নিউজিল্যান্ডের করা ২৪১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডও নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৪১ রান করলে ম্যাচটি টাই হয়। ফলে সুপার ওভারে গড়ায় ফাইনাল। সুপার ওভারেও দুই দলেরই রান সমান হলে মূল ম্যাচে বাউন্ডারির হিসাবে বিজয়ী হয় ইংলিশরা।
তবে মূল ম্যাচে ইংল্যান্ডের ইনিংসে শেষ ওভারে এসে যে নাটকীয়তা তৈরি হয় তা শেষ পর্যন্ত বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
৪৯তম ওভারের চতুর্থ বলে দুই রান নিতে যান বেন স্টোকস ও আদিল রশিদ। ১ রান সম্পন্ন হওয়ার পর মার্টিন গাপটিল বল ধরে থ্রো করেন। পরে দৌড়াতে থাকা বেন স্টোকসের ব্যাটে লেগে বলটি বাউন্ডারি হয়ে যায়। ফিল্ড আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা অতিরিক্ত ৪ রান এবং দৌড়ে নেয়া ২ রান মিলিয়ে ৬ রান ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে জমা পড়েছে বলে জানায়।
তবে ধর্মসেনার এ সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলে জানিয়েছেন সাবেক আম্পায়ার সাইমন টাফেল।
আইসিসির সাবেক বর্ষসেরা এ আম্পায়ার বলেন, ‘আম্পায়াররা ইংল্যান্ডকে ৫ রানের পরিবর্তে ৬ রান দিয়ে ভুল রায় দিয়েছেন।’ খবর ক্রিকইনফোর।
দ্য এজ এবং সিডনি মর্নিংকে তিনি বলেন, ‘এটা পরিষ্কার ভুল। ইংল্যান্ডকে ৬ রান নয়, ৫ রান দেয়া উচিৎ ছিল।’
আইসিসির নিয়ম (১৯.৮) অনুযায়ী ওভার থ্রোর বাউন্ডারির ক্ষেত্রে ফিল্ডার বল ছাড়ার মুহূর্তে ব্যাটসম্যানরা পরস্পরকে ক্রস করলে তবেই তাদের ফিল্ড রান যোগ হবে ওভার-থ্রো’র বাউন্ডারির সঙ্গে।
টেলিভিশন রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা যায় যে, গাপটিল বল ছোড়ার সময় স্টোকস ও আদিল রশিদ দ্বিতীয় রানের জন্য পরস্পরকে ক্রস করেননি।
ক্রিকেট আইন প্রণয়নকারী সংস্থা এমসিসির উপ-কমিটির অন্যতম সদস্য সাইমন টাফেল আরও বলেন, যেহেতু ২ রান সম্পন্ন হয়নি তাই স্টোকসের পরিবর্তে স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা উচিৎ ছিল রশিদের। তার মানে হলো ৫ম বলটি মোকাবিলা করতেন রশিদ। তখন ২ বলে জয়ের জন্য ৪ রানের প্রয়োজন হতো ইংলিশদের।
‘থ্রো করার মুহূর্তে তারা দ্বিতীয় রান নেয়ার সময় একে-অপরকে ক্রস করেননি। সুতরাং ৫ রান বরাদ্দই ছিল সঠিক এবং বেন স্টোকসের নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা উচিৎ ছিল।’
‘অবশ্যই টিভি রিপ্লে দেখা উচিৎ ছিল। আম্পায়ারের জন্য কঠিন হলো আপনাকে ব্যাটসম্যানদের রান সম্পন্ন হওয়া দেখতে হবে, তারপর আপনার ফোকাস থাকতে হবে ফিল্ডারের বল তোলার দিকে এবং বল ছোড়ার দিকে,’ বলেন তিনি।
‘ওই সময়ে ব্যাটসম্যান কোথায় ছিল সেটাও আপনাকে দেখতে হবে।’