কোকা-কোলা
কোকা-কোলা বাংলাদেশকে কিনে নিল তুরস্কের কোকা-কোলা আইসেক
দক্ষিণ এশিয়ার বাজারে উপস্থিতি জোরদারে একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে ১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যে কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেডকে (সিসিবিবি) অধিগ্রহণের চুক্তি সই করেছে তুরস্কের কোকা-কোলা ইসেক (সিসিআই)।
সিসিআইয়ের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহায়ক সংস্থা সিসিআই ইন্টারন্যাশনাল হল্যান্ড বিভি (সিসিআইএইচবিভি) এবং কোকা-কোলা কোম্পানির (টিসিসিসি) একটি সহায়ক সংস্থার মধ্যে শেয়ার ক্রয় চুক্তি (এসপিএ) সই হয়।
আরও পড়ুন: সেমস-গ্লোবালের আয়োজনে ৩ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী চলছে
চুক্তিটি সিসিবিবির শতভাগ শেয়ার অধিগ্রহণের রূপরেখা দেয়, সিসিআইএইচবিভি প্রাথমিক সরাসরি শেয়ারহোল্ডার হিসাবে আবির্ভূত হয়।
সিসিবিবি বাংলাদেশে কোকা-কোলা কোম্পানির অধীনে ঝকঝকে এবং স্টিল উভয় ব্র্যান্ডের উৎপাদন, বিক্রয় এবং বিপণনের অন্যতম প্রধান পরিচালনাকারী হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
চুক্তির শর্তানুযায়ী, সিসিআই ১৩০ মিলিয়ন ডলারের এন্টারপ্রাইজ মূল্য থেকে সমাপ্তির তারিখ হিসাবে সিসিবিবির আনুমানিক নিট আর্থিক ঋণ বিয়োগ করে নির্ধারিত ইক্যুইটি ভ্যালুতে (ইক্যুইটি ভ্যালু) সিসিবিবির সম্পূর্ণ শেয়ারহোল্ডিং অর্জন করতে চলেছে।
সমাপ্তির তারিখ হিসাবে সিসিবিবির সুনির্দিষ্ট নেট আর্থিক ঋণের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য একটি বিস্তৃত সমাপনী নিরীক্ষণের পরে একটি পরবর্তী সমাপনী মূল্য সমন্বয় প্রক্রিয়া কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: টানা তৃতীয় বারের মতো দেশের সর্বপ্রিয় ই-কমার্স ব্র্যান্ড খেতাব জিতল দারাজ
অধিগ্রহণটি সিসিআইএইচবিভির বিদ্যমান নগদ সংস্থানগুলোর মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং এটি সিসিআইয়ের নেট লিভারেজের উপর একটি পরিমিত প্রভাব ফেলবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
এই কৌশলগত পদক্ষেপটি কেবল সিসিআইয়ের বিশ্বব্যাপী প্রভাবকে প্রসারিত করে না বরং উদীয়মান বাজারগুলোতে বৃদ্ধির সুযোগগুলোকে পুঁজি করার প্রতিশ্রুতিকেও জোরালো করে। অধিগ্রহণটি নিয়ন্ত্রক অনুমোদন এবং প্রথাগত বন্ধের শর্ত সাপেক্ষে এবং ভারতীয় উপমহাদেশের পানীয় শিল্পে একটি প্রধান পরিচালনাকারী হিসাবে সিসিআইয়ের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সিসিআইয়ের সিইও করিম ইয়াহি বলেন,‘আমরা সিসিবিবি অধিগ্রহণের জন্য শেয়ার ক্রয় চুক্তি সই করতে পেরে খুবই আনন্দিত, যা আমরা ভবিষ্যতের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনার সঙ্গে বাজারে প্রবেশের একটি দুর্দান্ত সুযোগ হিসাবে দেখি। এর মাধ্যমে সিসিআইয়ের মূল ক্ষমতা স্থাপন করে বৃদ্ধি এবং মান উৎপন্ন করা যেতে পারে। এই অধিগ্রহণটি সিসিআইয়ের জন্য আরও বৈচিত্র্যময় ভৌগলিক গুরুত্ব তৈরি করে এবং টিসিসিসির সঙ্গে এর প্রান্তিককরণকে দৃঢ় করে।
আরও পড়ুন: কোকাকোলা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নয়: হাইকোর্ট
১০ মাস আগে
নাহার চৌধুরীকে প্রথম বাংলাদেশি এমডি নিয়োগ দিল কোকা-কোলা
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বেভারেজ কোম্পানি কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে জু-উন নাহার চৌধুরীর নাম ঘোষণা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশে প্রথম কোনো নারী হিসেবে তিনি এ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পেলেন।
কোকা-কোলা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দেশের বোতলজাতকরণ এবং ব্যবসায়িক অংশীদার, গ্রাহক ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন নাহার চৌধুরী।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ‘রাষ্ট্রদূত ভ্রমণ অনুদান’ ঘোষণা
