করোনা শনাক্ত
বাংলাদেশকে ১৭৫০০ করোনা শনাক্তকারী কিট দিয়েছে জাপান
বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) কাছে কোভিড-১৯ পরীক্ষার কিট হস্তান্তর করেছেন।
জাপান সরকার ও এশিয়া-ইউরোপ ফাউন্ডেশনের (এএসইএফ) অর্থায়নে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস) এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (আইএফআরসি) পরিচালিত স্টকপাইল প্রকল্পের অধীনে এই টেস্টিং কিটগুলো সরবরাহ করা হয়।
জাপান সরকার, বাংলাদেশ সরকার, বিডিআরসিএস এবং আইএফআরসিকে কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য নতুন বিস্তার হওয়া সংক্রামক রোগের (ইআইডি) প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া ক্ষেত্রে সক্ষমতা বাস্তবায়নের জন্য ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে।
বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি অবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় জটিল চিকিৎসা ব্যবস্থা ও চিকিৎসা যন্ত্রপাতিতে এই অর্থ ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু নেই
‘কোভিড-১৯ এবং নতুন করে হওয়া অন্যান্য সংক্রমণ রোগের প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মঙ্গলবার মোট ১৭ হাজার ৫০০টি টেস্টিং কিট হস্তান্তর করা হয় যেগুলো অন্তত ১৭ হাজার ৫০০ বাংলাদেশির কাছে পৌঁছানো হবে।
জাপান সরকারের সহায়তায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের সক্ষমতা বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা।
তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটির নাম কোভিড-১৯-এর সঙ্গে সম্পর্কিত হলেও সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু এবং কলেরার মতো অন্যান্য রোগের ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সহায়তা করবে। প্রয়োজনীয় কিট সরবরাহের মাধ্যমে দেশটিতে রোগগুলোর মাত্রা হ্রাস করা হবে।
এর আগে সোমবার ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিডিআরসিএসের মহাসচিব কাজী শফিকুল আজম, আইএফআরসির প্রতিনিধিদলের প্রধান আলবার্তো বোকানেগ্রা, ডিজিএইচএসের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ড. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাসহ ডিজিএইচএসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ওষুধ ও ভ্যাকসিন উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনতে ইইউ'র প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে পারে বাংলাদেশ: ইআইবি প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রী
জাপান ২০২১ সালের জুলাই থেকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে এবং প্রায় সাড়ে ৪ মিলিয়ন ডোজ দান করেছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে সমর্থন করার জন্য ২০২০ সাল থেকে ৭৫ বিলিয়ন জাপানি মুদ্রা দিয়ে কোভিড-১৯ ক্রাইসিস রেসপন্স ইমার্জেন্সি সাপোর্ট লোনও চালু করে।
এছাড়া জাপান জানিয়েছে, মানব নিরাপত্তার জন্য হুমকি কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে ‘কারো স্বাস্থ্যকে পিছিয়ে না রাখার’ নীতির ভিত্তিতে সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ (ইউএইচসি) অর্জনের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রচার করবে।
আরও পড়ুন: উপহার হিসেবে চীন থেকে ভ্যাকসিনের ৬ষ্ঠ চালান পেয়েছে বাংলাদেশ
২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৫ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে ৬৫ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৬৯৯ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ বাংলাদেশে শনাক্ত
এ সময়ে শনাক্তের হার ৮ দশমিক ২৩ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৫ হাজার ৬৮৮ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৪৬ জনের করোনা শনাক্ত
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে রবিবার (৩ মার্চ) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে ৩৭ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৫৮৮ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: করোনা মহামারির পূর্বের অবস্থায় এখনও ফেরেনি বইমেলায় নতুন বইয়ের সংখ্যা
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ২২ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৫ হাজার ৫৯২ জনে।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ বাংলাদেশে শনাক্ত
দেশে আরও ৩৩ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে ৩৩ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৪৪০ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৪ হাজার ৬৪৯ জনে।
দেশে আরও ৫৪ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু নেই
