নিহতরা হলেন- সাজেকের কংলাক ভোট কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও কাছালং গার্লস স্কুলের শিক্ষক মো. আমির আলী (৩৭), কাছালং বাজারের তফসিল আহমেদের স্ত্রী ও আনসার ভিডিপি সদস্য জাহানারা বেগম (৪০), কারস্থালির সাধু বশাকের ছেলে মিহির কান্তি দত্ত (৪০), পাইলাগনার নুর আলীর মেয়ে বিলকিস আখতার (৫০), সারিক্কার সেলিমের ছেলে মো. আল আমিন (২৫) এবং বাসের সহকারী মন্টু চাকমা।
তবে তৈয়ব নামের নিহত অপরজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবির জানান, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গণনা শেষে নির্বাচনী কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চারটি গাড়িতে করে উপজেলা সদর দপ্তরে ফিরছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাঘাইছড়ির নয় কিলোমিটার এলাকায় পাহাড়ের ওপর থেকে শেষ গাড়িতে গুলিবর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই ছয়জন নিহত হন এবং অন্যরা আহত হন।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় হতাহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল হান্নান, পাঁচ পুলিশ সদস্য এবং তিন আনসার সদস্যসহ আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সাথে কারা জড়িত তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি প্রশাসন।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, বাঘাইছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এম এন লারমা) বারোরিশি চাকমা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (সংস্কার) সুদার্শর চাকমা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
বারোরিশি নির্বাচনের মধ্যবর্তী সময়ে তা বর্জনের ঘোষণা দেন। ঘোষণার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হামলার হুমকি দিয়ে বিভিন্ন পোস্ট দেয়া হয়।