নাহার চৌধুরী ইউনিলিভারের মার্কেটিং বিভাগের ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ইউনিলিভার বাংলাদেশের বিভিন্ন পদে তিনি কাজ করেছেন।
তার নেতৃত্বে দেশব্যাপী ‘লাইফবয় হাত ধোয়া ক্যাম্পেইন/হ্যান্ডওয়াশিং ক্যাম্পেইন’ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নেয়। দেশের ৬০টির বেশি এলাকায় ৮৬ হাজার তরুণ একই সঙ্গে এ ক্যাম্পেইনে অংশ নেয়।
২০১৪ সালে রেকিট বেনকিজারে যোগদানের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ায় কর্মজীবন শুরু হয় জু-উন নাহার চৌধুরীর। সেখানে তিনি ডেটলের ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন।
পরবর্তী সময়ে ডানোন ইন্দোনেশিয়ার হেড অব ইনোভেশন হিসেবে কাজ করার পর তিনি এফএমসিজি পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এই এন্ড-টু-এন্ড ই-কমার্স ফ্যাসিলিটেটর প্রতিষ্ঠানটি আসিয়ানভুক্ত সাতটি দেশে কাজ করে।
ইন্দোনেশিয়ায় আট বছর কাটিয়ে ২০২৩ সালে দেশে ফিরে তিনি এপেক্স-এর মার্কেটিং ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পণ্যের নতুন বাজার খুঁজুন: ডিআইটিএফ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী
নতুন দায়িত্ব গ্রহণ সম্পর্কে কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জু-উন নাহার চৌধুরী বলেন, ‘বোতলজাত পার্টনার কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস (সিসিবিবি) ও আবদুল মোনেম লিমিটেড (এএমএল) এবং অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করে ভোক্তাদের সতেজ রাখতেও আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে কোকা-কোলার এই যাত্রায় নেতৃত্ব দিতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং আমাদের ব্র্যান্ড ও ফ্র্যাঞ্চাইজি কার্যক্রমকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
নাহার চৌধুরী বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে এই পদে নিয়োগ পেয়েছেন এবং তিনি ২০২১ সালে যোগ দেওয়া সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তা জি তুংয়ের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
ফ্র্যাঞ্চাইজ অপারেশনস ফর সাউথওয়েস্ট এশিয়ার (এসডব্লিউএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট অজয় বিজয় বাতিজা বলেন, ‘আমরা জু-উনকে কোকা-কোলায় স্বাগত জানাই। কোকা-কোলা কোম্পানি বাংলাদেশের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজারে একটি টেকসই ব্যবসা গড়ে তোলার উপর তার দৃষ্টি পুনর্ব্যক্ত করে। জু-উন দেশে কোম্পানির যাত্রার একটি উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে যোগদান করেছেন এবং আমাদের অংশীদাররা এফএমসিজি এবং ই-কমার্সে তার বিস্তৃত অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু অর্জন করবে।’
কোকা-কোলা বাংলাদেশের প্রথম কোম্পানি যারা বাংলাদেশে শতভাগ রিসাইকেল করা পিইটি বোতল বাজারে ছেড়েছে। ডিজিটাল মিউজিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কোক স্টুডিও বাংলার ২ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন+ সাবস্ক্রাইবার নিয়ে একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। যা বাংলাদেশের কয়েকটি বড় ব্র্যান্ডের সম্মিলিত গ্রাহক সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
১১ মাস আগে
কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস-এর বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ সচেতনতা কর্মসূচি আয়োজন
ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয় এবং বন বিভাগ- এর সহযোগিতায় কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস সম্প্রতি বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ সচেতনা কর্মসূচি আয়োজন করেছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে ২০ হাজারেরও বেশি চারা ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তর করা হয়। যার মাধ্যমে প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি স্থানীয় বাসিন্দা উপকৃত হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। এই বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে, নেট-জিরো কার্বন নিঃসরণ, ওয়াটার স্ট্যুয়ার্ডশিপ ও ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়েইস্ট-এর মত দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচিকে সামনে রেখে জলবায়ু মোকাবিলায় টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেড।
