এছাড়া, নতুন করে ১ হাজার ৮৪২ জনের শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪ লাখ ১৬ হাজার ৬ জনে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১১৪টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ২২৫টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২৪ লাখ ৪ হাজার ৯০২টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ১০ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৭ দশমিক ৩০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনায় বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ১২ লাখ ২৪ হাজার ১৪৪: জেএইচইউ
নতুন যে ১৭ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৪ এবং নারী তিনজন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৬৩৫ জন বা ৭৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং নারী এক হাজার ৩৮৬ জন বা ২৩.০২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪৫ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৮৯১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫৮৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০.১৯ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্ব পরিস্থিতি:
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১২ লাখ ২৪ হাজার ১৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ ৮ হাজার ১৭৫ জনে।
জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ১৮ লাখ ৩১ হাজার ৭৬৪ ব্যক্তি।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত এবং ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল।
আরও পড়ুন: ভারতে ২৪ ঘণ্টায় অর্ধ লক্ষ করোনা রোগী শনাক্ত
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে প্রথমে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ২৯২ জনে দাঁড়িয়েছে এবং ২ লাখ ৩৩ হাজার ৬৬৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পরে মৃতের সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি রয়েছে ব্রাজিল ও ভারত।