কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক
জাপানে ইয়ানমারের কারখানা পরিদর্শন কৃষিমন্ত্রীর, বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান
কৃষিযন্ত্র তৈরির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ইয়ানমার-এর কারখানা পরিদর্শন ও প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে জাপান সফররত কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
শুক্রবার সকালে টোকিও থেকে ওকায়ামার ইনামিতে ইয়ানমার এগ্রিবিজনেস কারখানায় পৌঁছান কৃষিমন্ত্রী। সেখানে তিনি কম্বাইন হারভেস্টার, ট্রাক্টর, ট্র্যান্সপ্লান্টারসহ বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র তৈরির কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।
এছাড়া, গ্রিনহাউজে বিশেষায়িত ফসল যেমন আম, পেঁপে, স্ট্রবেরি প্রভৃতির গবেষণার বায়ো-ল্যাব কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
ইয়ানমারকে বাংলাদেশে কৃষিযন্ত্র তৈরির আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে শ্রমিক সংকট আরও বাড়বে, একইসঙ্গে কৃষিযন্ত্রের চাহিদাও বাড়বে এবং বিশাল বাজার তৈরি হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ইয়ানমারের কৃষিযন্ত্রের সুনাম আছে, চাহিদাও। কাজেই, ইয়ানমার বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে,কারখানা স্থাপন করে স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্র তৈরি করলে অনেক লাভবান হতে পারবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ রয়েছে এবং সরকার সবরকম সহযোগিতা প্রদান করবে।
আরও পড়ুন: তরুণরাই বাংলাদেশে ‘স্মার্ট এগ্রিকালচারের’ নেতৃত্ব দেবে: কৃষিমন্ত্রী
ইয়ানমারের প্রেসিডেন্ট মাসাদা স্যান এ সময় জানান, বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। সামনের বছর থেকে এসিআই’র সহযোগিতায় বাংলাদেশে কম্বাইন হারভেস্টার ও রাইস ট্র্যান্সপ্লান্টার তৈরির কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এছাড়া, বাংলাদেশে স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ইয়ানমারের স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি দিয়ে সহযোগিতার বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হবে জানায় ইয়ানমার কর্তৃপক্ষ।
এ সময় ইয়ানমারের প্রেসিডেন্ট মাসাদা স্যান, গ্লোবাল মার্কেটিং পরিচালক উয়েদা স্যান, শিমিগ স্যানসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা, এসিআই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ দৌলা, এসিআই এগ্রিবিজনেসের প্রেসিডেন্ট এফএইচ আনসারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ুসহনশীল ও উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
বিএনপিকে মোকাবিলার শক্তি আ’লীগের আছে: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার শক্তি আওয়ামী লীগের আছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিসহ বিভিন্ন ছোট ছোট রাজনৈতিক দল আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। তারা শুধু হুমকির মধ্যেই আছে। তারা বলে ঈদের পরে আন্দোলন করব, এখন বলবে আগামী পূজার পরে, বর্ষাকালের পরে বা সামনে বসন্তকাল আসছে, তখন কঠোর আন্দোলন করব। তবে বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার জন্য আওয়ামী লীগ একাই যথেষ্ট।
