হাজী সেলিম
আরও এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো হাজী সেলিমকে
ঢাকায় মো. ফজলুর করিম নামে এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টার এক মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চকবাজার থানার এসআই মো. হাসানুর রহমান তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: হাজী সেলিমের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
হাজী সেলিমের আইনজীবী প্রানণাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর তাকে আটক করা হয়। এরপর ২ সেপ্টেম্বর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার মিছিলে যুক্ত হন ফজলুর করিম। দুপুরের দিকে মিছিলটি চকবাজার থানার ঢাকা আলিয়া মাদরাসার সামনে আসলে হঠাৎ অতর্কিত আক্রমণে মুখে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে তার সহযোদ্ধারা তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করান।
এ ঘটনায় গত ২৬ অক্টোবর চকবাজার থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেন মো. ফজলুর করিম।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি হাজী সেলিম গ্রেপ্তার
১ মাস আগে
হাজী সেলিমের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আক্কাস মিয়া হাজী সেলিমের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
সোমবার বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে আদালতের এজলাসে তোলা হলে অঝোরে কাঁদেন হাজী সেলিম।
আরও পড়ুন: রাশেদ খান মেননের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
তার আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ আদালতের অনুমতি নিয়ে ওকালতনামায় তার সই নিতে গেলে তিনি সই করতে পারেন না বলে জানান। পরে তার টিপ সই নিয়ে আদালতে ওকালতনামা দাখিল করেন প্রাণনাথ।
এসময় রাষ্ট্রপক্ষে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন।
এছাড়াও হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে জমি দখল, মার্কেট দখলের অভিযোগ তুলে বিএনপিপন্থী আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকীও ১০ দিনের রিমান্ডের প্রার্থনা করেন। তবে এসব অভিযোগ হাজী সেলিম।
হাজী সেলিমের পক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানিতে তার আইনজীবী প্রাণনাথ বলেন, এটা হত্যা মামলা। জমি দখল, মার্কেট দখলের সঙ্গে এ মামলার সম্পর্ক নেই।
বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা এই বক্তব্যের বিরোধিতা করলে প্রাণনাথ বলেন, ‘এজাহারে সুস্পষ্ট বলা আছে, লালবাগের ডিসির নেতৃত্বে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। রিমান্ডে নিলে ডিসিকে নিতে হবে। তাকে কেন?’
পরে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই রাজধানীর আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ।
এ ঘটনায় তার বাবা কামরুল হাসান ১৯ আগস্ট লালবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: পলক, টুকুসহ ৬ জন আবারও রিমান্ডে
৩ মাস আগে
খালেদা জিয়া ও হাজী সেলিম নির্বাচন করতে পারবেন না: খুরশীদ আলম
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা পরিচালনাকারী সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া কিংবা হাজী সেলিম দুই বছর বা তার বেশি সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাই হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী খালেদা জিয়া কিংবা হাজী সেলিমসহ সাজাপ্রাপ্ত কেউই আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৫০ জেলে আটক
সোমবার (২৩ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
এসময় খুরশীদ আলম খান বলেন, হাইকোর্ট গতকালের প্রকাশিত রায়ে বলেছেন যে সাজা কখনও স্থগিত হয় না। উপর্যুক্ত আদালতে সাজা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নাই।
তিনি বলেন, এই রায়ের আলোকে খালেদা জিয়া ও হাজী সেলিমসহ দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিই আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কারণ তাদের সাজা বাতিল হয়নি। যদি হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগ সংশোধন করেন বা বাতিল করেন, সেটা ভিন্নকথা।
এর আগে রবিবার হাইকোর্ট থেকে প্রকাশিত এক রায়ে বলা হয়, উচ্চ আদালত কর্তৃক সাজা বাতিল না হলে অথবা সাজা ভোগের পর ৫ বছর অতিবাহিত না হলে আপিল বিচারাধীন ও জামিনে থাকা কোন দণ্ডিত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
প্রকাশিত রায়ে বলা হয়, এই মামলা থেকে জানা যায় যে আবেদনকারীদের বিচারিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং তারা দুর্নীতির জন্য দণ্ডিত হয়েছেন। দুর্নীতির অভিযোগ একটি গুরুতর অপরাধ। একজন ব্যক্তির সততার মূলে আঘাত করে দুর্নীতি।
