কিশোরগঞ্জ
মেঘনায় ট্রলার ডুবে নিহত ১, পুলিশ সদস্যসহ ৮ জন নিখোঁজ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুভর্তি বাল্কহেডের ধাক্কায় একটি যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের এক কনস্টেবল ও তার স্ত্রী সন্তানসহ ৮ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া ঘটনার পর ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে এই ঘটনা ঘটে। শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ৪ জন ডুবুরি উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। সকাল ১১টা পর্যন্ত নিখোঁজ ৮ জনের সন্ধান এখনও মেলেনি।
আরও পড়ুন: ঝড়ে পদ্মায় ট্রলার ডুবে ২ কৃষক নিখোঁজ
নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন, ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশের কন্সটেবল সোহেল রানা, তার স্ত্রী মৌসুমি, মেয়ে মাহমুদা ও ছেলে রায়সুল, ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দের স্ত্রী রুপা দে, তার ভাইয়ের মেয়ে আরাধ্য ও ভগ্নিপতি বেলন দে এবং নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার আনিকা আক্তার।
এদের মধ্যে সুবর্ণা বেগম নামে একজনের লাশ উদ্ধার করে ভৈরব কমলপুরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বলেন, একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রলারের ধাক্কা লেগে ২০ জন ডুবে গেলে ১২ জনকে উদ্ধার করা হলেও ৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন। পরে রাত হওয়ায় উদ্ধার কাজ বন্ধ করা হয়।
কিশোরগঞ্জে হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বড় আজলদী খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে আকর্ষণীয় ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা।
শনিবার(১৩ জানুয়ারি) বেলা ৩টায় পাকুন্দিয়া উপজেলার বড় আজলদী খোলা মাঠে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করে চন্ডিপাশা ইউনিয়ন পরিষদ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ২ দিনব্যাপী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা শুরু
জেলা ও জেলার বাইরের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ৫০টি ঘোড়া নিয়ে ঘোড়দৌড়ে অংশগ্রহণ করেন শৌখিন ঘোড়াপ্রেমীরা।
এছাড়া বিভিন্ন বয়সী হাজার হাজার নারী-পুরুষ উপভোগ করেন ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা।
বড় ঘোড়দৌড়ে প্রথম হয়- শাহাবুদ্দিনের ‘সবুজ বাংলা’ নামের ঘোড়া। মাঝারি ঘোড়দৌড়ে প্রথম হয়- রাসেল মিয়ার ঘোড়া এবং ছোটদের মধ্যে প্রথম হয়- আবদুল বাতেনের ঘোড়া।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা
বিজয়ী প্রতিটি ক্যাটাগরির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান লাভ করা ঘোড়ার মালিকদেরপুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় ফ্রিজ, এলইডি টিভি, খাসি ও মুঠোফোন।
প্রতিযোগিতা শেষে বিকালে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চণ্ডীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শামছু উদ্দিন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সুখিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা
২ দিন পর তাপমাত্রা বাড়তে পারে: আবহাওয়া অফিস
কুয়াশার কারণে সারা দেশে শীতল আবহাওয়া থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা জানান, ‘আগামী দুই দিন পর তাপমাত্রা বাড়তে পারে।’
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং কোথাও কোথাও তা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আজ ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
কুয়াশার কারণে উড়োজাহাজ চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দক্ষিণাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দেশের অন্যান্য স্থানে এটি প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সারা দেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
ইউএনবি'র কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা জানান, হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় জেলার দৈনন্দিন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
ঘন কুয়াশার কারণে সূর্য অদৃশ্য থাকায় রাস্তায় লোকজনকে নিজেদের উষ্ণ রাখতে আগুন জ্বালাতে দেখা গেছে।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ইনচার্জ সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি বলেন, আরও দুই দিন শীতের এই পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বৃষ্টির কারণে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত, আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া অফিসের
পাগলা মসজিদের সিন্দুকে পাওয়া গেল রেকর্ড ৬.৩২ কোটি টাকা
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৯টি সিন্দুকে পাওয়া গেছে ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকাসহ বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা। এবার ৩ মাস ২০ দিন পর সিন্দুকগুলো খোলা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ করপোরেট শাখার ম্যানেজার মো. রফিকুল ইসলাম।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সিন্দুকগুলো খুলে ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। এরপর শুরু হয় গণনার কাজ, চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। এতে প্রায় ৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা পাওয়া গেছে বলে পাগলা মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেল ২৩ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটি জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের ৯টি সিন্দুক খোলা হয়। এতে ২৩ বস্তায় ভরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় নিয়ে গণনা করা হয়।
টাকা গণনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্র্যাট কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে টাকা গণনায় উপস্থিত ছিলেন শেখ জাবের আহমেদ, সহকারী কমিশনার রওশন কবীর, মাহমুদুল হাসান, সামিউল ইসলাম, আজিজা বেগম ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা মো. আনোয়ার পারভেজসহ মাদরাসার ১১২ শিক্ষার্থী, ব্যাংকের ৬০ কর্মকর্তা-কর্মচারী, মসজিদ কমিটির ৩৪ সদস্য ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ সদস্য।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানসিন্দুকে রেকর্ড ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা মিলল!