বৃহস্পতিবার সকালে নাটোর সদরের খোলাবাড়িয়ায় ঔষধি গ্রাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশে খাদ্য সংকটের বিএনপির আশা পূরণ হবে না: কৃষিমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়, দেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চায়। আর আওয়ামী লীগ দেশকে আরও সামনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। বর্তমান সরকার বৈধ ও সাংবিধানিক সরকার। এ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে সরকারের দায়িত্ব হলো সকল মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া। কাজেই, আন্দোলন সংগ্রামের নামে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যমূলক কর্মকাণ্ড বিএনপিকে করতে দেয়া হবে না।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল সেক্টরে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেন। এই সব উন্নয়নমূলক কাজের জন্যই দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনবে। তাছাড়া বিএনপি আর কোনদিন মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।
আরও পড়ুন: দেশে খাদ্য সংকট নেই, বিএনপি কোরাস গেয়ে চলেছে: কৃষিমন্ত্রী
ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষিকে লাভজনক ও বাণিজ্যিক করতে আমরা কাজ করছি। সেজন্য প্রচলিত ফসলের পাশাপাশি কৃষকদেরকে অপ্রচলিত অর্থকরী ফসল চাষেও উৎসাহ ও প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। দেশে ও আন্তর্জাতিক বাজারে অ্যালোভেরার অনেক চাহিদা রয়েছে। খোলাবাড়িয়া গ্রাম অ্যালোভেরাসহ বিভিন্ন ঔষধি ফসল চাষের উদাহরণ। এর চাষ সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া ও সুষ্ঠু বাজারজাতে সব ধরনের সহযোগিতা ছাড়াও কম সুদে ঋণ দেয়া, রপ্তানির ব্যবস্থা ও প্রক্রিয়াজাতে উদ্যোগ নেয়া হবে।
২ বছর আগে
কম্বাইন হারভেস্টার তৈরির আগ্রহ জানিয়েছে ইয়ানমার ও এসিআই মটর্স
জাপানের কৃষিযন্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইয়ানমার বাংলাদেশে ধান কাটার যন্ত্র বা কম্বাইন হারভেস্টার তৈরির কারখানা স্থাপনের আগ্রহ জানিয়েছে। দেশের এসিআই মটর্সের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এ কারখানা স্থাপন করবে ইয়ানমার।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে ইয়ানমারের আন্তর্জাতিক বিজনেস হেড সোগো ডেটের নেতৃত্বে ইয়ানমার ও এসিআই মটর্সের প্রতিনিধিদলের বৈঠকে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রতিনিধিদল জানান, দেশে ইয়ানমার ব্র্যান্ডের কম্বাইন হারভেস্টার অনেক জনপ্রিয় ও চাহিদাও বেশি। এটিকে বিবেচনায় নিয়ে স্থানীয়ভাবে কম্বাইন হারভেস্টার তৈরি ও সংযোজন করার উদ্যোগ নিয়েছে ইয়ানমার ও এসিআই মটর্স। ২০২৪ সালের শুরুতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদনে যাওয়ার প্রাথমিক পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান আন্তর্জাতিক বিজনেস হেড সোগো ডেট।
আরও পড়ুন: হাওরের ৪১ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে কৃষি শ্রমিকের ঘাটতি দিন দিন প্রকট হচ্ছে। এ মুহূর্তে বোরো ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া সনাতন পদ্ধতির কৃষিতে ফসল উৎপাদনে খরচ অনেক বেশি ও সময় সাপেক্ষ। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে কাজ করছে। সারাদেশে ৫০ শতাংশ ও হাওর-উপকূলীয় এলাকায় ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদেরকে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্র তৈরি ও সংযোজনে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছি। ইয়ানমারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনে ইয়ানমারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: দেশে খাদ্য সংকট নেই, বিএনপি কোরাস গেয়ে চলেছে: কৃষিমন্ত্রী
বৈঠকে ইয়ানমারের আন্তর্জাতিক বিজনেস প্রতিনিধি ইতো সান, আন্তর্জাতিক সার্ভিস প্রতিনিধি মিৎসুমি সান, এসিআই মটর্সের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
কৃষিপণ্যের মান উন্নয়নে সহযোগিতা দিবে ডেনমার্ক