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৫৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ৭৫৪ জনে পৌঁছেছে। তবে একই সময় দেশে করোনায় কেউ মারা যায়নি। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ১৩১ জন অপরিবর্তিত রয়েছে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৭৯ পরীক্ষাগারে চার হাজার ৮৩০ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় চার হাজার ৭৩৮ নমুনা।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার এক দশমিক ১৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় ১ হাজার ২৯ মৃত্যু
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪২৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ চার হাজার ৪৫৭ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
বিশ্ব পরিস্থিতি
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩ কোটি ৫৯ লাখ ১২ হাজার ৮০১ এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৬৩ লাখ ২১ হাজার ৪৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৫ হাজার ৩৫৯
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা আট কোটি ৬৬ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৭ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৮৩০ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৩১ লাখ ৮৪ হাজার ৯৯৭ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ৭০১ জনে।
দেশে আরও ৩১ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ৬২৩ জনে পৌঁছেছে। তবে একই সময় দেশে করোনায় কেউ মারা যায়নি। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ১৩১ জন অপরিবর্তিত রয়েছে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৭৯ পরীক্ষাগারে চার হাজার ৮৩ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় চার হাজার ১২৪ নমুনা।
আরও পড়ুন: একদিনে বিশ্বে করোনায় ৯৬৫ মৃত্যু
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৭১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ তিন হাজার ৭৫১ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
বিশ্ব পরিস্থিতি
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার ২০২ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬৩ লাখ ১৮ হাজার ৯৯৬ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা আট কোটি ৬৪ লাখ ৪০ হাজার ৬০৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৩৬৯ জন।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যুহীন দিন
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৫৮৫ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ৬৫১ জনে।
দেশে করোনা শনাক্ত ২১
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৫০৬ জনে পৌঁছেছে। তবে এই সময় দেশে করোনায় কারোর মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৭ জন অপরিবর্তিত রয়েছে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৭৯ পরীক্ষাগারে তিন হাজার ৯১৬ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় তিন হাজার ৯২১ নমুনা।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২ হাজার ৫৯৬
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৭৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৯২ হাজার ৮১৬ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
বিশ্ব পরিস্থিতি
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ কোটি ৭৭ লাখ তিন হাজার ১৩ এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৬২ লাখ ১১ হাজার ৩৬৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা আট কোটি আট লাখ ৫০ হাজার ৯১৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৯ লাখ ৯০ হাজার ৬৭৭ জন।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৫ হাজার ৩৫৯
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৬২ হাজার ৭৫১ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে তিন কোটি ৩৩ লাখ ৬২৯ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার ৮৭৭ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২২ হাজার ৯৫ জনে।
করোনা: চট্টগ্রামে মৃত্যু ৪, শনাক্ত ১১৬৭
চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও এক হাজার ১৬৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। নমুনা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৯৭ শতাংশ। একই সময় মারা গেছেন আরও চার জন।
বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি ১৪টি ল্যাবে সর্বমোট তিন হাজার ৬৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে এক হাজার ১৬৭ জনের ফলাফল পজিটিভ আসে। এদের ৮৮৭ জন নগরের আর ২৮০ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের এসপিসহ ২ ইউএনও করোনায় আক্রান্ত