একজন সংসদ সদস্য হলেন ক্ষমতা, সম্পত্তি ও জনগণের কল্যাণের ট্রাস্টি। তাদের উচ্চ নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হতে হবে এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ের সততা থাকতে হবে। এর থেকে কোনো বিচ্যুতি হলে তা সততা ও নৈতিক স্খলন হিসাবে বিবেচিত হয়।
আমরা মনে করি, যে অপরাধের জন্য আবেদনকারীদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, তা তাদের নৈতিক স্খলন।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবাইদাকে দোষী সাব্যস্ত করা নিম্ন আদালতের বিচারককে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি
রায়ের পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়েছে, সংবিধান নিজেই একজন সংসদ সদস্যের পদ সৃষ্টি করেছে ও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির অযোগ্যতাও নির্ধারণ করেছে। দুর্নীতিগ্রস্ত লোক এমপি হিসেবে নির্বাচিত হলেও সে তার দায়িত্ব পালন করতে পারে না। কারণ সেটা তার কোন ভয় ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার শপথের বিপক্ষে চলে যায়।
এই মামলায়, সাক্ষ্য-প্রমাণ যাচাই-বাছাই শেষে বিচারক আবেদনকারীদের দোষী সাব্যস্ত করেছেন। ঐ রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করেছেন যা এই আদালতে বিচারাধীন। আপিল বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও, তাদের অবস্থান হলো তারা দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি।
এই আদালত তাদের সাজা স্থগিত করেননি, কিন্তু তারা জামিন পেয়েছেন। জামিন আদেশ দ্বারা, সাজা স্থগিত করা হয়েছে বলে মনে করা হয়, কিন্তু দোষী সাব্যস্ততা বলবৎ থাকে। আবেদনকারীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুবিধার্থে সাজা স্থগিত রেখে সংবিধানের ৬৬(২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।
আদালত বলেন, উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, যদিও অভিযুক্ত আবেদনকারীদের জামিন দেওয়া হয়েছে, তবে সাজা স্থগিতের প্রশ্ন ওঠেনি। সেই অনুযায়ী, দোষী আবেদনকারীদের সাজা ভোগ করে মুক্তির পর ৫ বছর অতিবাহিত না হলে অথবা উচ্চ আদালত কর্তৃক তাদের সাজা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তারা সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদ নির্বাচনে অংশ গদ্রহণ করতে পারবেন না।
উল্লেখ্য যে, একজন ব্যক্তি যিনি বৈধভাবে সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হলেও পরবর্তীতে দোষী সাব্যস্ত এবং দণ্ডিত, হলে সংবিধানের ৬৭(১)(ঘ) অনুযায়ী তার আসন স্বয়ংক্রিয়ভাবে শূন্য হয়ে যাবে।
এর আগে ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর নিম্ন আদালতে দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হলে আপিলে বিচারাধীন অবস্থায় কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে রায় দেন হাইকোর্ট।
দুর্নীতির দায়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত চেয়ে আমান উল্লাহ আমানসহ বিএনপির পাঁচ নেতার আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দেওয়া হয়।
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের বেঞ্চ ওই রায় দেন।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর রবিবার ওই পর্যবেক্ষণসহ ৪৪ পৃষ্ঠার ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ: আইজিপি
১ বছর আগে
হাজী সেলিমের জামিন আবেদন নথিভুক্ত, আপিলের শুনানি ২৩ অক্টোবর
দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের জামিন আবেদন নথিভুক্ত রেখেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে তার দণ্ডের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) শুনানির জন্য ২৩ অক্টোবর দিন রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত। সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, জামিন আবেদন নথিভুক্ত করে রেখেছেন আদালত। আর তার লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য ২৩ অক্টোবর দিন রেখেছেন।
সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।
২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল রায়ে বিচারিক আদালত দুদক আইনের দুটি ধারায় হাজী সেলিমকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। এছাড়া এই অবৈধ সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে তার স্ত্রী গুলশান আরা সহযোগিতা করেছেন-এমন অপরাধে তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
এছাড়া তাদেরকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা এবং প্রায় ২৬ কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করেন আদালত।
আরও পড়ুন: ভাইয়ের মৃত্যু, সাড়ে ৫ ঘণ্টার প্যারোলে মুক্ত হাজী সেলিম
