������������������
‘নাসেক নাসেক’ গান দিয়ে কোক স্টুডিও বাংলার প্রথম সিজন শুরু
‘নাসেক নাসেক’ শিরোনামের প্রথম গান দিয়ে কোক স্টুডিও বাংলার প্রথম সিজনের যাত্রা শুরু হলো। নতুন গানটি বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুক লাইভ ও ইউটিউব লাইভ প্রিমিয়ারে মুক্তি পেয়েছে। এর আগে, থিম সং ‘একলা চলো রে’-এর মুক্তি দিয়ে মিউজিক্যাল প্ল্যাটফর্মটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
‘নাসেক নাসেক’ গানটি পরিবেশনায় অংশ নেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী পান্থ কানাই ও অনিমেস রায়। এর সঙ্গীত প্রযোজক ছিলেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব।
কোক স্টুডিও বাংলার সঙ্গীত প্রযোজক অর্ণব বলেন, ‘আমাদের প্রথম গানটি সবার কাছে তুলে ধরতে পেরে আমরা রোমাঞ্চিত। এই গানটি করতে গিয়ে আমরা যেরকম উপভোগ করেছি, আশা করি, দর্শকরাও গানটি সেরকম উপভোগ করবেন। কোক স্টুডিও মাত্র শুরু, প্রথম সিজনের জন্য জনপ্রিয় আরও শিল্পীর গাওয়া চমৎকার গান অপেক্ষা করে আছে।’
আরও পড়ুন: ছাড়পত্র পেলো পরীমণি-রাজ জুটির ‘গুণিন’
প্রথম সিজনের প্রথম গানটি ফেসবুক লাইভ ও ইউটিউব লাইভ প্রিমিয়ারের মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে। সারা পৃথিবীর ভক্তরা বিনামূল্যে এই সেশনে অংশ নিয়েছেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই লাইভ দর্শক-শ্রোতাদের স্বাগত জানান কোকা-কোলা কোম্পানির নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তাহসান খান। তারপর তিনি দর্শকদের নিয়ে যান ব্যাক স্টেজে। এরপরই তাহসান প্রথম গানটির পর্দা উন্মোচন করেন এবং লাইভ শ্রোতারা গানটি উপভোগ করেন। গানটি প্রকাশিত হওয়ার পর লাইভে এসে কমেন্ট সেকশনের মাধ্যমে ভক্তদের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নেন তাহসান। এরপর ভক্তদের নিয়ে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। তাহসান কোক স্টুডিও বাংলা নিয়ে ১০টি প্রশ্ন করেন এবং সবচেয়ে দ্রুত উত্তরদাতা কোক স্টুডিও বাংলার পক্ষ থেকে জিতে নেন পুরস্কার।
হাজং জনগোষ্ঠীর শিল্পী অনিমেস রায় নিজ মাতৃভাষায় গানটি গেয়েছেন।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি জানান, কোক স্টুডিও বাংলার প্রথম সিজনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে তিনি দারুণ সম্মানিত বোধ করছেন। হাজং জনগোষ্ঠীর সঙ্গীতকে সবার সামনে তুলে ধরতে পেরে তিনি আনন্দিত। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বসবাস করা একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নাম হাজং। নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর এলাকায় এবং ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় এই জনগোষ্ঠীর বসবাস। তাদের একটি অংশ সিলেট ও সুনামগঞ্জেও বাস করে। ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী হলেও হাজংদের নিজস্ব ভাষা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান, খাদ্য ও পোশাক রয়েছে। অনিমেসের বিশ্বাস যে, দুই ভাষার এই অনন্য ফিউশন দর্শক উপভোগ করবেন এবং পান্থ কানাই ও তার গাওয়া গানটি পছন্দ করবেন।
আরও পড়ুন: ভালোবাসা দিবসে জোভান-সাফা জুটির ‘ভালোবেসে যাই’
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলের মাধ্যমে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ লাইভে অংশগ্রহণ করেন। পুরো সেশন জুড়ে দর্শক-শ্রোতারা কমেন্ট সেকশনে গানটির প্রশংসা করেন। কোকা-কোলার আন্তর্জাতিক সঙ্গীত আয়োজন কোক স্টুডিওর সর্বশেষ সংস্করণ কোক স্টুডিও বাংলা। দেশীয় সঙ্গীত, সঙ্গীতশিল্পী, সঙ্গীতশিল্প ও সঙ্গীতের প্রতি সারা বিশ্বের বাংলাভাষী মানুষদের ভালোবাসার কথা তুলে ধরার উদ্দেশ্যে তুমুল জনপ্রিয় এই ফিউশন মিউজিক প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশে এসেছে।