এছাড়া হাটহাজারীতে ৫৩ জন, লোহাগাড়ায় ১০, সাতকানিয়ায় পাঁচ, বাঁশখালীতে ১০, আনোয়ারায় ২৪, চন্দনাইশে ১২, পটিয়ায় ১৮, বোয়ালখালীতে ১৬, কর্ণফুলীতে এক, রাঙ্গুনিয়ায় ২৪, রাউজানে ৪০, ফটিকছড়িতে ৩২, মীরসরাইয়ে ১৬, সীতাকুণ্ডে ১১ ও সন্দ্বীপ উপজেলায় আট জন রয়েছে।
গত একদিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গেল চার দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১১ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ৩৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক উপমন্ত্রী দুলু করোনা আক্রান্ত
এদিকে, আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক লাখ ১৭ হাজার ২০০ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে ৮৫ হাজার ৫২৪ জন নগরের বাসিন্দা। বাকি ৩১ হাজার ৬৭৬ জন বিভিন্ন উপজেলার।
চট্টগ্রামে একদিনে করোনায় শনাক্ত এক হাজার ছাড়াল
চট্টগ্রামে একদিনে করোনাভাইরাসের শনাক্ত সংখ্যা হাজার ছাড়াল। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও এক হাজার ২৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। নমুনা শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। যা আগের দিনের তুলনায় ৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি।
গতকাল শনিবার (২২ জানুয়ারি) বিভিন্ন ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় এসব রোগী শনাক্ত হয়। ররিবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রকাশিত খবরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
তবে এদিন করোনায় আক্রান্তের মধ্যে কোন রোগীর মৃত্যু হওয়ার খবর পাওয়া যায় নি। শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন এক হাজার ৩৪৩ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৭২৮ জন ও গ্রামের ৬১৫ জন।
আরও পড়ুন: করোনা উপসর্গে দিনাজপুরে মৃত্যু ৩, শনাক্ত ৫১.৫১ শতাংশ
তথ্যানুসারে, চট্টগ্রামের সরকারি বেসরকারি ৯টি ল্যাবে সর্বমোট দুই হাজার ৬৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে এ হাজার ২৬ জনের ফলাফল পজিটিভ পাওয়া যায়। এদের মধ্যে নগরীর ৮২২ জন আর উপজেলার ২০৪ জন রয়েছেন।
এর মধ্যে মহানগর এলাকায় ৮১ হাজার ১৮৪ জন এবং উপজেলায় ২৯ হাজার ৯৩৯ জন। এছাড়া মোট মৃত্যুবরণ করা এক হাজার ৩৪৩ জনের মধ্যে ৭২৮ জন মহানগর এবং ৬১৫ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ আনোয়ারায় ৩০ জন। এছাড়া রাউজানে ২৭ জন, হাটহাজারীতে ১৯ জন, বোয়ালখালীতে ১৭ জন, মীরসরাই ও সাতকানিয়ায় ১৫ জন করে, সীতাকুণ্ডে ১৪ জন, রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়িতে ১৩ জন করে, লোহাগাড়া ও পটিয়ায় ১১ জন করে, চন্দনাইশে আটজন, বাঁশখালীতে সাতজন এবং সন্দ্বীপে চারজন।
আরও পড়ুন: করোনা: রাজশাহী বিভাগে শনাক্ত ৪৪.১৯ শতাংশ
এ নিয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক লাখ ১১ হাজার ১২৩ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৮১ হাজার ১৮৪ জন ও গ্রামের ২৯ হাজার ৯৩৯ জন।
চট্টগ্রামে প্রথম করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৩ এপ্রিল। এরপর ৯ এপ্রিল ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম কোন রোগী মারা যায়।
করোনা উপসর্গে দিনাজপুরে মৃত্যু ৩, শনাক্ত ৫১.৫১ শতাংশ
দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের বিস্তারে দিনাজপুরে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় উপসর্গ নিয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্তের হার ৫১ দশমিক ৫১ শতাংশ বলে জানিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন।
দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন রোগী মারা গেছেন।
একই হাসপাতালে ২৫ জনসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৫০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন। এ নিয়ে জেলার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০৯ জনে।
আরও পড়ুন: করোনা: রাজশাহী বিভাগে শনাক্ত ৪৪.১৯ শতাংশ
দিনাজপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের করোনা কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, গেল ২৪ ঘণ্টায় ৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ৩৪ জনের করোনা ধরা পড়েছে। এতে করে শনাক্তের হার ৫১ দশমিক ৫১ শতাংশ। মেডিকেল কলেজের স্যাম্পল কালেকশন বুথে বাড়ছে নমুনা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। গেল ডিসেম্বর পর্যন্ত বুথ প্রায় ফাঁকা ছিল।
এছাড়া জেলায় নমুনা পরীক্ষা ছাড়াও টিকার পাশাপাশি চলছে বুস্টার ডোজ গ্রহণ।
আর পড়ুন: বাগেরহাটে ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ
এদিকে, করোনার বিস্তার রোধে স্বাস্থ্য বিধিসহ অন্যান্য শর্ত মেনে চলতে মাইকে প্রচারণা চালাচ্ছে করোনা প্রতিরোধ কমিটি। মাস্ক না পরার কারণে শনিবার (২২ জানুয়ারি) খানসামা উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কয়েকজনকে আর্থিক জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।