এরই ধারাবাহিকতায় পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এই বৃক্ষরোপণ এবং পরিবেশ সচেতনতা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এই বছরের জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও জাতীয় পরিবেশ ও বৃক্ষমেলা ২০২৩ এর প্রতিপাদ্য-‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’।
ময়মনসিংহ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবস ও জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ২০২৩ এর প্রাক্কালে কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ অভিযান উদযাপন ও গাছের চারা বিতরণের যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, ময়মনসিংহ বন বিভাগ এটিকে স্বাগত জানাচ্ছে। এ ধরনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে অপরাপর কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ও ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গ অবদান রাখলে বৃক্ষরোপণে আপামর জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং এ ধরনের সামাজিক আন্দোলন এক টেকসই রূপ পরিগ্রহ করবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পানির নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন ও ওয়াটারএইড এর যৌথ উদ্যোগ
আয়োজনটির প্রশংসা করে পরিবেশ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক, দিলরুবা আহমেদ বলেন,‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তোলা আমাদের দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগোপযোগী ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে বর্তমান সরকার পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত কার্যকরভাবে মোকাবিলায় বেশ কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং সেগুলো সুষ্ঠু বাস্তবায়নে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, সেখানেও পরিবেশ সুরক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস দেশের এই উদ্যোগে অংশীদার হিসেবে সামিল হচ্ছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। পরিবেশ রক্ষায় এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের এমন আরও সফল পাবলিক-প্রাইভেট উদ্যোগ গ্রহণ করে সবার জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে।’
সিসিবিবিএল’র পাবলিক রিলেশনস, কম্যুনিকেশন এন্ড সাস্টেইনেবিলিটি’র পরিচালক আনোয়ারুল আমিন বলেন, ‘কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে এ ধরণের আয়োজন খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমাদের বিশ্বাস’।
তিনি বলেন, ‘রোপণ করা প্রতিটি চারাই ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান বিনিয়োগ, আর আগামী প্রজন্মের মাঝে এই বিনিয়োগের গুরুত্ব অনুধাবন করার সক্ষমতা আমাদেরকেই তৈরি করে যেতে হবে। এই আয়োজনে আমাদের সর্বোত সহযোগীতা করার জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ’।
প্রতিষ্ঠানের পাবলিক রিলেশনস, কম্যুনিকেশন এন্ড সাস্টেইনেবিলিটি’র পরিচালক আনোয়ারুল আমিন; পরিবেশ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক (উপসচিব) দিলরুবা আহমেদ; ও ময়মনসিংহ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গড়ার চাবিকাঠি হিসেবে তরুণ শিক্ষার্থীদের হাতে গাছের চারাগুলো তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্রিটেনের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশবান্ধব লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘বর্ণন’ এর যাত্রা শুরু