কাওসার আহমেদ চৌধুরী: একজন গীতিকার ও জ্যোতির্বিদের কথোকতা
গীতিকার ও জ্যোতির্বিদ হিসাবে সারা দেশ জুড়ে খ্যাতি পেলেও কাওসার আহমেদ চৌধুরী নামের মানুষটির নিভৃত বিচরণ ছিলো আধুনিক বাংলা সংস্কৃতির বিভিন্ন অঙ্গনে। শত গুণের অধিকারি এই জীবন যোদ্ধা হাজারো প্রাপ্তির সীমানা ছাড়িয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি পাড়ি জমালেন পরপারে। ঢাকার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় রাত ৯টা ৪০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। জীবদ্দশায় নির্দিষ্ট কোন একটি শাখায় কখনো তিনি নিজেকে আবদ্ধ রাখতেন না। সব সময় চেষ্টা করে যেতেন নতুন কিছুতে নিজের সাক্ষর রাখার। এই নিভৃতচারী বিনোদনকর্মীকে নিয়েই আজকের ফিচার।
নানা পরিচয়ে কাওসার আহমেদ চৌধুরীর পরিচিতি
ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯৪৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর সিলেট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন কাওসার আহমেদ চৌধুরী। শিক্ষাজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে পড়াশোনা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই তাঁর গান লেখার হাতেখড়ি।
পড়াশোনার পাঠ না চুকিয়ে অনেকটা তাড়াহুড়ো করেই যোগ দেন সরকারি চাকরিতে। কবিতা লেখার দক্ষতা তাঁর ছোটবেলা থেকেই ছিলো। তাঁর প্রকাশিত একমাত্র কবিতার বইয়ের নাম ‘ঘুম কিনে খাই’। শুধু কবিতা আর গানই নয়; তিনি একাধারে বিচরণ করেছেন চিত্রনাট্য রচনা, ছবি আঁকা এবং চলচ্চিত্র পরিচালনাতে।
আরও পড়ুন: বাপ্পি লাহিড়ী: বলিউড সাম্রাজ্যে ডিস্কো সঙ্গীতের প্রবাদ পুরুষ
তিনি বেশ কিছু বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন। সেগুলোর মধ্যে স্বনামধন্য কবি নির্মলেন্দু গুণের প্রথম কবিতার বই ‘প্রেমাংশুর রক্ত চাই’ এর প্রচ্ছদ অন্যতম।
সরকারি প্রজেক্ট পরিবার পরিকল্পনার ওপর বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই তাঁর নির্মিত বেশ কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্র আছে। বিজ্ঞাপন নির্মাণের কাজও করেছেন তিনি। তাঁর রচিত চিত্রনাট্যের মধ্যে সবচেয়ে নামকরা বিটিভিতে প্রচারিত কমেডি নাটক ‘ত্রিরত্ন’।
কাওসার আহমেদ চৌধুরীর আরেকটি বড় পরিচয় হচ্ছে- তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অধীনে তিনি গুপ্তচর হয়ে হানাদার বাহিনীর বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতেন। ছবি আঁকার হাত ছিলো বিধায় পাকিস্তানি বাহিনীর আস্তানার পথের নকশা এঁকে মুক্তিযোদ্ধাদের রুদ্ধঃশ্বাস অভিযানগুলোতে সাহায্য করতেন তিনি।
আরও পড়ুন: আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত কাওসার আহমেদ চৌধুরী
ছাড়পত্র পেলো পরীমণি-রাজ জুটির ‘গুণিন’
গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত চরকি অরিজিনাল সিনেমা ‘গুণিন’ সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েছে। শিগগিরই প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
'গুণিন'-এর মুখ্য দুই চরিত্রে দেখা যাবে শরিফুল রাজ ও পরীমণিকে। তারা সিনেমার গল্পে রাবেয়া-রমিজ। আর নাম চরিত্রে অভিনয় করেছেন আজাদ আবুল কালাম। সেই সঙ্গে দিলারা জামান, ইরেশ যাকের, মোস্তফা মন্ওয়ার, শিল্পী সরকার অপু, ঝুনা চৌধুরীসহ আরও অনেককেই দেখা যাবে এই সিনেমায়।
পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘গুণিন সেন্সর সার্টিফিকেট পেয়েছে। এটা আমাদের পুরো দলের জন্য খুবই আনন্দের সংবাদ।’
আরও পড়ুন: ইলিশ খেতে মধ্যরাতে মাওয়ায় গেলেন পরীমণি
