কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেল ২৩ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্সে এবার মিলেছে ২৩ বস্তা টাকা ও স্বর্ণালংকার।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এখন চলছে গণনার কাজ।
ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে ৮টি দানবাক্স থাকলেও এবার আরো একটি দানবাক্স বাড়ানো হয়েছে। দানের পরিমাণ বাড়ায় এখন পাগলা মসজিদের দানবাক্সের সংখ্যা ৯টি। এবার ৩ মাস ২০দিন দিন পর খোলা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সকাল সাড়ে ৭টায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে সকল দানবাক্সগুলো খোলা শুরু হয়।
৯টি দানবাক্স পাওয়া গেছে ২৩বস্তা টাকা। এখন চলছে গণনার কাজ। গণনা শেষে টাকার পরিমাণ জানা যাবে। টাকা-স্বর্ণালংকার ছাড়াও এই মসজিদে প্রতিদিন হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বহু মানুষ।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানসিন্দুকে রেকর্ড ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা মিলল!
কিশোরগঞ্জে ইঞ্জিনসহ ট্রেন লাইনচ্যুত, ভৈরব-ময়মনসিংহ রেলপথ বন্ধ
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর গচিহাটা রেলস্টেশনে আন্তঃনগর ‘কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এরপর ভৈরব-ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় কিশোরগঞ্জ থেকে 'কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস' ট্রেনটি ঢাকা অভিমুখে ছেড়ে যাওয়ার পর ৪টা ২০মিনিটে কটিয়াদীর গচিহাটা রেলস্টেশন পয়েন্টে ট্রেনটি ঢোকার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তবে, এই ঘটনায় এখনও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
কিশোরগঞ্জ স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহ অভিমুখে 'বিজয় এক্সপ্রেস' ট্রেনটি গচিহাটা স্টেশনে থেমে থাকার সময় ঢাকা অভিমুখী 'কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস' ট্রেনের সঙ্গে ক্রসিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্রসিংয়ের জন্য পয়েন্ট লাইন পরিবর্তনের সময় 'কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস' ট্রেনের ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে।
ফলে 'বিজয় এক্সপ্রেস' ট্রেনের লাইনেই কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি রয়ে যায়। এতে, গচিহাটা স্টেশনে বিজয় এক্সপ্রেস আটকা পড়ে। এতে ভৈরব-ময়মনসিংহ রুটে সব ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন রেলস্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, উদ্ধারকারী ট্রেনের জন্য বার্তা পাঠানো হয়েছে।
স্টেশন মাস্টার আরও বলেন, আখাউড়া থেকে রিলিফ ট্রেন আসার পর উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হবে। উদ্ধারকারী ট্রেন এসে ইঞ্জিন ও বগিগুলো লাইনে উঠানোর পর পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে তেলবাহী ট্রেনের দু’টি বগি লাইনচ্যুত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন লাইনচ্যুত: তদন্ত কমিটি গঠন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কন্টেইনার ট্রেন লাইনচ্যুত, চলাচল আংশিক ব্যাহত
কুলিয়ারচরে দাঁড়িয়ে থাকা পণ্যবাহী পিকআপভ্যানে আগুন
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপভ্যানে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টায় কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পিকআপভ্যানের চালক মান্নান মিয়া শরীয়তপুরের বাসিন্দা।
বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর ষষ্ঠবারের ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপভ্যানে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অবরোধকারীদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়নের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করেন বিএনপি ও সহযোগী দলের নেতা-কর্মীরা। পরে সেখানে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বিজয়নগরে বাসে আগুন
বিক্ষোভ চলাকালে দুর্বৃত্তরা ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পণ্যবাহী পিকআপভ্যানের চালককে নামিয়ে গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় আগুন নেভালেও, পিকআপভ্যানের অনেকাংশ পুড়ে যায়।
এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা বেশ কয়েকটি ট্রাক ফেরত যায়।
সাময়িক যান চলাচল বন্ধ থাকলেও, পরে পুলিশের সহযোগিতায় স্বাভাবিক হয়।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ভোরে রাস্তা অবরোধ করে পিকআপভ্যানে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পুলিশ সেখানে গিয়ে আগুন নেভান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সেখানে পুলিশ অবস্থান করছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্তপূর্বক অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় পুলিশের জব্দ করা বাসে আগুন
