এছাড়া, নতুন করে ১ হাজার ৭২৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ লাখ ৪১ হাজার ৫৬ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মঙ্গলবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত স্বাস্থ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ৯৪টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৬৪৮টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৫০টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ৭৪৬টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২.২৭ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৯.৪১ শতাংশ।
নতুন যে ৪৩ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৬ এবং নারী সাতজন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৩ হাজার ৭৪৪ জন বা ৭৭.৯৭ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ৫৮ জন বা ২২.০৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪১ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৪৩৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯৪ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৭২.০১ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
বিশ্ব পরিস্থিতি
বিশ্বব্যাপী মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ৯১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ)।
এদিকে, করোনা মহামারিতে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৯ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জনে পৌঁছেছে।
জেএইচইউর তথ্যানুসারে, বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে এক কোটি ৯৭ লাখেরও বেশি মানুষ সেরে ওঠেছেন।
করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৬৫ লাখেরও বেশি মানুষ এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন এবং দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক লাখ ৯৪ হাজার ৪৬৭ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত ও মৃতের দিক দিয়ে যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ।
পাশাপাশি, এশিয়ার দেশ ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার এক দিনের ব্যবধানে আরও ৯২ হাজার ৭১ জন নতুন করে আক্রান্ত এবং এক হাজার ১৩৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে। মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে ভারতে এখন পর্যন্ত ৪৮ লাখেও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭৯ হাজার ৭০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
জেএইচইউর দেয়া তথ্যানুসারে, করোনায় বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিলে ৪৩ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং এক লাখ ৩২ হাজার ছয়জন মারা গেছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। এরপর গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি হিসাবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।