পরে ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম ও তার স্ত্রী এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট তাদের সাজার রায় বাতিল ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিল বিভাগ হাইকোর্টকে তাদের আপিলের ওপর পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন। এরই মধ্যে ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর মারা যান হাজী সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরা। এছাড়া এ মামলায় হাজী সেলিম জামিনে ছিলেন। আপিল বিভাগের নির্দেশের দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর পর দুদক হাজী সেলিমের আপিল দ্রুত শুনানির জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে। এরপর পুনঃশুনানি করে গত বছরের ৯ মার্চ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ১০ বছরের দণ্ড বহাল থাকলেও তিন বছরের সাজা থেকে খালাস পান তিনি। একইসঙ্গে রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।
গত ৯ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেয়া ১৩ বছর সাজা কমিয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড বহাল রেখে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। দুই বিচারপতির সইয়ের পর ৬৮ পৃষ্ঠার রায়ের কপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। এ সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
ওই রায় অনুসারে গত ২২ মে আত্মসমর্পণ করেন আওয়ামী লীগের এ সংসদ সদস্য। সেদিন জামিন আবেদন করা হলে আদালত তা নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসসহ শারীরিক নানা জটিলতা থাকায় ২৩ মে হাজী সেলিমকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে গত ২৪ মে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় লিভ টু আপিল দায়েরের পাশাপাশি জামিন আবেদন করেছিলেন হাজী সেলিম। ৬ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত আবেদনটি শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে ১ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: চেম্বার আদালতে জামিন পাননি হাজী সেলিম, ১ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি
২ বছর আগে
ভাইয়ের মৃত্যু, সাড়ে ৫ ঘণ্টার প্যারোলে মুক্ত হাজী সেলিম
বড় ভাই হাজী কায়েসের জানাজা ও দাফনে যোগ দিতে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম।
শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হাজী সেলিমের প্যারোলে মুক্তি দেয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) জেলার মাহাবুব ইসলাম বলেন, সেলিমকে বিকাল ৪টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল (বিএসএমএমইউ) থেকে মুক্তি দেয়া হয়। গত ২৩ মে থেকে তিনি সেখানে কারা কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে ছিলেন।
হাজী কায়েস (৭২) শুক্রবার সকালে রাজধানীর শ্যামলীস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন।
গত ২২ মে আত্মসমর্পণের পর ঢাকার একটি আদালত হাজী সেলিমকে কারাগারে পাঠায়।
এক রাত কারাগারে থাকার পর পরদিনই তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: চেম্বার আদালতে জামিন পাননি হাজী সেলিম, ১ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি
দণ্ড বাতিল চেয়ে হাজী সেলিমের আপিল
২ বছর আগে
চেম্বার আদালতে জামিন পাননি হাজী সেলিম, ১ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে জামিন দেননি আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত। তবে তার আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ১ আগস্ট দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
আদালতে হাজী সেলিমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।
তিনি জানান, আমরা জামিন আবেদনটি মুভ করেছিলাম। চেম্বার বিচারপতি জামিন দেননি। জামিন আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ১ আগস্ট দিন ধার্য করে দিয়েছেন।
এর আগে গত ২২ মে হাইকোর্টের আদেশে হাজী সেলিম বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর বর্তমানে কারাগারে আছেন। গত ২৪ মে হাইকোর্টে বহাল থাকা ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করেন সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মোহাম্মদ সেলিম। আপিলে ১০ বছরের সাজা থেকে খালাস চান তিনি। একইসঙ্গে তিনি একটি জামিন আবেদনও দাখিল করেন।
সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল রায়ে বিচারিক আদালত দুদক আইনের দুটি ধারায় হাজী সেলিমকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। এছাড়া এই অবৈধ সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে তার স্ত্রী গুলশান আরা সহযোগিতা করেছেন-এমন অপরাধে তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া তাদেরকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা এবং প্রায় ২৬ কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ রাষ্ট্রের অনুক‚লে বাজেয়াপ্ত করেন আদালত।
