সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ১৯২তম ঈদ জামাতে ইমামতি করেন বড় বাজার মারকায মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. হিফজুর রহমান খান।
প্রতিবারের মতো জামাত শুরুর ৫ মিনিট আগে তিনটি, তিন মিনিট আগে দু’টি এবং এক মিনিট আগে একটি গুলি ছুড়ে জামাত শুরুর সংকেত দেয়া হয়।
জামাত শুরুর পর কয়েক ঘণ্টার জন্য আশপাশের সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
২০১৬ সালে ঈদুল ফিতরের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহের কাছে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে এবারও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। ঈদগাহ ঘিরে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।
প্রত্যেক মুসল্লিকে তল্লাশির মাধ্যমে ঈদগাহে প্রবেশ করানো হয়। নিরাপত্তায় আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর ও ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। ঈদুল আজহা উপলক্ষে শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে দুটি বিশেষ ট্রেন আসা যাওয়া করে।
জেলা প্রশাসক ও ঈদগাহ কমিটির সভাপতি মো. সারওয়ার মোর্শেদ চৌধুরী জানান, শান্তিপূর্ণভাবে শোলাকিয়ার ১৯২তম ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর ও ড্রোন ক্যামেরা থাকায় মুসুল্লিরা নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করতে পেরেছেন।
এদিকে প্রতি বছরের মত এবারও ঈদ জামাতে শরীক হন রাজনীবিদ, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
প্রসঙ্গত, মসনদ-ই-আলা ঈশাখাঁর ৬ষ্ঠ বংশধর দেওয়ান মান্নান দাদ খান ১৮২৮ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ৭ একর জমির উপর এ ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথম অনুষ্ঠিত জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন বলে মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখি মাঠ’। সেখান থেকে উচ্চারণের বিবর্তনে নাম ধারণ করেছে আজকের শোলাকিয়া মাঠ। সেখানে আজ নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও দেশের বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতির উত্তরণ কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।