বৃহস্পতিবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ২৫ জুলাই কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের ‘জাহাজ বিল্ডিং’-এ রাতভর অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সকালে এক ঘণ্টার মূল অভিযানে ৯ জঙ্গি নিহত হন। ওই ঘটনায় আহত হন রিগ্যান নামে আরও একজন। তারা সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির সদস্য বলে জানায় পুলিশ।
অভিযানের দুদিন পর মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. শাহ জালাল আলম সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করেন। মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়।
গত ১১ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ১০ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রে থাকা আসামিরা হলেন- রাকিকুল হাসান রিগ্যান (২১), সালাহ উদ্দিন কামরান (৩০), আব্দুর রউফ প্রধান (৬৩), আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ (২০), শরীফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ওরফে সোলায়মান (২৫), মামুনুর রশিদ রিপন ওরফে মামুন (৩০), আজাদুল কবিরাজ ওরফে হার্টবিট (২৮), মুফতি মাওলানা আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুর (৬০), আব্দুস সবুর খান হাসান ওরফে সোহেল মাহফুজ ওরফে নাসরুল্লা হক ওরফে মুসাফির ওরফে জয় ওরফে কুলমেন (৩৩) ও হাদিসুর রহমান সাগর (৪০)। এদের মধ্যে আজাদুল পলাতক রয়েছেন।
উল্লেখ্য, দেশের ইতিহাসে ভয়াবহতম জঙ্গি হামলা (হলি আর্টিসানে) মামলায় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর আট আসামির মধ্যে সাতজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। তাদের মধ্যে কল্যাণপুরের মামলার ছয় আসামি রয়েছেন। তারা হলেন- আসলাম, হাদিসুর, রিগ্যান, সবুর, শরিফুল ও রিপন।