তিনি বলেন, ‘সেন্সর বোর্ডের দুই-একজন আমাকে জানিয়েছেন যে তাদের সিনেমাটা খুব ভালো লেগেছে। খুব তাড়াতাড়ি গুণিন সিনেমা হলে মুক্তি পাবে। হলে চলার পর সিনেমাটি আবার চরকির পর্দায় দর্শক দেখতে পারবে। আমার ধারণা, দর্শক সিনেমাটি উপভোগ করবে। সিনেমায় যারা যারা অভিনয় করেছেন প্রত্যেকে চমৎকার পারফমেন্স দেখিয়েছেন। আমি পরিচালক হিসেবে সকলের কাজে খুবই খুশি। দর্শক সিনেমা দেখলেই বুঝতে পারবে যে সবাই খুব ডেডিকেটেড ছিল।’
পরিচালক বলেন, ‘গুণিন সিনেমার গল্প হাসান আজিজুল হক স্যারের ছোটগল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নেয়া। আমার শিক্ষাজীবনেরও গুরু তিনি। ছোটগল্পকে সিনেমায় রূপ দেয়া খুব চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু সাহস নিয়ে কাজটি করেছি। হাসান স্যারের লেখা মানেই তো জীবনভিত্তিকি। সেই সঙ্গে প্রথম থেকেই পাশে ছিল চরকি। এই কাজটি করতে গিয়ে ভীষণ উপভোগ করেছি।’
আরও পড়ুন: 'নাকফুল' সিনেমায় রোশান-পূজা
এ বিষয়ে চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা বলেন, ‘২০ ফেব্রুয়ারি গুণিন সেন্সর সার্টিফিকেট পেয়েছে। এই প্রথম চরকি প্রযোজিত কোনো সিনেমা প্রথমেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে। আমাদের জন্য এটা নতুন অভিজ্ঞতা। আপনারা হলে গিয়ে গুণিন দেখুন।
আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে তানভীর তারেকের ‘স্মৃতিদহন’
রক আইকন আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে প্রথম কোনো গ্রন্থ প্রকাশ পেলো। অনিন্দ্য প্রকাশ এর ব্যানারে তানভীর তারেক এর লেখা ‘স্মৃতিদহন’ বইটি পাওয়া যাবে এবারের বইমেলায় । লেখক তানভীর তারেক এই বইটিকে বলছেন ‘অবলোকন গদ্য’।
তানভীর তারেক বলেন,‘বাচ্চু ভাইয়ের সঙ্গে আমার ২২ বছরের যে পরিচয়-সম্পর্ক তা গীতিকার-শিল্পী বা সাংবাদিক-শিল্পীর বাইরেও অনেক কিছু। সেই সম্পর্কের দীর্ঘ জার্নিতে তার প্রতি মোহগ্রস্ত সময়, মান-অভিমান, মায়ায় জড়ানো কাল বা কৃতজ্ঞতা বাঁধা মনের অবলোকনকেই আমি বইয়ে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি। ‘স্মৃতিদহন’ বইটিতে আমার নেয়া বাচ্চু ভাইয়ের প্রায় অর্ধশত ইন্টারভিউয়ের কোনোটিই গ্রন্থিত করিনি। ইচ্ছে করেই। কারণ ঐসকল ইন্টারভিউতে তৎকালীন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতামত ছিল। যা আগামী প্রজন্মের কোনো এক পাঠকের কাছে খটকা লাগতেই পারে। আমি তাই নিজের স্মৃতির যে দহনবেলা তৈরি হয়েছে আমার ভেতর তা তুলে ধরেছি।’
আরও পড়ুন: আইয়ুব বাচ্চুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে দেবের ‘মায়াবী গিটার ফেলে’
তিনি বলেন, ‘এই মানুষটি চলে যাবার পরদিন থেকে নানান স্মৃতি, আক্ষেপ আর ভালবাসার অনুরণন যে ঘুরপাক খেয়েছে সেগুলিই শব্দে সাজানোর চেষ্টা করেছি। আইয়ুব বাচ্চু’র সববয়সী ভক্তরা যেন এই বইয়ের প্রতিটি অংশে নিজেদের সঙ্গে তাদের আইয়ুব বাচ্চুকে সম্পর্কিত করতে পারেন, সেই চেষ্টাটাই করেছি।’
তানভীর তারেক এর এই গ্রন্থের ভূমিকায় আইয়ুব বাচ্চুর সহধর্মিনী ফেরদৌস আক্তার চন্দনা লিখেছেন, ‘তানভীর তারেক- তার এই বইটিতে আইয়ুব বাচ্চুকে দেখা, তার সঙ্গে কাটানো সময় ও গানের কাজ মিলিয়ে আবেগঘন কিছু স্মৃতিগল্প লিখেছেন। যা পড়ে আমারও মাঝে মাঝে ঐসব দৃশ্যকল্প, সমকালীন মানুষটাকে মনে পড়েছে বারবার। আমি জানি, তাঁর অগনিত ভক্তরাও একইভাবে, এই লেখাগুলো পড়ে স্মৃতির সঙ্গে, আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গে হাঁটবেন অনেকক্ষণ। দারুণ সুখ পাঠ্য এই স্মৃতিগদ্য ভবিষ্যতে আইয়ুব বাচ্চুর জীবনী বা তাঁকে নিয়ে যে কোনো গবেষণার কাজে দারুণ এক রেফারেন্স হয়ে থাকবে।’
স্মৃতিদহন বইটিতে লেখকের সঙ্গে আইয়ুব বাচ্চুর ২২ বছরের সম্পর্কের নানান খতিয়ান, তৎকালীন মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির নানান দিক উঠে এসেছে ।