১ বছর আগে
বাংলাদেশে পানির নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন ও ওয়াটারএইড এর যৌথ উদ্যোগ
জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ওয়াশ (ওয়াটার, স্যানিটেশন অ্যান্ড হাইজিন) সেবার উন্নয়ন এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে পানির ঘাটতি পূরণ ব্যবস্থা প্রচারের লক্ষ্যে এবার কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন ও ওয়াটারএইড বাংলাদেশ যৌথভাবে কাজ করছে।
সাভার ও সুনামগঞ্জে পানি ও স্যানিটেশন নিরাপত্তার উন্নয়নের জন্য ‘প্রোমোটিং ওয়াটার রিপ্লেনিশমেন্ট অ্যান্ড ওয়াশ সার্ভিসেস’- শিরোনামের একটি প্রকল্পে কাজ করবে তারা।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ১৮ মাস পর্যন্ত চলাকালীন প্রকল্পটি চলবে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজের উপযোগী অবকাঠামো তৈরি করতে হবে: মন্ত্রী
সোমবার (১৫ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় টেকসই পানির নিরাপত্তার জন্য সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড (সিআরপি)-র ক্যাম্পাসে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে।
এছাড়া, পান করা ছাড়া অন্য প্রয়োজনের ক্ষেত্রে বৃষ্টির পানি ব্যবহার করার জন্য কার্যকর রিসাইক্লিং পদ্ধতি চালু করা হবে। সাভারের সিআরপি-তে কাজের পাশাপাশি জুলাই ২০২২-এর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সুনামগঞ্জ জেলায়ও সংস্কারের কাজ হাতে নেওয়া হবে।
কার্যকর স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের উদ্দেশ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দুইটি স্কুল ও পাঁচটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বেছে নেওয়া হয়েছে।
এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে ৩০ হাজারের বেশি সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছানো যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট সাদিয়া ম্যাডসবার্গ বলেন, দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের কাছে নিরাপদ পানির টেকসই সহজলভ্যতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
তিনি আরও বলেন, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পানির সহলভ্যতা বাড়াতে ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কাজে সহায়তা করতে পেরে আমরা গর্বিত।
এই প্রকল্পটি সুনামগঞ্জে বসবাসকারী জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা তৈরি করবে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার পুনর্বাসন সহায়তার পাশাপাশি এর লক্ষ্য থাকবে বিশেষত যেকোনো দুর্যোগের সময় ওয়াশ সংস্থানগুলোর পরিচালনা বিষয়ে প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের জন্য স্থানীয় জনগোষ্ঠীর দক্ষতার উন্নয়ন করা।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশকনিধন কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে বিএনসিসি ও স্কাউট
প্রকল্পটি ৬০ হাজার এর বেশি প্রত্যক্ষ সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। যাদের ৬০ শতাংশ-এর বেশি কিশোর-কিশোরী এবং/অথবা তরুণী।
ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, পরিবর্তিত জলবায়ুর কারণে বাংলাদেশের মতো দেশকে নানা ধরনের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। এর অন্যতম হলো জনগোষ্ঠী ও পরিবেশের জন্য পানির নিরাপত্তা।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি যে, টেকসই বাংলাদেশ এবং সংরক্ষণ ও সহনশীলতার মডেল গড়ে তোলার জন্য পানি ও স্যানিটেশন নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়াটারএইড এবং কোকা-কোলা বাংলাদেশের এই যৌথ প্রকল্পের মাধ্যমে জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য একটি বাস্তব পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব।
একইসঙ্গে পানির নিরাপত্তার জন্য বৃহৎ আকারের অভিযোজন সমাধান প্রদর্শন ও জনগোষ্ঠীর মাঝে ওয়াশ সহজলভ্য করে তোলাও সহজ হবে।