সিলেটে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে আগুন
কিশোরগঞ্জে কৃষক হত্যার দায়ে ৭ জনের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে কৃষক মানিক মিয়া হত্যা মামলায় সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সাত আসামির মধ্যে রায় ঘোষণার সময় ছয়জন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বনফুলের দুই কর্মী হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন
নিহত মানিক মিয়া চরআলগী গ্রামের কলিম উদ্দিনের ছেলে।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. শফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, বাবুল মিয়া, লিঙ্কন, এমদাদুল হক, মাজেদুল হক ও রইসউদ্দিন।
তাদের মধ্যে শফিকুল পলাতক রয়েছেন। তারা সবাই হোসেনপুরের সীমান্তবর্তী ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার চরআলগী গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের সঙ্গে একই গ্রামের মানিক মিয়াদের জমিসংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এসব নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার ঝগড়াবিবাদ ও দরবার সালিস হলেও বিরোধ কমছিল না। এর জের ধরে ২০০৫ সালের ২ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে কৃষক মানিক কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের হাজিপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন। আসামিরা তাকে কুপিয়ে মরাত্মকভাবে জখম করে। পরে মুর্মূষু অবস্থায় তাকে গফরগাঁও উপজেলা হাসপতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার দুদিন পর ৪ নভেম্বর নিহতের বড়ভাই আনিছুর রহমান সাতজনের নাম উল্লেখ করে হোসেনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। হত্যার ১৮ বছর পর মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
আরও পড়ুন: নাটোরে হত্যা ও ধর্ষণের পৃথক মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কিশোরগঞ্জে বিএনপি-আ. লীগ-পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ২
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও ১০ পুলিশসদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- ছয়সূতি ইউনিয়নের কাজল মিয়ার ছেলে বিল্লাল মিয়া (৩০) ও কাউসার মিয়ার ছেলে রেফায়েত মিয়া (২০)।
স্থানীয়রা জানান, বিএনপি, জামায়াত ও সহযোগী সংগঠনের ডাকা ৩ দিনের দেশব্যাপী অবরোধের সমর্থনে বাসস্ট্যান্ডের কাছে সড়ক অবরোধ করে বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: ঢাকায় নিহত বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদের লাশ নাটোরে পৌঁছেছে
এক পর্যায়ে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে ৩ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও ১০ পুলিশসদস্যসহ ২০ জন আহত হন।
এ বিষয়ে ইউএনবি প্রতিবেদক একাধিক বার চেষ্টা করেও প্রশাসনের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হননি।
তবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম দাবি করেছেন, নিহত দুজন বিএনপির কর্মী এবং তারা ‘পুলিশের গুলিতে’ নিহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অবিলম্বে রেফায়েত মিয়া ও বিল্লাল মিয়ার লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের আহ্বান জানান এবং ‘পুলিশের গুলিতে’ তাদের হত্যার তীব্র নিন্দা জানান।
আরও পড়ুন: ভারতে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৬, আহত ৪০
কিশোরগঞ্জে ইউএনও'র গাড়ি ভাঙচুর
কিশোরগঞ্জে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল চলাকালে ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
সকাল ৮টার দিকে জেলার শোলাকিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে হরতাল সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ জানান, গাড়িটি কিশোরগঞ্জ জেলার শোলাকিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা গাড়িটি থামিয়ে ভাঙচুর করে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালে ঢাকার সড়ক ফাঁকা, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর
কিশোরগঞ্জে ট্রেন দুর্ঘটনা: নিহতের পরিবারের পক্ষে মামলা
কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে জংশনে ট্রেন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত দল। ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষে ভৈরব রেলওয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন বিল্লাল হোসেন।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকালে ভৈরব রেলওয়ে থানায় বাদী হয়ে মালবাহী ট্রেনটির চালক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী চালক আতিকুর রহমান ও পরিচালক (গার্ড) মো. আলমগীরকে আসামি করে মামলাটি করা হয়েছে।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটি।
মামলার বাদী বিল্লাল হোসেন ভৈরব শহরের আমলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার গ্রামের বাড়ি বেলাবো উপজেলার সল্লাবাদ।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ট্রেন দুর্ঘটনা: নিহত ১৮, হস্তান্তর ১৭
