টানা ৫ম বারের মতো একক ব্যবহার্য প্লাস্টিক পণ্যের ক্ষেত্রে শীর্ষ দূষণকারীর অবস্থান ধরে রেখেছে বিখ্যাত কোমল পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলা।
সোমবার রাজধানীতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) এনভায়রনমেন্ট এন্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)-এর প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার স্থান অষ্টম
ইএসডিও’র প্রতিবেদন অনুসারে, ইএসডিও ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবকের সহায়তায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা শহর থেকে প্লাস্টিক বর্জ্যের মোট তিন হাজার ৮৬২টি নমুনা সংগ্রহ করেছে। সংগৃহীত বর্জ্যের মোট ওজন পরিমাপ করা হয়েছিল ১৬৬ কেজি।
এতে আরও বলা হয়েছে, গবেষণার জন্য সংগৃহীত মোট প্লাস্টিক বর্জ্যের মধ্যে কোকা-কোলার বর্জ্য ২০ দশমিক ৭৮ শতাংশ। নিকটতম প্রতিযোগী পেপসিকোর বর্জ্য ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। বাকি অংশ ইউনিলিভার ও নেসলের মতো বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর প্লাস্টিক বর্জ্য।
প্রতিবেদনে ৩৮টি স্থানীয় এবং ১৪টি আন্তর্জাতিক কোম্পানির নাম চিহ্নিত করেছে, যারা মোট ২২০টি ব্র্যান্ড উৎপাদন করে। সংগ্রহের পরে বর্জ্যগুলো বাছাই করা হয় এবং ব্র্যান্ডগুলোর তথ্য কার্ডগুলোতে রেকর্ড করা হয়।
গবেষণায় যেসব কোম্পানির বর্জ্য বেশি পরিমাণে পাওয়া গেছে, সেসব ব্র্যান্ড ও তাদের সংশ্লিষ্ট নির্মাতাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- কোকা-কোলা, পেপসি, মাম, প্রাণ, সানসিল্ক, বসুন্ধরা টিস্যু (প্যাকেট) ও ফ্রেশ টিস্যু (প্যাকেট) ইত্যাদি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব ও ইএসডিওর চেয়ারপারসন সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ইএসডিও’র সহকারী প্রোগ্রাম অফিসার হৃদিতা ফেরদৌস।
এসময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং ইএসডিও দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।