বিকালে ঢাকায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২০ পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
কৃষিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. রাজ্জাক বলেন, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা পাড়ের এই অঞ্চলটি সত্যিকার অর্থে কোনোদিনই স্বাধীন ছিল না। বঙ্গবন্ধুই এই বঙ্গভূমি বা অঞ্চলটিকে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করেন। এই বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সুদূর পরিকল্পনার অংশ হিসবে ষড়যন্ত্রকারীরা সপরিবারে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ড মানবেতিহাসের বর্বরোচিত ঘটনা।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না, এটা বাস্তবতা বিবর্জিত। বঙ্গবন্ধু একটি অসাম্প্রাদায়িক, গণতান্ত্রিক, ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে ৭১’এর পরাজিত শক্তি ও যুদ্ধাপরাধীরা বাংলাদেশকে, এ দেশের স্বাধীনতা ও অস্তিত্বকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর সেই আদর্শ ও চেতনাকে, বাঙালির আত্মাকে হত্যা করতে চেয়েছিল ষড়যন্ত্রকারীরা। সেখানেই থেমে থাকে নি তারা, এখনও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে বার বার হত্যার চেষ্টা করছে ষড়যন্ত্রকারীরা।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি মো. হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বাদশা, জাতীয় সংসদ সদস্য হোসনে আরা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদ, একুশে পদকপ্রাপ্ত কৃষিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।