এসময় মন্ত্রী সরকারি গুদামের মজুদ বাড়াতে ধান চাল ক্রয়ে গতি ত্বরান্বিত করতেও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে রাজশাহী বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সভায় মন্ত্রী বলেন, কৃষক বোরোতে এবার বাম্পার ফলন ও ন্যায দাম পাচ্ছে। এ বাজার দর ধরে রাখতে সরকারি সংগ্রহের গতি বাড়াতে হবে। কৃষকদের আউশ ধানের আবাদে আরও আন্তরিক হতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীদের তালিকা নিয়ে কিছু অভিযোগ আসায় প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে চিঠি দেয়া হয়েছিল অতি দ্রুত যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত গরীব ও দুস্থদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নতুন করে তালিকা প্রেরণ করার।
প্রয়োজনে প্রতিটি উপজেলায় অতীতে তালিকা তৈরি করার সময়ে যে ট্যাগ অফিসার ছিলেন তাদেরকে সরিয়ে নতুন করে কোনো ট্যাগ অফিসারকে দায়িত্ব দিয়ে হালনাগাদ করে নতুন তালিকা সাত দিনের মধ্যে প্রণয়ন করার নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী।
ভিডিও কনফারেন্সে রাজশাহী বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনা মোকাবেলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মন্ত্রী।
খাদ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সমন্বয়ে ভিডিও কনফারেন্স সভায় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া, জয়পুরহাট, নাটোর, পাবনা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসকগণ এবং রাজশাহী বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা বক্তব্য রাখেন।