছে।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ন্যানো গ্রুপ ও বিএডিসি’র মধ্যে আলু উৎপাদন ও রপ্তানি বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী মালয়েশিয়ার আমদানিকারক কোম্পানি মাইডিন মালয়েশিয়া, চিন হুয়াত ট্রেডিং ও টেনবিলি গ্রুপ এ আলু আমদানি করে।
আরও পড়ুন: কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতে বেসরকারি শিল্পোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
মালয়েশিয়া প্রতিবছর প্রায় একশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের আলু আমদানি করে থাকে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি আলু আমদানি করে চীন থেকে। মালয়েশিয়ার অন্যান্য প্রধান আলু আমদানিকারক দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া।
এর আগে, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আলু রপ্তানি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ পটেটো এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল মালয়েশিয়া সফর করে। প্রতিনিধিদলকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাণিজ্যিক উইং মালয়েশিয়ার প্রধান প্রধান আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সভায় মিলিত হয় এবং আমদানিকারকদের চাহিদা মোতাবেক উৎকৃষ্ট মানের আলু সরবরাহের নিশ্চয়তা দেয়।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে গবেষণায় গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ ২০১৯-২০ অর্থবছরে মালয়েশিয়াতে মোট ৯.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আলু রপ্তানি করে। এর ফলে মালয়েশিয়াতে আলু রপ্তানি পূর্ববর্তী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়।
মালয়েশিয়াতে আলুর পাশাপাশি অন্যান্য কৃষিপণ্য রপ্তানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের কৃষিপণ্য রপ্তানি পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ মিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। কৃষিপণ্যের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশের বাঁধাকপি রপ্তানি উল্লেখযোগ্য্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষিপণ্যের সাথে সাথে অন্যান্য প্রচলিত ও অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানি সম্প্রসারণে বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ডেইলি শপিংয়ে বেশি কেনাকাটায় মিলবে আকর্ষণীয় পুরস্কার
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের জনপ্রিয় রিটেইল চেইনশপ ‘ডেইলি শপিংয়ে শুরু হয়েছে ‘কাস্টমার চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২১’ ক্যাম্পেইন। এর আওতায় ক্রেতারা ক্যাম্পেইন চলাকালীন তিন মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কেনাকাটা করলে পাবেন নিশ্চিত পুরস্কার।
১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ক্যাম্পেইনটি চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: হিরো বাংলাদেশ এখন দারাজে
পুরস্কার হিসাবে আড়াই লাখ টাকার কেনাকাটার জন্য থাকছে ভিশন ৩২ ইঞ্চি এলইডি টেলিভিশন, দুই লাখ টাকার জন্য ভিশন হট এন্ড ওয়ার্ম ওয়াটার পিউরিফায়ার, দেড় লাখ টাকার জন্য ভিশন ইলেকট্রিক ওভেন, ৯০ ও ৭৫ হাজার টাকার জন্য যথাক্রমে তিন হাজার ৬০০ টাকা ও তিন হাজার টাকার ক্যাশ ভাউচার।
যতজন ক্রেতা উল্লেখিত পরিমাণ পণ্য কিনবেন, ততজনই পুরস্কার পাবেন। একজন ক্রেতা একাধিক পুরস্কারও পেতে পারেন।
ডেইলি শপিংয়ের জেনারেল ম্যানেজার গালিব ফাররোখ বখত্ বলেন, ‘আমাদের ডেইলি শপিংয়ের শোরুমগুলো অধিকাংশই আবাসিক এলাকার কাছাকাছি যেন ক্রেতারা হাতের নাগালে সব ধরনের পণ্য ন্যায্যমূল্যে ক্রয়ের সুযোগ পান। আমাদের প্রচুর ক্রেতা রয়েছেন যারা পুরো মাসের বাজারসহ প্রয়োজনীয় সব পণ্যই ডেইলি শপিং থেকে কিনে থাকেন। আমরা মনে করি, এই ক্যাম্পেইনের ফলে সেসকল ক্রেতার পাশাপাশি নতুন ক্রেতারাও ডেইলি শপিং থেকে কেনাকাটা করতে আরও বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন।’
