আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ারসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা বিষয়ক দ্বিতীয় উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে (বাপা+৪০) বৃহস্পতিবার তিনি এ আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার আওতাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান সুবিধা ও সুযোগের পূর্ণ ব্যবহার করে কারিগরি সহযোগিতা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষির আধুনিকায়ন এবং ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে নিজ নিজ দেশের অর্জিত অভিজ্ঞতা ও সর্বোত্তম অনুশীলন পারস্পরিকভাবে বিনিময় করার আহ্বান জানান।
তিনি উপরোক্ত বিষয়গুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত বাংলাদেশের সাফল্য গাঁথা তুলে ধরেন।
দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতাকে এগিয়ে নিতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা ও দ্বিপাক্ষিক দাতা গোষ্ঠীর সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
দক্ষিণের দেশগুলোর উন্নয়ন, অর্থ, অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের একটি ফোরাম গঠন এবং ঢাকায় ‘দক্ষিণ-দক্ষিণ জ্ঞান ও উদ্ভাবনী কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠাসহ এ জাতীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে দক্ষিণ-দক্ষিণ ও ট্রায়াঙ্গুলার সহযোগিতার প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো শক্তিশালীকরা এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যেতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দক্ষিণের দেশগুলোতে এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়ন এগিয়ে নিতে উন্নয়ন সহযোগিদের প্রতিশ্রুত আর্থিক সহযোগিতা দেয়া এবং উন্নত দেশগুলোর প্রযুক্তিগত জ্ঞান হস্তান্তরের পাশপাশি দক্ষিণের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর জোর দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে আবদুল মোমেন প্লেনারি সেশনে সভাপতিত্ব করার পাশাপাশি তিনটি ইন্টারেক্টিভ প্যানেল আলোচনা ও একটি সাইড ইভেন্টসহ বেশ কয়েকটি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনের ফাঁকে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে একটি পৃথক বৈঠক করেন যেখানে আবদুল মোমেন অংশগ্রহণ করেন এবং এশিয়ার সামগ্রিক উন্নয়নের বিষয়ে বক্তব্য দেন।