বইটি একুশে বইমেলার অনিন্দ্য প্রকাশ প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাচ্ছে। একই সঙ্গে রকমারিসহ বিভিন্ন অনলাইন শপ থেকেও কিনতে পারা যাবে।
আরও পড়ুন: চমকে দেওয়ার দিনটিই ছিল বাপ্পিজির সঙ্গে শেষ দেখা: রুনা লায়লা
প্রথমবারের মতো নুসরাত ফারিয়ার বিপরীতে যশ
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনার সিনেমা দিয়ে চিত্রনায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন নুসরাত ফারিয়া। পরবর্তীতে দেশের প্রযোজনায় কাজ করলেও যৌথ প্রযোজনার পাল্লাটা ভারী তার। আর এতে দেশের পাশাপাশি ওপার বাংলাতেও তার রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। তাই এবার টলিউডের একক প্রযোজিত সিনেমায় প্রথম দেখা যাবে ফারিয়াকে।
‘রকস্টার’ শিরোনামে সিনেমাটিতে টলিউডের যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন নুসরাত ফারিয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁর নিজের ভেরিফাইড পেইজ থেকে খবরটি নিজেই জানিয়েছেন এই নায়িকা।
আরও পড়ুন: চমকে দেওয়ার দিনটিই ছিল বাপ্পিজির সঙ্গে শেষ দেখা: রুনা লায়লা
বাংলাদেশের শাপলা মিডিয়ার অঙ্গপ্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালের প্রযোজনায় ‘রকস্টার’ নির্মিত হচ্ছে। পরিচালনা করছেন অংশুমান প্রত্যুষ। মূলত ভারতে মুক্তি পাবে এই সিনেমা। তবে বাংলাদেশেও মুক্তি পেতে পারে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে ফারিয়া কলকাতার একক প্রযোজনার আরও দুটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ রয়েছেন। সিনেমা দুটি হলো- ‘ভয়’ ও ‘বিবাহ অভিযান টু’। অন্যদিকে বাংলাদেশে মুক্তির অপেক্ষায় আছে নুসরাত ফারিয়া অভিনীত ‘বঙ্গবন্ধু’ ও ‘অপারেশন সুন্দরবন’।
আরও পড়ুন: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০ পাচ্ছেন যারা
চমকে দেওয়ার দিনটিই ছিল বাপ্পিজির সঙ্গে শেষ দেখা: রুনা লায়লা
বলিউডের কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ির মৃত্যুতে বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গনেও নেমেছে শোকের ছায়া। দেশের কিংবদন্তি গায়িকা রুনা লায়লার সঙ্গে প্রয়াত তারকার ছিল পারিবারিক সম্পর্ক। শুধু তাই নয়, এক সঙ্গে কাজ করেছেন তারা।বাপ্পী লাহিড়িকে নিয়ে গণমাধ্যমে স্মৃতিচারণ করেছেন রুনা লায়লা। তিনি বলেন, ‘বাপ্পী লাহিড়ির সংগীতে বলিউডের সিনেমায় আমি দুটি গান করেছি। প্রথমটি ১৯৭৯ সালে ‘জান এ বাহার', অন্যটি ১৯৮৪ সালে ‘ইয়াদগার' সিনেমায়। সেই থেকে বাপ্পিজির সঙ্গে পরিচয়।'
আরও পড়ুন: বাপ্পি লাহিড়ীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
২০১৮ সালে রুনা লায়লার জন্মদিনে কলকাতায় এসে চমকে দিন বাপ্পী লাহিড়ি। সেই ঘটনা বলতে গিয়ে রুনা লায়লা বলেন, ‘সেই বছর আমি ও আলমগীর সাহেব কলকাতার একটি হোটেলে ছিলাম। জন্মদিনে বাপ্পিজি আমাকে চমকে দিলেন। আমরা যে হোটেলে ছিলাম সেখানে বাপ্পিজি তার স্ত্রীকে নিয়ে উঠেছিলেন। প্রথম ফোন দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন। এরপর দেখি ফুল আর কেক নিয়ে আমাদের রুমে হাজির। আমরা চারজন জন্মদিন উদযাপন করলাম। সেদিন অনেক আড্ডা হয়েছে। আমাকে চমকে দেওয়ার দিনটিই ছিল বাপ্পিজির সঙ্গে শেষ দেখা।'ব্যক্তি বাপ্পি লাহিড়ি প্রসঙ্গে রুনা লায়লা আরও বলেন, ‘বাপ্পিজি ছিলেন আমার বন্ধু। শুধু আমার নয়, তার সঙ্গে পরিচিত সবার প্রিয় মানুষ তিনি। সবসময় হাসি ও মজার মধ্যে থাকতে পছন্দ করতেন।'
আরও পড়ুন: সংগীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ী আর নেই
কিংবদন্তি গায়িকা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় আর নেই
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০ পাচ্ছেন যারা