চলতি বছর ১৯ আগস্ট মসজিদের ৮টি দানবাক্সে ২৩ বস্তায় ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণের গহনা ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল। এবার সেই পরিমাণকেও ছাড়িয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে ৮টি সিন্দুক থাকলেও এবার আরো একটি বাড়ানো হয়েছে। দানের পরিমাণ বাড়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
মসজিদের দান থেকে প্রাপ্ত টাকা সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয় বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ৮ দানবাক্সের ২৩ বস্তা টাকা গণনা চলছে
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেল ২৩ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্সে এবার মিলেছে ২৩ বস্তা টাকা ও স্বর্ণালংকার।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এখন চলছে গণনার কাজ।
ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে ৮টি দানবাক্স থাকলেও এবার আরো একটি দানবাক্স বাড়ানো হয়েছে। দানের পরিমাণ বাড়ায় এখন পাগলা মসজিদের দানবাক্সের সংখ্যা ৯টি। এবার ৩ মাস ২০দিন দিন পর খোলা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সকাল সাড়ে ৭টায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে সকল দানবাক্সগুলো খোলা শুরু হয়।
৯টি দানবাক্স পাওয়া গেছে ২৩বস্তা টাকা। এখন চলছে গণনার কাজ। গণনা শেষে টাকার পরিমাণ জানা যাবে। টাকা-স্বর্ণালংকার ছাড়াও এই মসজিদে প্রতিদিন হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বহু মানুষ।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানসিন্দুকে রেকর্ড ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা মিলল!
কিশোরগঞ্জে ইঞ্জিনসহ ট্রেন লাইনচ্যুত, ভৈরব-ময়মনসিংহ রেলপথ বন্ধ
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর গচিহাটা রেলস্টেশনে আন্তঃনগর ‘কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এরপর ভৈরব-ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় কিশোরগঞ্জ থেকে 'কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস' ট্রেনটি ঢাকা অভিমুখে ছেড়ে যাওয়ার পর ৪টা ২০মিনিটে কটিয়াদীর গচিহাটা রেলস্টেশন পয়েন্টে ট্রেনটি ঢোকার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তবে, এই ঘটনায় এখনও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
কিশোরগঞ্জ স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহ অভিমুখে 'বিজয় এক্সপ্রেস' ট্রেনটি গচিহাটা স্টেশনে থেমে থাকার সময় ঢাকা অভিমুখী 'কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস' ট্রেনের সঙ্গে ক্রসিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্রসিংয়ের জন্য পয়েন্ট লাইন পরিবর্তনের সময় 'কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস' ট্রেনের ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে।
ফলে 'বিজয় এক্সপ্রেস' ট্রেনের লাইনেই কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি রয়ে যায়। এতে, গচিহাটা স্টেশনে বিজয় এক্সপ্রেস আটকা পড়ে। এতে ভৈরব-ময়মনসিংহ রুটে সব ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন রেলস্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, উদ্ধারকারী ট্রেনের জন্য বার্তা পাঠানো হয়েছে।
স্টেশন মাস্টার আরও বলেন, আখাউড়া থেকে রিলিফ ট্রেন আসার পর উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হবে। উদ্ধারকারী ট্রেন এসে ইঞ্জিন ও বগিগুলো লাইনে উঠানোর পর পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে তেলবাহী ট্রেনের দু’টি বগি লাইনচ্যুত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন লাইনচ্যুত: তদন্ত কমিটি গঠন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কন্টেইনার ট্রেন লাইনচ্যুত, চলাচল আংশিক ব্যাহত
কুলিয়ারচরে দাঁড়িয়ে থাকা পণ্যবাহী পিকআপভ্যানে আগুন
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপভ্যানে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টায় কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পিকআপভ্যানের চালক মান্নান মিয়া শরীয়তপুরের বাসিন্দা।
বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর ষষ্ঠবারের ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপভ্যানে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অবরোধকারীদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়নের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করেন বিএনপি ও সহযোগী দলের নেতা-কর্মীরা। পরে সেখানে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বিজয়নগরে বাসে আগুন
বিক্ষোভ চলাকালে দুর্বৃত্তরা ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পণ্যবাহী পিকআপভ্যানের চালককে নামিয়ে গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় আগুন নেভালেও, পিকআপভ্যানের অনেকাংশ পুড়ে যায়।
এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা বেশ কয়েকটি ট্রাক ফেরত যায়।
সাময়িক যান চলাচল বন্ধ থাকলেও, পরে পুলিশের সহযোগিতায় স্বাভাবিক হয়।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ভোরে রাস্তা অবরোধ করে পিকআপভ্যানে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পুলিশ সেখানে গিয়ে আগুন নেভান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সেখানে পুলিশ অবস্থান করছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্তপূর্বক অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় পুলিশের জব্দ করা বাসে আগুন
সিলেটে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে আগুন
কিশোরগঞ্জে কৃষক হত্যার দায়ে ৭ জনের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে কৃষক মানিক মিয়া হত্যা মামলায় সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সাত আসামির মধ্যে রায় ঘোষণার সময় ছয়জন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বনফুলের দুই কর্মী হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন
নিহত মানিক মিয়া চরআলগী গ্রামের কলিম উদ্দিনের ছেলে।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. শফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, বাবুল মিয়া, লিঙ্কন, এমদাদুল হক, মাজেদুল হক ও রইসউদ্দিন।
তাদের মধ্যে শফিকুল পলাতক রয়েছেন। তারা সবাই হোসেনপুরের সীমান্তবর্তী ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার চরআলগী গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের সঙ্গে একই গ্রামের মানিক মিয়াদের জমিসংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এসব নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার ঝগড়াবিবাদ ও দরবার সালিস হলেও বিরোধ কমছিল না। এর জের ধরে ২০০৫ সালের ২ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে কৃষক মানিক কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের হাজিপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন। আসামিরা তাকে কুপিয়ে মরাত্মকভাবে জখম করে। পরে মুর্মূষু অবস্থায় তাকে গফরগাঁও উপজেলা হাসপতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার দুদিন পর ৪ নভেম্বর নিহতের বড়ভাই আনিছুর রহমান সাতজনের নাম উল্লেখ করে হোসেনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। হত্যার ১৮ বছর পর মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
আরও পড়ুন: নাটোরে হত্যা ও ধর্ষণের পৃথক মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কিশোরগঞ্জে বিএনপি-আ. লীগ-পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ২
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও ১০ পুলিশসদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- ছয়সূতি ইউনিয়নের কাজল মিয়ার ছেলে বিল্লাল মিয়া (৩০) ও কাউসার মিয়ার ছেলে রেফায়েত মিয়া (২০)।
স্থানীয়রা জানান, বিএনপি, জামায়াত ও সহযোগী সংগঠনের ডাকা ৩ দিনের দেশব্যাপী অবরোধের সমর্থনে বাসস্ট্যান্ডের কাছে সড়ক অবরোধ করে বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: ঢাকায় নিহত বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদের লাশ নাটোরে পৌঁছেছে
এক পর্যায়ে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে ৩ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও ১০ পুলিশসদস্যসহ ২০ জন আহত হন।
এ বিষয়ে ইউএনবি প্রতিবেদক একাধিক বার চেষ্টা করেও প্রশাসনের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হননি।
তবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম দাবি করেছেন, নিহত দুজন বিএনপির কর্মী এবং তারা ‘পুলিশের গুলিতে’ নিহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অবিলম্বে রেফায়েত মিয়া ও বিল্লাল মিয়ার লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের আহ্বান জানান এবং ‘পুলিশের গুলিতে’ তাদের হত্যার তীব্র নিন্দা জানান।
আরও পড়ুন: ভারতে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৬, আহত ৪০
কিশোরগঞ্জে ইউএনও'র গাড়ি ভাঙচুর
কিশোরগঞ্জে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল চলাকালে ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
সকাল ৮টার দিকে জেলার শোলাকিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে হরতাল সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ জানান, গাড়িটি কিশোরগঞ্জ জেলার শোলাকিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা গাড়িটি থামিয়ে ভাঙচুর করে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালে ঢাকার সড়ক ফাঁকা, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর