ঈদুল আজহা
ঈদের ছুটির পর নতুন সময়সূচিতে খুলেছে অফিস
ঈদুল আজহার ছুটির পর বুধবার সীমিত কর্মীর উপস্থিতিতে কার্যক্রম শুরু করেছে সরকারি, বেসরকারি অফিস, আদালত, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
এদিন কর্মস্থলে ফেরা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ে ব্যস্ত দেখা গেছে। তবে এখনও সবাই ঢাকায় না ফেরায় রাজধানীতে এখনও ঈদের আমেজ বিরাজ করছে।
স্বাভাবিক দিনের তুলনায় আজ রাস্তায় লোকজনের উপস্থিতি অনেক কম। ফলে গণপরিবহনও চলছে অনেক বেশি বিরতি নিয়ে। এছাড়া রাজধানীর দোকানপাটের বেশিরভাগই এখনও বন্ধ।
আরও পড়ুন: বিপুল জমায়েতের মাধ্যমে দেশব্যাপী ঈদুল আজহা উদযাপন
সোমবার (১৭ জুন) ঈদুল আজহা উদযাপন করেছে দেশের মুসলমানরা। ঈদ উপলক্ষে ১৬ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ছুটি থাকলেও শুক্র-শনিবার থাকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য দুদিন আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় ঈদ উৎসব।
ঈদের ছুটির পর প্রথম অফিস খুলেছে বুধবার (১৯ জুন)। এদিন সরকারি নির্ধারিত নতুন সময়সূচি অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে অফিস শুরু হয়েছে, যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
গত ৪ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে অফিসের এ নতুন সময়সূচি নির্ধারণ হয়।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অফিসের সময় নির্ধারণ করা হয়। ১ বছর ৭ মাস ৩ দিন পর ওই সময়সূচি পরিবর্তন করে ফের ৯টা-৫টার অফিস সূচিতে ফিরেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বন্যাকবিলত সুনামগঞ্জে ঈদের আনন্দ মাটি
৫ মাস আগে
৫ দিন পর বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা পাঁচ দিনের ছুটি শেষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। তবে এ সময় দুই দেশের বৈধ পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ছিল।
বুধবার (১৯ জুন) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ১৪ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। বুধবার সকাল ৯টা থেকেই শুরু হয় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। ফলে বন্দর এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়, পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে ভোগান্তি
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম জানান, ঈদে টানা পাঁচ দিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এ সময় বৈধ পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক ছিল। অন্যান্য সময়ের তুলনায় ঈদের সময় যাত্রীদের চাপ একটু বেশি ছিল বলে জানান তিনি।
এদিকে, যাত্রীদের যাতে দুর্ভোগ পোহাতে না হয়, সেজন্য ঈদের ছুটির মধ্যে ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে বহাল রাখা হয়েছিল।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন অফিসের তথ্যানুয়াী, গত পাঁচ দিনে প্রায় ৩৪ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে যাতায়াত করেছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল-মোংলা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু
৫ মাস আগে
বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সিলেটে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত
ভারী বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সিলেটের শাহী ঈদগাহে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ জুন) সকাল ৮টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতি বছর লক্ষাধিক মুসল্লি এই ঈদগাহে ঈদের নামাজের জন্য একত্রিত হন। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এবার তাদের উপস্থিতি অনেক কম দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: বিপুল জমায়েতের মাধ্যমে দেশব্যাপী ঈদুল আজহা উদযাপন
জামাতে ইমামতি ও পরে দোয়া পরিচালনা করেন নগরের বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুফতি আবু হোরায়রা নোমান।
রবিবার ভোর ৪টা থেকে সিলেটে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল ৮টা পর্যন্ত চলা এ বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে মহানগরের অনেক এলাকা। রাস্তাঘাট ডুবে পানি ঢুকেছে অনেকেরই বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।
এ অবস্থায় শাহী ঈদগাহে মুসল্লির উপস্থিতি ছিল অনেক কম। বেশিরভাগ মুসল্লি বাসার পাশের মসজিদে ঈদের জামাত আদায় করেছেন।
এদিকে, ভারী বৃষ্টিতে সিলেট মহানগরের এয়ারপোর্ট রোড তলিয়ে গেছে। অনেক সড়কে হাঁটুর ওপরে পানি।
এ অবস্থায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন জলাবদ্ধ এলাকাগুলোর মানুষগুলো। অনেকেই ঈদের জামাতে যেতে পারেননি।
অবশ্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আগেই বলা হয়েছিল, ঈদের দিন সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত
ফিলিস্তিনিদের জন্য প্রার্থনা ও ত্রাণ পাঠিয়ে এশিয়াজুড়ে মুসলিমদের ঈদুল আজহা উদযাপন
৫ মাস আগে
জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন রাষ্ট্রপতি
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতে যোগ দিয়ে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
সোমবার (১৭ জুন) সকালে রাষ্ট্রপতির পরিবারের সসদ্য ও কর্মকর্তারা তার সঙ্গে ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি সেখানে পৌঁছালে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তাকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: ত্যাগের মহিমায় ঈদুল আজহা উদযাপন করছে দেশবাসী
এসময় মন্ত্রিসভার সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, আইনপ্রণেতা, জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন ঈদের নামাজ পরিচালনা করেন। দেশের শান্তি ও অগ্রগতি এবং জনগণ তথা মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে এসময় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
নামাজ শেষে ঈদগাহের মুসল্লিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি। এসময় রাষ্ট্রপতির একাধিক সচিবও নামাজে অংশ নেন।
৫ মাস আগে
ত্যাগের মহিমায় ঈদুল আজহা উদযাপন করছে দেশবাসী
ভক্তি ও ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে উৎসবের আমেজে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপন করছে দেশবাসী।
ঈদ উপলক্ষে পৃথক বাণীর মাধ্যমে দেশ ও বিশ্বের মুসলমানদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানীর হাইকোর্ট-সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে সকাল ৭টায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়, এরপর সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং বেলা পৌনে ১১টায় বাকি জামাতগুলো অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি
ভারী বৃষ্টির মধ্যেও সিলেটের শাহী ঈদগাহে বিভাগের প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি বছর লক্ষাধিক মুসল্লি এই ঈদগাহে ঈদের নামাজের জন্য একত্রিত হন। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এবার তাদের উপস্থিতি অনেক কম দেখা গেছে।
৫ মাস আগে
আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়
ঈদুল আজহা উপলক্ষে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৭ জুন) গণভবনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির শীর্ষ নেতারা।
এরপর ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
৫ মাস আগে
পশু কুরবানির পর ঘর ও আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার রাখবেন যেভাবে
পবিত্র ঈদুল আজহায় বিপুলসংখ্যক পশু কুরবানি হয় দেশজুড়ে। স্বভাবতই এখানে গুরুত্ববহ হয়ে ওঠে কুরবানি-পরবর্তী শহর পরিষ্কারের বিষয়টি। পশু জবাইয়ের পর সঠিকভাবে তার বর্জ্য নিষ্কাশন না হওয়ার দরুণ শহরবাসীকেই পোহাতে হয় হাজারও ভোগান্তি। বিগত বছরগুলোতে মশাবাহিত রোগের উপদ্রব বাড়াতে পরিবেশজনিত এই জটিলতা আশঙ্কাজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া ধর্মীয় দিক থেকেও পরিবেশ আবর্জনামুক্ত রাখা প্রত্যেক কুরবানি পালনকারীর ঈমানি দায়িত্ব। তাই চলুন, পশু কুরবানির পর বাসা ও তার চারপাশ বর্জ্যমুক্ত রাখার কয়েকটি উপায় জেনে নেওয়া যাক।
ঈদুল আজহায় পশু কুরবানির পর বর্জ্য অপসারণের ১০টি উপায়
একটি উপযুক্ত স্থান নির্বাচন
শহর বা গ্রাম নির্বিশেষে একটি নির্দিষ্ট এলাকার লোকজন আলাদাভাবে কুরবানি না দিয়ে কয়েকজন একসঙ্গে হয়ে একটি নির্দিষ্ট স্থানে কুরবানি করা উত্তম। মূলত বসতবাড়ি থেকে যথাসম্ভব দূরে এমন একটি স্থান নির্বাচন করা উচিৎ, যেখান থেকে সহজেই পশুর বর্জ্য নিষ্কাশন করা যায়। এতে করে সিটি করপোরেশন কর্মীরা দ্রুত সময়ে বর্জ্য অপসারণের কাজ করতে পারবে।
এ সময় খেয়াল রাখা উচিৎ, স্থানটি যেন চলাচলের রাস্তার উপরে না হয়। সাধারণত খোলামেলা পরিবেশে পশুর জীবাণু বেশি ছড়াতে পারে না।
যারা সবার সঙ্গে একত্রিত হয়ে নির্দিষ্ট স্থানটিতে কুরবানি দিতে পারছেন না, তারা তাদের পশুর বর্জ্যগুলো নিজ দায়িত্বে কাছাকাছি ডাস্টবিনে ফেলে আসবেন।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহায় ডিপ ফ্রিজ খুঁজছেন? যেসব বিষয় জানা প্রয়োজন
পশুর রক্ত পরিষ্কার
পশু জবাইয়ের পর প্রথম কাজ হচ্ছে পশুর রক্ত সরিয়ে ফেলা। এর জন্য রক্ত সম্পূর্ণ ঝরে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অতঃপর পর্যাপ্ত পানি দিয়ে রক্ত ধুয়ে ফেলতে হবে। রক্ত অপসারণের জন্য কাছাকাছি কোনো ড্রেন ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকতে হবে যেন রক্তের সঙ্গে কোনো কঠিন বর্জ্য ড্রেনের মুখ বন্ধ করে না দেয়। তরল রক্ত দ্রুত সরিয়ে ফেলার পর রক্তের দাগ ও দুর্গন্ধ দূর করার জন্য জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে হবে।
বর্জ্য খোলা স্থানে না রাখা
পশুর রক্তসহ অন্যান্য কঠিন ও তরল বর্জ্য উন্মুক্ত স্থানে রাখা ঠিক নয়। কেননা এতে রক্ত আর নাড়ি-ভুঁড়ি বাতাসের সংস্পর্শে এসে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুর্গন্ধ ছড়ায়। এগুলো গর্ত করে ভেতরে রেখে মাটিচাপা দিতে হবে, অথবা সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িতে রেখে আসতে হবে। গাড়ি আসার আগ পর্যন্ত কোনো পলিব্যাগে ভরে কাছাকাছি কোনো ডাস্টবিনে যেয়ে ফেলে আসা যেতে পারে।
গর্ত করা
পশুর দেহের উচ্ছিষ্ট ও বর্জ্য নিষ্কাশনের উত্তম পন্থা হলো মাটিতে গর্ত করে পুঁতে ফেলা। অন্যথায় যেখানে-সেখানে ফেলে রাখলে তাতে পচন ধরে মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়াবে। এই পরিবেশ দূষণ পরবর্তীতে নানান রোগের কারণ হতে পারে। তাই কুরবানির আগেই নিকটবর্তী কোনো মাঠ বা পরিত্যক্ত জায়গায় ৩ থেকে ৪ ফুট গর্ত তৈরি করে রাখা উচিৎ।
জবাই পর্ব শেষে পশুর শরীরের যাবতীয় উচ্ছিষ্ট এক করে সেই গর্তে ফেলে তার ওপর ব্লিচিং পাউডার, চুন, বা ফাম-৩০ নামক জীবাণুনাশক ছড়াতে হবে। সবশেষে খড়কুটা ও কাঁটা জাতীয় কিছু ডালপালা দিয়ে আবৃত করে শক্ত করে মাটিচাপা দিতে হবে। এটি এক দিক থেকে বর্জ্য অপসারণের জন্য কার্যকর, অন্যদিকে জৈব সার হিসেবে শস্যক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য উপযোগী। মাটিচাপার দেয়ার পর তার ওপর কিছু মোটা তুষ ছিটিয়ে দিলে পরে কুকুর বা বিড়াল মাটি গর্ত করে ময়লা তুলতে পারবে না।
আরও পড়ুন: ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়
৫ মাস আগে
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদ উদযাপিত
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বরিশাল, চাঁদপুর, লালমনিরহাট ও ঝিনাইদহসহ বেশ কিছু জেলায় উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা।
সোমবার (১৭ জুন) দেশব্যাপী ঈদ উদযাপনের একদিন আগে রবিবার (১৬ জুন) এসব জেলায় ঈদ উদযাপন করা হয়।
বরিশালে পাঁচ উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার পরিবার আজ ঈদ উদযাপন করছে।
জেলার প্রায় অর্ধশত মসজিদে সকালে জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পশু কোরবানি দেওয়া হয়।
নগরীর সাগরদীর তাজকাঠী মিয়াবাড়ী এলাকার জাহাগীরিয়া শাহ্সুফি মমতাজিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়ার ইমামতিতে অনুষ্ঠিত নামাজে অংশ নেন কয়েকশ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি।
মসজিদ কমিটির সভাপতি আমীর হোসেন জানান, আশপাশের প্রায় ৫০০ পরিবার রবিবার ঈদ উদযাপন করছে।
একইভাবে বরিশাল নগরীসহ জেলার প্রায় অর্ধশত মসজিদে চন্দনাইশ দরবারের অনুসারীরা আগাম ঈদ উদযাপন করছে।
এছাড়া বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার খানপুরা, কেদারপুর, মাধবপাশাসহ ৫-৬টি গ্রামের সহস্রাধিক পরিবারে আগাম ঈদ উদযাপিত হচ্ছে।
জেলার মুলাদী, হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় এবং বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন, পতাং, লাহারহাট গ্রামে আড়াই ২ হাজার মানুষ এদিন ঈদ উদযাপন করছে।
আগাম ঈদ পালনকারীরা চট্টগ্রামের চন্দনাইশের জাহাগীরিয়া শাহ্সুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারী।
পৃথিবীর কোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে তার সঙ্গে মিল রেখে তারা রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাসহ ধর্মীয় আচার পালন করেন।
অন্যদিকে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ সাদ্রা দরবার শরীফসহ জেলার কমপক্ষে ৪০ গ্রামে ঈদ উদযাপন চলছে।
সকাল ৯টায় সাদ্রা দরবার শরীফ সংলগ্ন হামিদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার মাঠে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা আরিফুল্লা মিশকাত চৌধুরী।
সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা আরিফুল্লা মিশকাত চৌধুরী ইউএনবিকে বলেন, ১৯২৮ সাল থেকে তারা মুসলিম বিশ্বের সাথে কয়েক ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ঈদুল ফিতর-ঈদুল আজহা এবং পবিত্র রমজানের রোজা রেখে আসছেন।
দরবার শরীফে ঈদের নামাজ পড়তে আসা মুসল্লী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও আ. হামিদ জানান, মরহুম পীর সাহেবের সময়কাল থেকে আমরা এসব ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছি। আমরা মনে করি গতকাল সৌদি আরবে হজ পালন হয়েছে। আজকে তারা ঈদ উদযাপন করছে, আমরাও তাদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছি। এতে আমরা খুবই আনন্দিত।
একই সঙ্গে জেলার অন্যান্য গ্রামগুলোতে এই মতবাদের অনুসারীরা ঈদের নামাজ আদায় ও কোরবানি করছে।
এছাড়াও লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি গ্রামের অর্ধশত পরিবার আজ (১৬ জুন) ঈদ উদযাপন করছে।
সকাল ৯টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের চন্দ্রপুর উত্তর বালাপাড়া পানি খাওয়া ঘাট জামে মসজিদে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা আতিকুর রহমান।
প্রতি বছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার, সুন্দ্রহবী, চন্দ্রপুর ও মুন্সীপাড়া গ্রামের প্রায় অর্ধশত পরিবারের মুসল্লিরা ঈদ উদযাপন করেন।
মাওলানা আতিকুর রহমান বলেন, সহি হাদিসের আলোকে অনেক বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চন্দ্রপুর উত্তর বালাপাড়া পানি খাওয়ার ঘাট জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ জামাতে জেলার বিভিন্ন উপজেলার অর্ধশত মুসল্লি অংশ নেন।
উত্তর বালাপাড়া ঈদগাহ মাঠের সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বিগত কয়েক বছর ধরে এই এলাকায় ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, শবে-কদর, শবে মেরাজসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা হয়।
কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত (ওসি) ইমতিয়াজ কবির জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে অনেক আগে থেকে চলবলা-তুষভান্ডার ইউনিয়নের সুন্দ্রাহবি, চন্দ্রপুর ইউনিয়নের পানি খাওয়ার ঘাট এলাকায় কিছু পরিবার ঈদের নামাজ আদায় করেন।
পাশাপাশি দিনাজপুরের সদর চিরিরবন্দরসহ ৬টি উপজেলায় প্রায় ২ হাজার পরিবার আজ ঈদ উদযাপন করছে।
সকাল ৮টায় জেলা শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ঈদের নামাজে অংশ নেন শতাধিক অনুসারী পরিবার। এতে ইমামতি করেন বিরলের একটি মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক।
এছাড়াও চিরিরবন্দরের সাইতাড়া রাবার ড্যাম, ফতেজংপুর, কাহারোলের জয়নন্দ ১৩ মাইল গড়েয়া, বিরলের বনগাঁও জামে মসজিদে এবং বিরামপুরের বিনাইল ইউনিয়নের আয়রা বাজার জামে মসজিদ ও জোতবানী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি মির্জাপুর জামে মসজিদসহ কয়েকটি স্থানেও ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।
সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ২০০৭ সাল থেকে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে আসছেন দিনাজপুরের এসব মানুষ।
৫ মাস আগে
পবিত্র ঈদুল আজহায় ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
পবিত্র ঈদুল আজহার ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (১৬ জুন) এক অডিও-ভিডিও বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, 'ঈদুল আজহার শিক্ষা ধারণ করে আসুন আমরা ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করি।’
বছরঘুরে ফিরে আসা পবিত্র ঈদুল আজহার গুরুত্ব উল্লেখ করে এই উৎসব নিয়ে নিজের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল আজহা আমাদের সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ, সুখ, শান্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন। ঈদ মোবারক।’
উল্লেখ্য, সোমবার (১৭ জুন) বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
৫ মাস আগে
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কোরবানির পশুবাহী যানবাহন থামানো যাবে না: আইজিপি
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কোরবানির পশুবাহী যানবাহন গন্তব্য ছাড়া অন্য কোথাও থামানো যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাজধানীর গাবতলী পশুর হাট, গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এবং কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনকালে এ নির্দেশনা দেন আইজিপি।
পরিদর্শনকালে তিনি নির্বিঘ্নে ঈদুল আজহা উদযাপন নিশ্চিত করতে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেগুলো সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশ সফল: আইজিপি
আইজিপি বলেন, ঈদে জনসাধারণের জন্য নিরাপদ ও আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করতে ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহনের পাশাপাশি নছিমন, করিমন, ভটভট্টি ও থ্রি-হুইলারের মতো স্থানীয় যানবাহনগুলো মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে।
আসন্ন ঈদুল আজহা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন উদযাপনের সুবিধার্থে মহানগর ও জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, নৌ পুলিশসহ বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিটসমূহ সমন্বিতভাবে কাজ করছে বলে জানান আইজিপি।
আইজিপি যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উপচে পড়া বাস, লঞ্চ বা ট্রেনে ভ্রমণ না করার আহ্বান জানান। এছাড়াও ট্রাক, পণ্যবাহী পরিবহন বা ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেন তিনি।
জনসাধারণের উদ্দেশে আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা দেখলে অবিলম্বে নিকটস্থ পুলিশ ইউনিটে বা জাতীয় জরুরি পরিষেবা ৯৯৯-এ কল করে জানান। বাংলাদেশ পুলিশ সর্বদা তাদের সমর্থন করার জন্য থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
এ সময় আইজিপির সঙ্গে আরও ছিলেন- আতিকুল ইসলাম, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি আব্দুল আলীম মাহমুদ, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: পুলিশ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম: আইজিপি
৫ মাস আগে