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০-তালিকার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রজ্ঞাপনে তালিকাটি প্রকাশ হয়। প্রতিবছরের মতো এবারও ২৭ বিভাগে চলচ্চিত্রে এই রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা দেয়া হবে।
এবারের আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন বরেণ্য অভিনয়শিল্পী আনোয়ারা বেগম ও রাইসুল ইসলাম আসাদ। অন্যদিকে সেরা চলচ্চিত্র তালিকায় দ্বৈতভাবে পুরস্কার পাচ্ছে ‘গোর’ এবং ‘বিশ্বসুন্দরী’। এছাড়াও সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছে ‘আড়ং’। ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়’ পাচ্ছে সেরা প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার।
পড়ুন: চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি: নিপুণ-জায়েদের বিষয়ে শুনানি ২২ ফেব্রুয়ারি
সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০-এর অন্যান্য বিভাগে যারা পুরস্কার পেয়েছে-
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক- গাজী রাকায়েত হোসেন (গোর)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা- সিয়াম আহমেদ (বিশ্বসুন্দরী)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী- দীপান্বিতা মার্টিন (গোর)
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা- ফজলুর রহমান বাবু (বিশ্বসুন্দরী)
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী- অপর্ণা ঘোষ (গণ্ডি)
শ্রেষ্ঠ খল অভিনেতা- মিশা সওদাগর (বীর)
শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী- মুগ্ধতা মোর্শেদ হৃদ্ধি (গণ্ডি)
শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার- শাহাদৎ হাসান বাধন (আড়ং)
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক- বেলাল খান (হৃদয় জুড়ে)
শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক- প্রয়াত সহিদুর রহমান (বিশ্বসুন্দরী)
শ্রেষ্ঠ গায়ক- ইমরান মাহমুদুল (বিশ্বসুন্দরী)
শ্রেষ্ঠ গায়িকা- দিলশাদ নাহার কণা (বিশ্বসুন্দরী) ও সোমনুর মনির কোনাল (বীর)
শ্রেষ্ঠ গীতিকার- কবির বকুল (বিশ্বসুন্দরী)
শ্রেষ্ঠ সুরকার- ইমরান মাহমুদুল (বিশ্বসুন্দরী)
শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার- গাজী রাকায়েত (গোর)
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার- গাজী রাকায়েত (গোর)
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা- ফাখরুল আরেফীন খান (গণ্ডি)
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক- শরিফুল ইসলাম (গোর)
শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক- উত্তম কুমার গুহ (গোর)
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক- পঙ্কজ পালিত (গোর) ও মাহবুব নিয়াজ (গোর)
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক- কাজী সেলিম আহমেদ (গোর)
শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা- এনাম তারা বেগম (গোর)
শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান- মোহাম্মদ আলী বাবুল (গোর)
পড়ুন: ঢাকায় পাঁচ দিনব্যাপী ইরানি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী শুরু
প্রজন্মের উন্নয়নে চলচ্চিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কিংবদন্তি গায়িকা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় আর নেই
কিংবদন্তি বাঙালি গায়িকা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় আর নেই। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ওই হাসপাতালের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, মৃত্যুকালে আধুনিক বাংলা গানের অন্যতম এই গায়িকার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। তিনি এক কন্যা রেখে গেছেন।