আরও পড়ুন:সুপার স্টারের পণ্য যাবে পেপারফ্লাইয়ে
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশে সাত দিনের লকডাউন জারি করা হয়েছে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় কেনাকাটার জন্য সরকার নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ডেইলি শপিং খোলা থাকছে। এছাড়া আমরা ক্রেতাদের সুবিধার জন্য হোম ডেলিভারির পরিসরও বাড়িয়েছে। ক্রেতারা নিজ নিজ এলাকায় থাকা ডেইলি শপিংয়ের শোরুমে ফোন দিয়ে পণ্যের অর্ডার করতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: লকডাউনের খবরে বাজারে ক্রেতাদের ভিড়
ডেইলি শপিংয়ের ব্র্যান্ড ম্যানেজার ওমর ফারুক জানান, বর্তমানে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ডেইলি শপিং এর ৪৯টি শোরুম চালু রয়েছে। এসব শোরুম থেকে চাল, ডাল, চিনি, দুধ, ঘি, মসলা, টয়লেট্রিজ পণ্য, শিশু খাদ্য, বেভারেজ, পার্সোনাল কেয়ার, ইলেকট্রনিকস ও হাউজওয়্যার পণ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারছেন ক্রেতারা।
নববর্ষ উদযাপন: দারাজের ‘বৈশাখী মেলা’ ক্যাম্পেইন
পহেলা বৈশাখের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে টানা পঞ্চমবারের মতো দারাজ আয়োজন করেছে ‘বৈশাখী মেলা’ ক্যাম্পেইন। ‘জাগো বাঙালি বর্ষবরণের আনন্দে’ শীর্ষক শ্লোগান নিয়ে ৪ এপ্রিল দারাজ প্ল্যাটফর্মে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনটি চলবে চলতি মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত।
রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রাহকদের চাহিদার সাথে মিল রেখে ফ্যাশন ও বিউটি এবং স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে গ্রোসারি, টেলিভিশন এবং স্মার্টফোন পর্যন্ত একাধিক ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন অসধারণ ডিল দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো ক্যাম্পেইনটি। বৈশাখী কালেকশন যেমন- শাড়ি, পাঞ্জাবি ও অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী পণ্যগুলোর উপর থাকা বিশেষ ছাড় ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ক্রেতাদের সর্বাধিক সন্তুষ্টির জন্য এই ক্যাম্পেইনে রয়েছে অসংখ্য আকর্ষণীয় ডিল। এর মধ্যে আছে ব্র্যান্ড ডাবল টাকা ভাউচার, মেগা ডিলস, গেস অ্যান্ড গেট ইট ফ্রি, ১৪২৮ টাকা ডিলস, ব্র্যান্ড ফ্রি শিপিং এবং মেগা ভাউচার।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে দারাজের ‘রোড শো’
এছাড়াও দারাজের নতুন গ্রাহকরা তাদের অর্ডারের উপর পাচ্ছেন বিশেষ ছাড়।
এই ক্যাম্পেইনের আওতায় ৫টি সেরা ডিল হচ্ছে- স্যামসাং ৪৩″ আরইউ৭১০০ ৪কে ইউএইচডি স্মার্ট এলইডি টিভি (৪১,৮৫০ টাকা); শার্প ইলেকট্রিক ওভেন, ইও-৬০এনকে (১১,৮৩৯ টাকা); উইমেন’স রেড কালার হাফ সিল্ক শাড়ি (৮০০ টাকা); ড্যানিয়েল ক্লেইন ডিকে১২১৩৪-৫ রিস্ট ওয়াচ ফর মেন (৩,৯০৬ টাকা); ও শাওমি এমআই রেডমি এয়ারডটস ট্রু ওয়্যারলেস ইয়োথ থ্রিডি স্টেরিও ব্লুটুথ ইয়ারফোন (৯৫৪ টাকা)।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে দারাজের আকর্ষণীয় অফার
ক্যাম্পেইনটির কো-স্পন্সর হিসেবে রয়েছে বাটা, ডেটল, লাইজল, স্টুডিওএক্স, সানসিল্ক ও শাওমি। ব্র্যান্ড পার্টনার হিসেবে রয়েছে ইমামি, ফোকালিউর, হারপিক, লিভিংটেক্স, প্যারাসুট ন্যাচারাল শ্যাম্পু, রিবানা, শেভারশপ বাংলাদেশ ও টিপিলিংক। দারাজের এই বৈশাখী মেলা ক্যাম্পেইনটির ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে আছে বিঞ্জ, এক্সট্রা গিফট কার্ড, ঘুড়ি লার্নিং এবং লিংক থ্রি।
ক্রেতাদের কেনাকাটার সুবিধার কথা মাথায় রেখে দারাজ অফার করছে বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট পার্টনারদের মাধ্যমে ডিস্কাউন্ট ও ক্যাশব্যাক অফার। পেমেন্ট পার্টনারের মধ্যে রয়েছে বিকাশ, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক।
আরও পড়ুন: হিরো বাংলাদেশ এখন দারাজে
এর আগে, চলতি বছর ৩১ মার্চ দারাজ এক সংবাদ সম্মেলনে এই ক্যাম্পেইনটি ঘোষণা করে। দারাজের ক্যাম্পেইন অ্যাম্বাসেডর তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল-হাসান দারাজ ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে এই ক্যাম্পেইনটি উন্মোচন করেন।
লকডাউনের খবরে বাজারে ক্রেতাদের ভিড়
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশব্যাপী সাতদিনের লকডাউনের খবরে রাজধানীর বাজারগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামী সোমবার থেকে সারা দেশে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার।
শনিবার ক্ষমতসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তবে এক ভিডিও বার্তায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, দুই-তিন দিনের মধ্যেই দেশব্যাপী সাত দিনের লকডাউন শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব ধরনের সরকারি বেসরকারি-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্পকারখানা খোলা থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যে শিল্পকারখানা খোলা থাকবে, সেখানে একাধিক শিফট করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রমিকরা যাতে কাজ করেন তা নিশ্চিত করতে হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী- মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়েছে। তবে কমেছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৮ জন। এ নিয়ে মোট মারা গেলেন ৯ হাজার ২১৩ জন।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ হাজার ৬৮৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ৩০ হাজার ২৭৭ জনে পৌঁছেছে।
ক্রেতারা বলেছেন, তারা লকডাউন এবং রমজান মাসে খাদ্য সংকটের কথা মাথায় রেখে বাড়তি পণ্য কিনছেন।
বনশ্রী এলাকার বাসিন্দা কবীর হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ফের লকডাউন শুরু হচ্ছে। বাজারে প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে। এজন্য আমি আজ বিভিন্ন ধরনের পণ্য কিনেছি।’
তিনি জানান, এক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি সবজির দাম ৫-১০ টাকা, মোটা চাল এবং ভোজ্যতেল এক থেকে ২ টাকা বেড়েছে।
‘আজ আমি পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন কিনলাম ৬৫০ টাকায়। এ ছাড়া পটল, ঢেঁড়স এবং বেগুন কেজি প্রতি ৬০ টাকা দামে কিনেছি, যা ৫-১০ টাকা বেড়েছে,’ বলেন তিনি।
কবীর সরকারি সংস্থাগুলোকে যথাযথভাবে বাজার মনিটরিংয়ের অনুরোধ জানান, যাতে সরকার প্রদত্ত তালিকার বাইরে ব্যবসায়ীরা পণ্য বিক্রি করতে না পারে।
বিক্রেতারা জানান, চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সবজি, চাল এবং ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে।
মেরাদিয়া কাঁচাবাজারের দোকানদার সৈকত আলী জানান, লকডাউন ঘোষণার পর শনিবার গ্রাহকদের ভিড় বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা প্রতি কেজি মোটা চাল ৪৫-৫০ টাকায় এবং চিকন চাল ৫৮-৬৫ টাকায় বিক্রি করছি। এছাড়া খোলা সয়াবিন ১১০ টাকায় এবং পাম তেল ১১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। সরবরাহ কম থাকার কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে।’
রাষ্ট্র পরিচালিত সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোটা চালের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২.২০ শতাংশ এবং পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিনের দাম ০.৭৯ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা করে কমেছে। যা আগের সপ্তাহে ১৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। তবে আগের মাসে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১২০-১৩০ টাকা কেজি দরে।
দেশব্যাপী ‘সাজগোজ’ এর প্রসাধন সামগ্রী ডেলিভারি করবে ‘পেপারফ্লাই’
প্রত্যেকেই চায় সুন্দর হতে। বিশেষত, নারীরা একটু বেশিই সোন্দর্য পিয়াসী। সৌন্দর্যের প্রতি তাদের এই আকর্ষণ ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নানারকম পণ্যের উপর তাদের নির্ভরশীলতা বাজারে প্রসাধন সামগ্রীর একটি বড় চাহিদা তৈরি করেছে।
‘সাজগোজ’ একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, যা নানারকম জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের নির্ভরযোগ্য প্রসাধন সামগ্রী বিপণন করে। এখন থেকে ‘পেপারফ্লাই’, বাংলাদেশে তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী ডেলিভারি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে এসকল প্রসাধন সামগ্রী পৌঁছে দেবে।
আরও পড়ুন:স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে দারাজের ‘রোড শো’
সম্প্রতি ‘সাজগোজ’ এর প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা মিল্কি মাহমুদ এবং ‘পেপারফ্লাই’ - এর পক্ষ থেকে মহাব্যবস্থাপক বিপণন, রিয়াজ উদ্দিন খান ও মোহাম্মদ সাজ্জাদুল ইসলাম ফাহমি এই সম্পর্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ‘পেপারফ্লাই’ ।
এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ‘সাজগোজ’ এর সিআরএম ও রিটেইল পরিচালনা প্রধান আজমেরি বিনতে রাজ্জাক, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী হিসাবরক্ষক অপূর্ব মন্ডল, ভারপ্রাপ্ত ফুলফিলমেন্ট কর্মকর্তা নাইম এবং ‘পেপারফ্লাই’এর সহকারী ব্যবস্থাপক ওলি উর রেজা, সহকারি ব্যবস্থাপক মাকসুদা আকতার তন্নি।
আরও পড়ুন: সুপার স্টারের পণ্য যাবে পেপারফ্লাইয়ে
কেশ পরিচর্যার প্রসাধনী থেকে শুরু করে, ব্যক্তিগত পরিচর্যা ও ত্বক পরিচর্যা সামগ্রী, মেক-আপ সামগ্রী সবকিছুই ‘সাজগোজ’ এ পাওয়া যায়। পন্ডস, নিউট্রেজেনা, ট্রেসেমি, বডিশপসহ নানা ব্র্যান্ডের প্রসাধনী রয়েছে তাদের ওয়েবসাইটে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তাদের প্রতিটি পণ্যই আসল এবং নির্ভরযোগ্য।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে ফেয়ার মার্ট এর পণ্য পৌঁছে দেবে পেপারফ্লাই
২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ‘পেপারফ্লাই’ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় লজিস্টিক সলিউশন সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠান। গত ৫ বছরে প্রতিষ্ঠানটি স্মার্ট রিটার্ন, স্মার্ট চেক, স্মার্ট লগ, ইন-অ্যাপ কল এবং ক্যাশলেস পে ফিচার চালু করেছে। এছাড়াও সম্প্রতি তারা তাদের সেলারওয়ান প্যাকেজের মাধ্যমে ফেসবুকভিত্তিক ব্যবসায়ীদের জন্য ১ ঘণ্টায় মার্চেন্ট পেমেন্ট সুবিধা প্রদান করছে।
ভোমরা স্থলবন্দরে ট্রাক থেকে পণ্য ওঠা-নামা বন্ধ
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে ব্যবসায়ীরা দু’বার লেবার বিল দিতে রাজী না হওয়ায় ট্রাক থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো বন্ধ রয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে ব্যবসায়ীরা পণ্য খালাসে লেবারদের না ডাকায় এ অচলাবস্থা তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: ভোমরা বন্দরে ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভোমরা স্থলবন্দরের শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ট্রাক প্রতি লেবার ঠিকাদাররা তাদের বিল দেন ৩৮০ টাকা। প্রায় ৪০ টন পণ্য খালাসে এই টাকা তাদের কাছে কিছুই না। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় শ্রমিকদের। এতদিন ট্রাক প্রতি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা বকশিস দিতেন ব্যবসায়ীরা। এই বখশিসের টাকা বন্ধ করে দেয়াতে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। এছাড়া সকাল থেকে তাদের কোনো দলকে কাজে ডাকাও হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ২ দিন ধরে ভোমরা বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ
এব্যাপারে ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, প্রতি টন পণ্য খালাসে ৭২ টাকা করে পরিশোধ করতে হয় ব্যবসায়ীদের। এর সাথে লেবারদের ট্রাক প্রতি বকশিস দিতে হয় ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা। বাড়তি এই বকশিসের টাকা দেয়া সম্ভব নয় বিধায় তারা লেবার ডাকা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ভোমরা বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় পেঁয়াজের ১৫০ ট্রাক