২০১৭ সালে সংস্থা দুইটি মিলিতভাবে একটি ওয়াশ উদ্যোগ নিয়ে কাজ করেছিল। এর লক্ষ্য ছিল স্কুল এবং কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য জলবায়ু-সহনশীল অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশন সুবিধার বিকাশ করা, জনগোষ্ঠীর মাঝে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা, ওয়াশ অভিযোজন সম্পর্কে স্থানীয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জ্ঞান বৃদ্ধি করা এবং নির্দিষ্ট কাজের জন্য পানি প্রযুক্তি (ভূগর্ভস্থ পানি রিচার্জ সিস্টেম এবং রিভার্স অসমোসিস প্ল্যান্ট) স্থাপন করে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী পানযোগ্য পানির প্রাপ্যতা বৃদ্ধি করা।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২৭টি বিদ্যালয় ও ৪০০টি পরিবারকে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা প্রদান করা হয়েছে, যার ফলে ১৯ হাজারের বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী পেয়েছে উন্নত স্যানিটেশনের সুবিধা।
সেই সঙ্গে ৭ হাজারের বেশি নারী ও মেয়ের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতেও কাজ করা হয়েছে।
এছাড়া জনগোষ্ঠীর ৫৩ হাজারের বেশি মানুষের জন্য স্যানিটেশন সুবিধা উন্নত করেছে প্রকল্পটি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখায় টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনের ২ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, ১০ হাজার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত: প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
৫ম বারের মতো একক ব্যবহারের শীর্ষ প্লাস্টিক দূষণকারী কোকা-কোলা
টানা ৫ম বারের মতো একক ব্যবহার্য প্লাস্টিক পণ্যের ক্ষেত্রে শীর্ষ দূষণকারীর অবস্থান ধরে রেখেছে বিখ্যাত কোমল পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলা।
সোমবার রাজধানীতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) এনভায়রনমেন্ট এন্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)-এর প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার স্থান অষ্টম
ইএসডিও’র প্রতিবেদন অনুসারে, ইএসডিও ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবকের সহায়তায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা শহর থেকে প্লাস্টিক বর্জ্যের মোট তিন হাজার ৮৬২টি নমুনা সংগ্রহ করেছে। সংগৃহীত বর্জ্যের মোট ওজন পরিমাপ করা হয়েছিল ১৬৬ কেজি।
এতে আরও বলা হয়েছে, গবেষণার জন্য সংগৃহীত মোট প্লাস্টিক বর্জ্যের মধ্যে কোকা-কোলার বর্জ্য ২০ দশমিক ৭৮ শতাংশ। নিকটতম প্রতিযোগী পেপসিকোর বর্জ্য ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। বাকি অংশ ইউনিলিভার ও নেসলের মতো বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর প্লাস্টিক বর্জ্য।
প্রতিবেদনে ৩৮টি স্থানীয় এবং ১৪টি আন্তর্জাতিক কোম্পানির নাম চিহ্নিত করেছে, যারা মোট ২২০টি ব্র্যান্ড উৎপাদন করে। সংগ্রহের পরে বর্জ্যগুলো বাছাই করা হয় এবং ব্র্যান্ডগুলোর তথ্য কার্ডগুলোতে রেকর্ড করা হয়।
গবেষণায় যেসব কোম্পানির বর্জ্য বেশি পরিমাণে পাওয়া গেছে, সেসব ব্র্যান্ড ও তাদের সংশ্লিষ্ট নির্মাতাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- কোকা-কোলা, পেপসি, মাম, প্রাণ, সানসিল্ক, বসুন্ধরা টিস্যু (প্যাকেট) ও ফ্রেশ টিস্যু (প্যাকেট) ইত্যাদি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব ও ইএসডিওর চেয়ারপারসন সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ইএসডিও’র সহকারী প্রোগ্রাম অফিসার হৃদিতা ফেরদৌস।
এসময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং ইএসডিও দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশের অধিকাংশ স্থানে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে
রবিবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’
২ বছর আগে