বাড়ি তল্লাশির পর র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত কারাদণ্ড দেয়ায় ইরফান সেলিম সাময়িক বরখাস্ত হচ্ছেন বলে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জানা গেছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ মঙ্গলবার ইউএনবিকে বলেন, ‘কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের দণ্ডিত হওয়ার বিষয়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে রিপোর্ট পেলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
সচিব আরও বলেন, ‘স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন আইনে বলা হয়েছে, যেকোনো আদালতে কেউ সাজাপ্রাপ্ত হলে তিনি বরখাস্ত হবেন।’
আরও পড়ুন: হাজী সেলিমের ছেলে ইরফানের এক বছরের কারাদণ্ড
প্রসঙ্গত, আজ (মঙ্গলবার) ভোর রাতে টাঙ্গাইল থেকে এবি সিদ্দিক (৪৫) নামে ইরফান সেলিমের অপর এক সহযোগীতে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এজারভুক্ত সব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (মিডিয়া) উপ কমিশনার ওয়ালিদ হোসেন বলেন, ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিদ্দিককে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
আরও পড়ুন: নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে ‘মারধর’: হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান আটক
ঢাকা-৭ আসনের সংসদ্য সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমসহ গ্রেপ্তার হওয়া অপর দুজন হলের ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদ ও মিজানুর রহমান।
নৌবাহিনীতে কর্মরত লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় রবিবার রাতে চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনাম কয়েকজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, রবিবার রাতে পৌনে ৮টার দিকে রাজধানীর নীলখেত থেকে কিছু বই কিনে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে নিজেদের মোহাম্মাদপুরের বাসায় ফিরছিলেন লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ। পথে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতারের কাছে একটি প্রাইভেট কার তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। পরবর্তীতে প্রাইভেট কার থেকে কয়েকজন বেড়িয়ে এসে নৌ-কর্মকর্তা ওয়াসিফকে মারধর করে এবং তার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিতে থাকে।
এ ঘটানার পরের দিন দুপুরে রাজাধারীর পুরান ঢাকার সোয়ারিঘটা এলাকার দেবদাস লেনে অবস্থিত বাবার (হাজী সেলিম) বাসা থেকে ইরফান সেলিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
পরবর্তীতে ওই বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে অবৈধভাবে রাখা বিপুল সংখ্যক ওয়াকিটকি ও বিদেশি মদ উদ্ধার পাওয়া যাওয়ায় ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম এবং তার দেহরক্ষী জাহিদকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।