পরে ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম ও তার স্ত্রী এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট তাদের সাজার রায় বাতিল ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিল বিভাগ হাইকোর্টকে তাদের আপিলের ওপর পুন:শুনানির নির্দেশ দেন।
এরই মধ্যে ২০২০ সালের বছরের ৩০ নভেম্বর মারা যান হাজী সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরা। এছাড়া এ মামলায় হাজী সেলিম জামিনে ছিলেন। আপিল বিভাগের নির্দেশের দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর পর দুদক হাজী সেলিমের আপিল দ্রুত শুনানির জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে। এরপর পুন:শুনানি করে গত বছরের ৯ মার্চ রায় ঘোষণা করেন। গত ২৫ এপ্রিল ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি বিচারিক আাদালতে পৌঁছায়। এরপর ২২ মে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন হাজী সেলিম।
পড়ুন: দণ্ড বাতিল চেয়ে হাজী সেলিমের আপিল
হাজী সেলিম কারাগার থেকে হাসপাতালে
২ বছর আগে
দণ্ড বাতিল চেয়ে হাজী সেলিমের আপিল
দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম।
মঙ্গলবার হাজী সেলিমের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা আদালতের সংশ্লিষ্ট আপিল বিভাগে এ আবেদন করেন। একই মামলায় জামিনের আবেদনও করা হয়েছে বলে জানান তার আইনজীবী।
এর আগে রবিবার ঢাকার একটি বিচারিক আদালত হাজী সেলিমকে দুর্নীতির মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়।
আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিশেষ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: হাজী সেলিম কারাগার থেকে হাসপাতালে
১০ ফেব্রুয়ারি তার ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ পাঠ্য প্রকাশিত হয়।
রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে ট্রায়াল কোর্টে আত্মসমর্পণ করতে বলেছে হাইকোর্ট।
ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম ও তার স্ত্রী গুলশান আরার বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জন এবং সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, এই রায়ের পর সংবিধানের ৬৬ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাজী সেলিম এমপি থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জামিন আবেদন নামঞ্জুর: কারাগারে হাজী সেলিম
২ বছর আগে
হাজী সেলিম কারাগার থেকে হাসপাতালে
দুর্নীতির দায়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করা আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে কারাগার থেকে সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ জানান, হাজী সেলিম বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ায় আদালতের নির্দেশে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে বিএসএমএমইউতে নেয়া হয়।
এর আগে রবিবার ঢাকার একটি বিচারিক আদালত হাজী সেলিমকে দুর্নীতির মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়।
আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিশেষ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: জামিন আবেদন নামঞ্জুর: কারাগারে হাজী সেলিম
১০ ফেব্রুয়ারি তার ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ পাঠ্য প্রকাশিত হয়।
রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে ট্রায়াল কোর্টে আত্মসমর্পণ করতে বলেছে হাইকোর্ট।
ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম ও তার স্ত্রী গুলশান আরার বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জন এবং সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, এই রায়ের পর সংবিধানের ৬৬ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাজী সেলিম এমপি থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলা: আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন হাজী সেলিম
আইন মেনে দেশে ফিরেছেন হাজী সেলিম: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
জামিন আবেদন নামঞ্জুর: কারাগারে হাজী সেলিম
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে দুর্নীতির মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
রবিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিশেষ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
হাজী সেলিমের আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ রাজা জানান, তিনি বিকাল ৩টা ২০ মিনিটের আগে আত্মসমর্পণ করেন এবং মামলায় জামিন চান।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হাজী সেলিম গত ২ মে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে যান এবং ৫ মে দেশে ফেরেন।
আরও পড়ুন: আইন মেনে দেশে ফিরেছেন হাজী সেলিম: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি তার ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে ট্রায়াল কোর্টে আত্মসমর্পণ করতে বলেছে হাইকোর্ট।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সাংসদ আত্মসমর্পণ না করলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে এবং তার জামিন আদেশ বাতিল করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, এই রায়ের পর সংবিধানের ৬৬ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাজী সেলিম এমপি থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৯ মার্চ বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ নিম্ন আদালতের ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ বহাল রাখেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলায় হাজী সেলিমের ১০ বছর দণ্ডের রায় হাইকোর্টে বহাল
একই সঙ্গে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা একই মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য।
সেলিমের জরিমানা অর্ধেক কমিয়ে ১০ লাখ টাকা করেছেন হাইকোর্ট। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে আরও এক বছর জেল খাটতে হবে।
২০০৭ সালে সেলিমের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকার একটি আদালত তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যান সেলিম।
২০১১ সালে আদালত তার সাজা বাতিল করে, তবে দুদক পরে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে।
পরে আপিল বিভাগ হাইকোর্টে আবেদনের পুনঃশুনানি করতে বলেন।
২০২০ সালে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার জন্য তার ছেলে ইরফান সেলিমকে গ্রেপ্তার করার পর সেলিমের অনিয়ম আবারও আলোচিত হয়।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গা তীরে হাজী সেলিমের পেট্রল পাম্পসহ ২৬৫ স্থাপনা উচ্ছেদ
২ বছর আগে
দুর্নীতি মামলা: আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন হাজী সেলিম
আওয়ামী লীগের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের রবিবার বিকালে আদালতে আত্মসমর্পণ করার কথা রয়েছে।
দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া সত্ত্বেও চিকিৎসার জন্য বিদেশ সফরে যাওয়ায় সম্প্রতি ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছিল।
হাজী সেলিমের আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ রাজা জানান, দুপুর ২টার দিকে তিনি বিশেষ আদালত-৭-এর বিচারক শহিদুল ইসলামের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হাজী সেলিম গত ২ মে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে যান এবং ৫ মে দেশে ফেরেন।
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি তার ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে ট্রায়াল কোর্টে আত্মসমর্পণ করতে বলেছে হাইকোর্ট।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সাংসদ আত্মসমর্পণ না করলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে এবং তার জামিন আদেশ বাতিল করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, এই রায়ের পর সংবিধানের ৬৬ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাজী সেলিম এমপি থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আইন মেনে দেশে ফিরেছেন হাজী সেলিম: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৯ মার্চ বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ নিম্ন আদালতের ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ বহাল রাখেন।
একই সঙ্গে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা একই মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য।
সেলিমের জরিমানা অর্ধেক কমিয়ে ১০ লাখ টাকা করেছেন হাইকোর্ট। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে আরও এক বছর জেল খাটতে হবে।
২০০৭ সালে সেলিমের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকার একটি আদালত তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যান সেলিম।
২০১১ সালে আদালত তার সাজা বাতিল করে, তবে দুদক পরে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে।
পরে আপিল বিভাগ হাইকোর্টে আবেদনের পুনঃশুনানি করতে বলেন।
২০২০ সালে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার জন্য তার ছেলে ইরফান সেলিমকে গ্রেপ্তার করার পর সেলিমের অনিয়ম আবারো আলোচিত হয়।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলায় হাজী সেলিমের ১০ বছর দণ্ডের রায় হাইকোর্টে বহাল
হাজী সেলিমের ১৩ বছর দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের রায় ৯ মার্চ
২ বছর আগে