কৃষিপণ্য ও খাদ্যের গুণগতমান উন্নয়নে এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ডেনমার্ক। এর পাশাপাশি কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণে বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়েও উদ্যোগ নিবে ডেনমার্ক।
মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে নিজ কার্যলয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেন (Winnie Estrup Petersen) এ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে একসাথে কাজ করবে বাংলাদেশ-ডেনমার্ক
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেন কৃষিখাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের কৃষিপণ্যের গুণগতমান উন্নয়নে ও এগ্রিবিজনেসে ডেনমার্ক সহযোগিতা করবে। কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হলে ডেনমার্কের বিনিয়োগ ও ট্রেড মিশন পাঠানোর বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হবে।
এই সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। দেশের আম, আনারস, কলা, টমেটো, আলু ও শাকসবজি প্রভৃতি রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সম্ভাবনা অনেক। এক্ষেত্রে ডেনমার্কের বিনিয়োগ ও উন্নত প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রয়োজন। উত্তম কৃষিচর্চা (জিএপি) মেনে খাদ্য উৎপাদনেও ডেনমার্কের সহযোগিতা দরকার।
এছাড়া পূর্বাচলের দুই একর জমিতে আধুনিক প্যাকিং হাউজ নির্মাণ ও আধুনিক টেস্টিং ল্যাব স্থাপনে ডেনমার্কের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে দুই দেশের কৃষিখাত, ডেইরি, নিরাপদ খাবার, খাদ্য অপচয় কমানো, ফুড ভ্যালু চেইন ও ল্যাব উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া, কৃষিখাতে সহযোগিতার ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের ব্যাপারেও দুই দেশ সম্মত হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ডেনমার্ক ও ডব্লিউএফপির’র সমর্থন বৃদ্ধির নিশ্চয়তা
ডেনিস রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎকালে মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, উপসচিব এসএম ইমরুল হাসান, ডেনমার্কের ঢাকা দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আলি মুস্তাক বাট প্রমুখ।
২ বছর আগে
বিএনপির প্রভু হলো পাকিস্তান: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘বিএনপির প্রভু হলো পাকিস্তান। পাকিস্তান কী বলে সেদিকে তারা তাকিয়ে থাকে।’
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ইস্কাটনে সুইড বাংলাদেশ বিদ্যালয় মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ১৯ নং ওয়ার্ডের ইউনিট আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: কাজুবাদাম ও কফি চাষে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
বর্তমান সরকারের সফলতা বলতে কিছু নেই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্য বিএনপি দেখতে পায় না। কিন্তু এদেশের জনগণ দেখতে পায়, আর সেজন্য জনগণ বার বার আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে।’
আরও পড়ুন: কৃষিপ্রধান দেশগুলোকে নতুন করে গবেষণা নিয়ে ভাবতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘চোখে ঠুলি পরে থাকলে ও কানে তুলা গুজে রাখলে বর্তমান সরকারের সাফল্য দেখতে পাবেন না। আপনিতো বাসা থেকে বের হয়ে হাতিরঝিল দিয়ে যান, পদ্মাসেতুর পাশ দিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে যান- এগুলো কী চোখে পড়ে না? আপনার নিজের বাড়ি উত্তরবঙ্গে, যেখানে বিএনপির শাসনামলে মঙ্গা লেগে থাকত। সেখানে এখন কোন খাদ্য সংকট নেই, মঙ্গা চিরতরে দূর হয়েছে। বাড়ি যাওয়ার সময় এ সাফল্য কী দেখতে পান না?’
