গত রবিবার এক সভায় অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায় এর অনুমোদন করেন।
ডাইফকে একটি জেন্ডার সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ১০ বছর মেয়াদী (২০২০-২০৩০) এ রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়।
এ রোডম্যাপ প্রণয়নে কারিগরি সহায়তা প্রদান করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)’র আরএমজি প্রকল্প।
জেন্ডার রোডম্যাপ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর ও সংস্থার প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিবনাথ রায় বলেন, নারীদের প্রতি শোভন আচরণ, পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি, নারী-পুরুষ সমান মজুরি, মাতৃত্বকল্যাণ সুবিধা, শিশুকক্ষ স্থাপন এবং জেন্ডার সংবেদনশীল কর্মপরিবেশ তৈরিতে কাজ করছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।
জেন্ডার রোডম্যাপ-এর বিস্তারিত তুলে ধরতে গিয়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক (স্বাস্থ্য) মো. মতিউর রহমান বলেন, অধিদপ্তরের জেন্ডার রোডম্যাপে ৮টি স্ট্র্যাটেজিক ডিরেকশন এবং ৫৮টি অ্যাকটিভিটি রয়েছে। এ রোডম্যাপ বাস্তবায়নের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সমতা বিধান এবং শোভন কর্মপরিবেশ সৃষ্টির টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অনেকাংশেই সহজ হয়ে যাবে। এর বাস্তবায়নের ফলে কর্মক্ষেত্র পরিদর্শকালে জেন্ডার ইস্যু তদারকি ও মালিকগণকে পরামর্শ প্রদানে শ্রম পরিদর্শকরা অধিকতর সক্ষমতা অর্জন করবেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জাহানারা বেগম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরির্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম মহাপরিদর্শক (সেইফটি) প্রকৌশলী ফরিদ আহাম্মদ, যুগ্ম মহাপরিদর্শক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান আইএলও’র কর্মকর্তা মিস্টার ফলার, মুনিরা সুলতানা, শারমিন সুলতানা প্রমূখ।