করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ ওএমএস (খোলাবাজারে বিক্রি) কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শনিবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ওএমএস এর মাধ্যমে ভোক্তা পর্যায়ে চালের মূল্য প্রতি কেজি ১০ টাকা নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ওএমএস খাতে চালের এক্স গুদাম মূল্য ৮ টাকা এবং ভোক্তা পর্যায়ে ১০ টাকায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে সৃষ্ট কর্মহীন মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বিশেষ এই ওএমএস কর্মসূচি চলমান ওএমএস (আটা) কর্মসূচির অতিরিক্ত হিসেবে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকবে।
সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি চলাকালীন জনসাধারণ বাড়িতে অবস্থান করায় সাধারণ শ্রমজীবি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এর ফলে তাদের ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। দিনমজুর, রিকশা চালক, ভ্যান চালক, পরিবহন শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানদার, ভিক্ষুক, ভবঘুরে, তৃতীয় লিঙ্গ (হিজরা) সম্প্রদায়সহ অন্যান্য সকল কর্মহীন মানুষকে এই কার্যক্রমের আওতায় এনে বিশেষ ওএমএস কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভোক্তার বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত মাস্টাররোল (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মোবাইল নাম্বারসহ) সংরক্ষণ করা হবে। একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকে ভোক্তা হিসেবে নির্বাচন করা যাবে না। এছাড়া উক্ত পরিবারের কেউ যদি খাদ্য বান্ধব অথবা ভিজিডি কমূসূচির উপকারভোগী হয়ে থাকেন তাহলে তিনি এ কর্মসূচির আওতায় ভোক্তা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন না।
জেলা ও বিভাগীয় শহরের প্রতি কেন্দ্রে ২ মেট্রিক টন এবং ঢাকা মহানগরের প্রতি কেন্দ্রে প্রতি দৈনিক ৩ মেট্রিক টন করে চাল বিক্রি করা হবে। জেলা ও বিভাগীয়/ঢাকা মহানগরীর ওএমএস বরাদ্দের পরিমাণের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ওএমএস কমিটির (জেলা ও বিভাগীয়/ঢাকা মহানগরীর ওএমএস কমিটি) মাধ্যমে বিদ্যমান ওএমএস কেন্দ্রের সংখ্যা ঠিক রেখে বিক্রয়কেন্দ্রের স্থান পুনর্নির্ধারণ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী, শ্রমজীবীদের বসবাস কেন্দ্রের নিকটস্থ বস্তি এলাকায় অথবা পর্যাপ্ত খালি জায়গা আছে এমন স্থানকে অস্থায়ী বিক্রয়কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করা হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে একজন ভোক্তা সপ্তাহে একবার সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) কেজি চাল ক্রয় করতে পারবেন। সপ্তাহে ৩ (তিন) দিন রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
স্থানীয় প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সিটি কর্পোরশন, পৌরসভা এর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা প্রতিনিধির উপস্থিতি /তদারকিতে বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি পরিচালনপূর্বক বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ওএমএস নীতিমালায় বর্ণিত জেলা/বিভাগীয়/ঢাকা মহানগরীর কমিটি সার্বিক বিষয়টি মনিটরিং করবে।
ডিলারদের দৈনিক বিক্রয় প্রতিবেদন তদারকি কর্মকর্তার প্রতিস্বাক্ষর গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট ওএমএস কমিটির সভাপতির কাছে পাঠাতে হবে।