২ বছর আগে
চাল ব্যবহারের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘাটতি: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, মাছ, পোল্ট্রি, প্রাণিখাদ্য ও স্টার্চ হিসেবে চালের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব মিলে দেশে চালের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বছর বছর জনসংখ্যা বাড়ছে, চাষের জমি কমছে। অন্যান্য ফসলের চাষেও জমি ব্যবহার হচ্ছে। দেশে বছরে এখন ৬০ লাখ টন ভুট্টা উৎপাদন হচ্ছে। আগে যে খেতে ধানের চাষ হতো সেখানেই ভুট্টা চাষ হচ্ছে। একইসাথে, চালের নন-হিউম্যান কনজামশন অনেক বেড়েছে। মাছ, পোল্ট্রি, প্রাণিখাদ্য ও স্টার্চ হিসেবে চালের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব মিলে দেশে চালের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত এলাকায় কৃষিবিপ্লব ঘটবে: কৃষিমন্ত্রী
বুধবার ঢাকার ফার্মগেটে বিএআরসি মিলনায়তনে ‘ফার্ম সেক্টর অব বাংলাদেশ: প্রসপেক্টস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
৩ বছর আগে
অপসংস্কৃতিরোধে শহীদ শেখ কামালের আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
দেশে যুবসমাজের অবক্ষয় ও অপসংস্কৃতিরোধে শহীদ শেখ কামালের আদর্শ ও চেতনাকে তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী শেখ কামাল ছিলেন অত্যন্ত সৃজনশীল ও সংস্কৃতি অঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র। সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘স্পন্দন’ গঠন করেছিলেন। একাধারে তিনি ছিলেন রাজনৈতিকভাবে সচেতন ও দেশপ্রেমিক। তার আদর্শ ও চেতনা ধারণের জন্য দেশের তরুণ যুবসমাজকে অনুপ্রাণিত করতে হবে। তার আদর্শে তরুণদেরকে খেলাধুলায়, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে হবে এবং দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ফুড সিস্টেম শক্তিশালী করতে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন: কৃষিমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার সকালে ধানমণ্ডিতে আবাহনী ক্লাব মাঠে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র, ক্রীড়া সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা শহীদ শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গরীব ও অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, শেখ কামাল ছিলেন অনন্য ক্রীড়া সংগঠক, যিনি খেলাধুলায় নতুন যুগের সূচনা করেছিলেন। তিনি বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে বিভিন্ন খেলাধুলায় অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাতে পারত।
তিনি বলেন, দেশের কিছু তথাকথিত সেলিব্রেটিরা সমাজে অপসংস্কৃতি ছড়াচ্ছে। বিতর্কিত কর্মকাণ্ড দিয়ে তরুণ সমাজ ও জাতিকে তারা বিভ্রান্ত করছে। তাদের মুখোশ উন্মোচনে কঠোর অভিযান চলছে। অপসংস্কৃতিরোধে এ অভিযান চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন:শেখ হাসিনার মানবিক সহায়তা সারা বিশ্বে এক অনন্য নজির: কৃষিমন্ত্রী
‘ভুঁইফোড় সংগঠনের কোন জায়গা আওয়ামী লীগে নেই’ উল্লেখ করে ড. রাজ্জাক বলেন, ‘ন্যায় ও সততার পথে থেকে দল করতে হবে। এটিই আওয়ামী লীগের ভিত্তি। যে দল একটি দেশ গঠন করেছে, সারা পৃথিবীর বুকে একটি নতুন জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে, যে দল প্রতিষ্ঠার পর থেকে সকল আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে- সেই দলে ভুঁইফোড় সংগঠনের কোন জায়গা নেই’।
৩ বছর আগে
জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী
কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ অবদান ও সাফল্যের জন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি স্বরূপ ২৭ ব্যক্তি ও পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার-১৪২৪’ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মনোনীতদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
আরও পড়ুন: জনগণের জীবন-জীবিকা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে ৫টি স্বর্ণপদক, ৯টি রৌপ্যপদক এবং ১৮টি ব্রোঞ্জপদক পেয়েছেন কৃষিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য।
কৃষি গবেষণা, সম্প্রসারণ, সমবায় উদ্বুদ্ধকরণ, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, নারীদের অবদান, বাণিজ্যিক খামার, বনায়ন, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি পালন এবং মাছ চাষ প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৪ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: সবুজ ভবিষ্যতের জন্য বেশি করে গাছ লাগানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন দেশের কৃষিনির্ভর অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এই পুরস্কারের প্রচলন করেন।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরে পরবর্তী সরকার এ পুরস্কার দেয়া বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: দেশে আন্তর্জাতিক মানের ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট তৈরি করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
কিন্তু ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রবর্তীত এই পুরষ্কারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার তহবিল আইন-২০০৯’ গঠন করে।
