বৃহস্পতিবার ভিস্তারা এয়ারলাইন্সের ঢাকা-দিল্লি রুটে ফ্লাইট উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
মাহবুব আলী বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে সাত মাস বন্ধ থাকার পর এয়ার বাবল ব্যবস্থাপনার আওতায় গত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বিমান চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে। ফলে দুই দেশের জনগণেরই চিকিৎসা, বাণিজ্যিক, পারিবারিক, পর্যটন ও অন্যান্য কারণে ভ্রমণ সহজতর ও অপেক্ষাকৃত আরামদায়ক হবে।
‘এই ব্যবস্থাপনার অধীনে মহামারির এই সময়ে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আকাশ পথে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় প্রবাহের যে শঙ্কা রয়েছে তা থেকে নিজেদের সুরক্ষিত করতে হলে ও সংক্রমণ রোধ করতে হলে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের কোনো বিকল্প নেই,’ বলেন প্রতিমন্ত্রী।
মাহবুব আলী বাংলাদেশ ও ভারতের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এই সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবেই উষ্ণ। দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নেতৃত্বের যে পরিপক্কতা তা পৃথিবীর খুব কম প্রতিবেশীর মধ্যেই রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে তৈরি হওয়া সম্পর্ক বর্তমানে দুই দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্কের পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জনগণের সাথে জনগণের সংযোগ হলে দু'দেশের মধ্যকার বাণিজ্য, নিরাপত্তা, কূটনীতি, অর্থনীতি ও পর্যটনসহ সকল কিছুরই কাঙ্খিত উন্নয়ন সাধিত হয়। তাই বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দুই বন্ধু রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে আরও সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, সদস্য (পরিচালনা) এয়ার কমোডর মো. খালিদ হোসেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদ উল আহসান, ভিস্তারা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক কাইজাদ পেসি পোস্টওয়ালা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ভারতের টাটা সন্স এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ভিস্তারা এয়ারলাইন্স আপাতত এয়ার বাবল ব্যবস্থাপনার আওতায় সপ্তাহে রবিবার ও বৃহস্পতিবার দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে। ভিস্তারা ভারতের অভ্যন্তরীণ যাত্রাপথে প্রিমিয়াম ইকোনমি সেবা প্রদানকারী প্রথম এয়ারলাইন্স।