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় এসডি বর্মণ, নওশাদ এবং সলিল চৌধুরীর মতো শীর্ষস্থানীয় সঙ্গীত পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন। সঙ্গীত জগতে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার তাঁকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ উপাধিতে সম্মানিত করে।
অসুস্থতার কারণে তিনি জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তার রক্তচাপ কমে যাওয়ায় তাকে ভ্যাসোপ্রেসার সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
হাসপাতালের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পিটিআইকে বলেছেন, তিনি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটের দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। হৃদরোগ, বেশ কিছু অঙ্গের নিস্ক্রিয়তা এবং হাড়ে ফ্র্যাকচারের মধ্যেই তিনি করোনা পজিটিভ হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: কানে হেডফোন, নাটোরে ট্রেনের ধাক্কায় দুই যুবকের মৃত্যু
মমতার দলে কি বিদ্রোহ চলছে?
কলকাতায় সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেলেন জয়া আহসান
পূর্ণিমা তিথির ৩৪ তম সাধুমেলা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায় জাতীয় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে পূর্ণিমা তিথির ৩৪ তম সাধুমেলা আয়োজন অনুষ্ঠিত হলো।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের পরিচালক সোহাইলা আফসানা ইকো। একাডেমির সম্মানিত মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী ও লালন গবেষক ফরিদা পরভীন, লালন রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও গবেষক ড. আবু ইসহাক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সম্মানিত সচিব মো. আছাদুজ্জামান।
বিশিষ্টি শিল্পীদের মধ্যে সঙ্গীত পরিবেশন করেন-চন্দনা মজুমদার, কিরণচন্দ্র রায়, বাউল ভাবনার আলো কুষ্টিয়া, আবদুল লতিফ শাহ চুয়াডাঙ্গা, মারফত বাউল কুষ্টিয়া, সমির বাউল।
আরও পড়ুন: আলিয়াঁস ফ্রঁসেজে ৭০টি বাংলা ক্যালিগ্রাফি নিয়ে চিত্র প্রদর্শনী
কলকাতায় সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেলেন জয়া আহসান
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে কলকাতায়ও বেশ জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। শুধু তাই নয়, ওপার বাংলার বেশিরভাগ সম্মানজনক পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। এমনই এক প্রাপ্তির খবর অভিনেত্রী নিজেই জানালেন ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে।
কলকাতার সিনেমা সাংবাদিকদের সংগঠন 'বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন' আয়োজিত 'সিনেমার সমাবর্তন' শিরোনামে এক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে 'বিনি সুতোয়' সিনেমার জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেলেন জয়া আহসান।পুরস্কার অনুষ্ঠানের বেশ কয়েকটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে জয়া লিখেছেনন, 'সেরা অভিনেত্রী হিসেবে এই পুরস্কার আমাকে সম্মানিত করেছে। কৃতজ্ঞতা জুরি বোর্ডকে। আমাকে এমন একটি পুরস্কারের জন্য নির্বাচন করার জন্য। ধন্যবাদ অতনু দা এবং সিনেমার পুরো টিমকে, আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য। দর্শকদের ভালোবাসা।’উল্লেখ্য, 'বিনি সুতোয়' সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন অতনু বিশ্বাস'। এতে জয়া আহসানের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন ওপার বাংলার গুনী অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: ভেসুলে দর্শক পছন্দে সেরা ফারুকীর ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’
‘কোক স্টুডিও’র বাংলা’র যাত্রা শুরু