সোমালিয়ার সাবেক অধিনায়ক ইকরা ইসমাইলকে হাফপ্যান্ট না পরার কারণে ম্যাচ খেলতে বাধা দেওয়ার পর ইংল্যান্ডে নারী ফুটবলারদের পোশাক নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)। এফএ জানিয়েছে, ইংল্যান্ডের কোনো প্রতিযোগিতায় নারী খেলোয়াড়দের ধর্মীয় অনুশাসন অনুযায়ী পোশাক পরে মাঠে নামতে বাধা নেই।
ঘটনাটি এই সোমবারের। সেদিন ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে ইসমাইল জানান, গ্রেটার লন্ডন মহিলা ফুটবল লিগে (জিএলডাব্লুএফএল) গত পাঁচ বছর ধরে ধরে ট্র্যাকস্যুট প্যান্ট (ফুল প্যান্ট) খেললেও রবিবার ইউনাইটেড ড্রাগনসের জার্সিতে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে তাকে মাঠে নামার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, ‘গতকালের ম্যাচে রেফারি আমাকে বলেন যে, জার্সির সঙ্গে মিল থাকলেও আমার মতো যারা আছেন (ফুল প্যান্ট পরে খেলেন), নির্ধারিত পোশাক (হাফ প্যান্ট) না পরলে তাদের যেন মাঠে নামতে দেওয়া না হয়- এ বিষয়ে তাকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছে মিডলসেক্স এফএ।’
‘হাফপ্যান্ট না পরলে আমরা খেলতে পারব না- গতকাল আমাকে সেটাই বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: রিয়ালের ব্যালন দ’র অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্তে অখুশি লা লিগা প্রেসিডেন্ট
এ ঘটনার পরপরই নড়েচড়ে বসেছে ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। মিডলসেক্স এফএর সঙ্গে ইতোমধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে জানিয়ে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিষয়টি দ্রুত সমাধান করার প্রচেষ্টা চলছে।’
এফএ-র এক মুখপাত্র এ বিষয়ে বলেন, ‘এ বছরের শুরুতে সব কাউন্টি এফএ এবং ম্যাচ অফিশিয়ালদের কাছে চিঠি লিখে আমরা নিশ্চিত করেছি যে, ধর্মীয় বিশ্বাস বা অনুশাসন বাধাপ্রাপ্ত না হয়- মেয়েদের এমন পোশাক পরার অনুমতি দেওয়া উচিত।’
মুখপাত্র বলেন, ‘এই নির্দেশনাটির কার্যকর প্রয়োগের উদ্দেশ্যে আমরা সকল অংশীদারের সঙ্গে কাজ করছি, যাতে ইংলিশ ফুটবলে সবার জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ নিশ্চিত করতে সবাই গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকে।’
অবশ্য জিএলডব্লিউএফএলের দাবি, পা ঢেকে থাকে- এমন পোশাক পরার অনুমতি দিতে তাদের কোনো আপত্তি নেই, তবে ওই পোশাকের ওপর শর্টস পরতে হবে।
তবে এফএ-র সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্তের কঠোরতা থেকে সরে এসেছে তারা।
এ বিষয়ে এ বিবৃতিতে জিএলডব্লিউএফএল বলেছে, ‘আমাদের সচেতন করা হয়েছে যে ট্র্যাকস্যুট বা আঁটসাঁট পোশাকের ওপর শর্টস পরার প্রয়োজন নেই। এ নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সমস্ত ম্যাচ অফিশিয়াল ও সদস্যদের (ক্লাব) এই পরিমার্জিত গাইডলাইন সরবরাহ করব।’