এই কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন, ২০১৬ কার্যকর করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
জনসংখ্যা বাড়লেও খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
ফসলের অনেক নতুন জাত ও চাষাবাদের প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ক্রমশ জনসংখ্যা বাড়লেও খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘দেশে খাদ্য নিরাপত্তায় অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। দেশে ১৭ কোটি মানুষ রয়েছে; আর প্রতি বছর বাড়ছে ২২-২৩ লাখ করে। অন্যদিকে নানা কারণে চাষযোগ্য জমির পরিমাণ কমছে। রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবও। এ অবস্থায় দেশের মানুষকে খাওয়ানো, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া কঠিন চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিজ্ঞানীরা নিরলসভাবে কাজ করছে।’
আরও পড়ুন: খামারিদের দেয়া সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলায় 'ব্রি-৮১ জাতের ধান কর্তন ও কৃষক সমাবেশ' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা কৃষিকে দিয়েছেন নতুন দিগন্ত: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, 'আজকে বরেন্দ্র অঞ্চলের রহনপুরের এই মাঠে ব্রি ৮১ জাতের ধান কাটা হচ্ছে। এর ফলন অনেক ভালো। বিঘা প্রতি ৩১ মণ, প্রতি শতকে প্রায় ১ মণ। এটি জনপ্রিয় ব্রি ২৮ ও ব্রি ২৯ জাতের মত। ব্রি ২৮ ও ২৯ দীর্ঘদিন ধরে চাষ হচ্ছে কিন্তু উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘সেজন্য এই নতুন ব্রি ৮১ জাতটি কৃষক পর্যায়ে দ্রুত সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চাষিরাও এটি চাষে ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছেন। অচিরেই ব্রি ধান ৮১ জনপ্রিয়তায় ব্রি ধান ২৮ এর মতো হবে। এ উচ্চফলনশীল জাতটি চাষের মাধ্যমে ধান উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়বে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় এটি আশানুরূপ ভূমিকা রাখবে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর।
আরও পড়ুন: ধান-চাল ক্রয়ের জন্য যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করা হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি হামিদুর রহমান, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, বারির মহাপরিচালক ড. নাজিরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব, কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
৩ বছর আগে
ধান-চাল ক্রয়ের জন্য যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করা হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
গত বছরের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এ বছর ধান-চালের অত্যন্ত যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহ কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গতবছর নানা কারণে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান-চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হয় নি। এ বছর ধান-চালের অত্যন্ত যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। যা বাজারের সাথে খুবই সঙ্গতিপূর্ণ। ফলে, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এ বছর ধান-চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: খামারিদের দেয়া সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
বুধবার ভার্চুয়ালি খুলনা জেলায় ‘কৃষকের অ্যাপ’ এ সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে লটারির মাধ্যমে ধান ক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি ও কৃষকবান্ধব। কৃষকের মুখে হাসি ফোটানোই তার লক্ষ্য। তাই তিনি কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তার নেতৃত্ব, দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার ফলেই অতি অল্প সময়ে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তায় এই অভূতপূর্ব সাফল্য সারা পৃথিবীর কাছে আজ এক বিস্ময়ে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা কৃষিকে দিয়েছেন নতুন দিগন্ত: কৃষিমন্ত্রী
খুলনার কৃষিতে বিপ্লব আনা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে কৃষির আমূল পরিবর্তনে সরকার কাজ করছে। লবণাক্ত জমিতে চাষের উপযোগী ফসলের বিভিন্ন জাত ও প্রযুক্তি ইতোমধ্যে উদ্ভাবিত হয়েছে। এগুলো চাষের মাধ্যমে লবণাক্ত জমিতে অনেক সাফল্য এসেছে। আরও নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন অব্যাহত থাকবে যাতে করে দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে কৃষি বিপ্লব ঘটানো যায়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, গত বছর খুলনা জেলাতে ডিজিটালি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী শতভাগ ধান-চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছিল। চলতি বছরেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।
এ সময় তিনি কৃষিমন্ত্রীর পক্ষে কৃষকের হাতে ধান ক্রয়ের প্রতিকী মূল্য তুলে দেন।
আরও পড়ুন: ফুল চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য নারায়ন চন্দ্র চন্দ, খাদ্যসচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
৩ বছর আগে