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গাফিলতি আর তাচ্ছিল্য ছিল বলেই ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে। তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে দুর্ঘটনা ঘটতো না, এত মানুষের ক্ষতিও হতো না।’
ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলীম হোসেন শিকদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে।
তদন্ত কমিটি ও কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, ডিজিটাল সিগনাল সিস্টেম থাকায় একটি ট্রেনের সিগনাল দেওয়া হলে পরবর্তীতে লাইন ক্লিয়ার না হওয়া পর্যন্ত সফটওয়ারের মাধ্যমে অন্য কোনো লাইনে সিগনাল দেওয়া যায় না। সকল লাইনে লাল বাতি জ্বলে থাকবে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জ ট্রেন দুর্ঘটনা: ফায়ার সার্ভিসের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন
কিন্তু ঘটনার দিন কন্টেইনারবাহী ট্রেনটি সিগনাল মানেনি। যার ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ জন্য কন্টেইনারবাহী ট্রেনের ৩ জনকে সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত দল ঘটনা স্থল পরিদর্শন করছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা জানান তদন্ত কমিটির সদস্য আবুল কালাম।
উল্লেখ, সোমবার বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে কিশোরগঞ্জ ভৈরব রেলওয়ে জংশনে এগারো সিন্ধুর গোধূলি ট্রেনকে একটি মালবাহী ট্রেন ধাক্কা দিলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন ১ জন ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ইউসুফ বলেন, ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। কিন্তু বুধবার সকাল থেকে সঠিক সময়ে ট্রেন চলাচল করছে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ট্রেন দুর্ঘটনা: ৩টি তদন্ত কমিটি গঠন
কিশোরগঞ্জে ট্রেন দুর্ঘটনা: নিহত ১৮, হস্তান্তর ১৭
কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয় ও জেলা পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে অজ্ঞাত একজনসহ নিহত ১৭ জনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেছে।
এদিকে, মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন একজন মারা গেছেন। ফলে, এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
আজ বিকালে একটি লাশের কাপড় দেখে তার স্বজনরা শনাক্ত করেন। তবে, লাশটির বিকৃতির কারণে স্বজন নিশ্চিত করতে অধিকতর যাচাইয়ে ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। ডিএনএ পরীক্ষা রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে তা হস্তান্তর করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ বলেন, চিকিৎসাধীন একজনসহ রেল দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন। ১৭ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে অন্য লাশটি হস্তান্তর করা হবে।
নিহতদের মধ্যে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বনাটি গাঙ্গাইলপাড়া গ্রামের একই পরিবারের ৪ জন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভৈরব দুর্ঘটনা: ৭ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু, মালবাহী ট্রেনের চালকসহ ৩ জন বরখাস্ত
নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকার (দাদন কমিশনারের বাড়ির পাশে) মো. কাশেমের ছেলে গোলাপ (২৩), মিঠামইন উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে সাইমন মিয়া (২২) ও ভরা গোলহাটি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে রাসেল মিয়া (২৬), করিমগঞ্জ উপজেলার সাকুয়া গ্রামের (নদীর পশ্চিম পাড়) জোনায়েদ হোসেনের স্ত্রী হোসনা খাতুন (২৩), ভৈরব উপজেলার রাণীবাজার এলাকার প্রবোধ চন্দ্র শীলের ছেলে সবুজ চন্দ্র শীল (৫০), আগানগর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আফজাল হোসাইন (২৪), শ্রীনগর গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে রাব্বী (৩০), আমলাপাড়া এলাকার (স্থায়ী ঠিকানা নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মাহমুদাবাদ গ্রাম) দর্শন মিয়ার ছেলে নজরুল (৪০)।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জ ট্রেন দুর্ঘটনা: ফায়ার সার্ভিসের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন
বাকিরা হলেন- কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর ঘাটিপাড়া গ্রামের মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে হুমায়ুন কবির (৫৭), বাজিতপুর উপজেলার ডুয়াইগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে আছির উদ্দিন (৩৪), ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বনাটি গাঙ্গাইলপাড়া গ্রামের মহিজ উদ্দিনের ছেলে সুজন মিয়া (৩৪), তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৫) ও তাদের দুই ছেলে যথাক্রমে সজীব (১১) ও ইসমাঈল (৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার বরইচারা গ্রামের মৃত সদর আলী সরকারের ছেলে নিজাম উদ্দিন (৬৫), ঢাকার দক্ষিণ খান থানার ৭৮ নর্দা পাড়া এলাকার (ইয়াকুব আলী রোড, বায়তুস সুজুত জামে মসজিদের পাশে) মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে একেএম জালাল উদ্দিন আহম্মেদ (৩৭) ও অজ্ঞাত পুরুষ (৩৩)।
সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতদের তালিকা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৭
কিশোরগঞ্জ ট্রেন দুর্ঘটনা: ফায়ার সার্ভিসের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন
সোমবার বিকালে কিশোরগঞ্জে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হওয়ার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের উপ-সহকারী পরিচালক শাহজাহান সিকদার বলেন, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (সদস্য সচিব) মো. মাসুদ সরদার; নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (সদস্য) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ; কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (সদস্য) মো. এনামুল হক এবং ভৈরব বাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের (সদস্য) স্টেশন অফিসার মো. আজিজুল হক।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৭
এর আগে সোমবার রাতে ট্রেন দুর্ঘটনা তদন্তে পৃথক তিনটি কমিটি গঠন করা হয়।
সোমবার কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব রেলস্টেশনে যাত্রীবাহী ট্রেনের দুটি বগিতে একটি পণ্যবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে অন্তত ১৭ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে কার্গো ট্রেনটি কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী এগারসিন্ধুর ‘গোধূলী এক্সপ্রেস’কে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী ট্রেনটি বাইরের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল।
দুর্ঘটনায় উল্টে যাওয়া তিনটি বগি লাইন থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর আজ ভোর সাড়ে ৩টায় উদ্ধার অভিযান শেষ ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের স্মরণে শোক পালন করছে বাংলাদেশ
কিশোরগঞ্জে ট্রেন দুর্ঘটনা: ৩টি তদন্ত কমিটি গঠন
সোমবার বিকালে কিশোরগঞ্জে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হওয়ার ঘটনায় তিনটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.সিরাজ-উদ-দৌলা খান নিশ্চিত করেছেন, চট্টগ্রাম রেলওয়ের গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিতে সিওপিএস মো. শহিদুল ইসলাম, চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ জাকির হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী আরমান হোসেন, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (সিএসপি) তুষার এবং চিফ মেডিকেল অফিসার আহাদ আলী সরকার রয়েছেন।
তিনি বলেন, বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী লোকোমোটিভ, বিভাগীয় প্রকৌশলী-১, বিভাগীয় সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলীর নেতৃত্বে আরও চার সদস্যের বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তবে প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি তিনি।
রেল মন্ত্রণালয় আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং আগামীকাল সকালে জিও জারি করা হবে।
মন্ত্রণালয়ের পিআরও জানিয়েছেন, তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব রেলস্টেশনে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে একটি পণ্যবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৭
বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী এগারসিন্ধুর ‘গোধূলী এক্সপ্রেস’কে পেছন থেকে আসা কার্গো ট্রেনটি ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে রাজধানীতে যাওয়ার পথে বাইরের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল যাত্রীবাহী ট্রেনটি।
যাত্রীবাহী ট্রেনের পেছনের দুটি বগি ভেঙে অনেক যাত্রী আটকে পড়ে।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও র্যাবের উদ্ধারকর্মীরা দুটি ছিন্নভিন্ন বগির ধ্বংসাবশেষের ভেতর থেকে লাশ বের করে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক (মিডিয়া সেল) শাহজাহান শিকদার জানান, এ পর্যন্ত ১৭টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, যাত্রীবাহী ট্রেনের ছিন্নভিন্ন কোচের মধ্যে এখনও অনেকে আটকে থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দুর্ঘটনার প্রভাবে কোচগুলো উল্টে যায়।
কিভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত পাওয়া যায়নি।
দুর্ঘটনার পর দেশের অন্যান্য স্থানের সঙ্গে কিশোরগঞ্জের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
শাহজাহান ইউএনবিকে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জ রেল দুর্ঘটনায় শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে একজন নিহত