এর মধ্যে ঢাকা বিভা এ ধরনের উপসর্গ নিয়ে ২১০ জনের মৃত্যু হয়েছে যা অন্য বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ।
৮ মার্চ থেকে ৯ মের মধ্যে প্রকাশিত গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে এটি প্রস্তুত করা হয়েছে বলে সিজিএস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
সিজিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাস সম্পর্কে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ৮৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এই সময়ে এই জাতীয় ৭৯টি ঘটনা ঘটে।
ত্রাণ আত্মসাৎ, খাদ্যে ভেজাল এবং করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘনের মতো অপরাধ ও অনিয়মে জড়িত মোট ৪১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আরও ৮ হাজার ১৩৬ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।
এলজিআরডি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সময়ে ১৮ ইউপি চেয়ারম্যান, ২৯ ইউপি সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য এবং একজন পৌর কাউন্সিলরসহ ৪৯ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এগুলো ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনাভাইরাস নিয়ে নির্যাতন ও সামাজিক কলঙ্কের ১২২টি ঘটনা ঘটেছে। সিজিএসের প্রতিবেদনে সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় করোনাভাইরাসের ভয়ে কমপক্ষে দুটি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করতে অস্বীকার করার পরে সাংবাদিকের মারা যাওয়ারে ঘটনার কথা উল্লেখ করেছে।
অপর একটি ঘটনায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে পথচারীরা কাছে যাওয়ার সাহস না করায় রাস্তায় এক ব্যক্তি ভোর থেকে রাত পর্যন্ত অচেতন পড়েছিল।
এদিকে, কোভিড-১৯ চলাকালে দেশের বিভিন্ন জেলায় ৫৬টি বিক্ষোভ হয়েছে। এর মধ্যে ৬৪ শতাংশ ত্রাণসামগ্রী ও কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সহায়তার দাবিতে, বেতন পরিশোধের দাবিতে ২১ শতাংশ এবং ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের বিরুদ্ধে ১৫ শতাংশ।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৮২২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২৬৯জন মারা গেছেন। এছাড়া এই মহামারি রোগে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর সংখ্যা ২ লাখ ৯৮ হাজার ১৬৫ জনে পৌঁছেছে।