তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে উন্নত দেশ করতে হলে হাজার হাজার উপকরণ এড্রেস করতে হবে। তার মধ্যে গ্রামীণ অবকাঠামো, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি, পয়নিষ্কাশন, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট অন্যতম।’
রবিবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আমার গ্রাম আমার শহর: প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে গঠিত কমিটির প্রথম সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ওয়েস্ট থেকে বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য আমরা একটি নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমোদন নিয়েছি, এরইমধ্যে আমরা কাজও শুরু করেছি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনেরটি প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন এবং প্রাইজ নেগোসিয়েশন হয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণ সিটি ও গাজীপুরেও হচ্ছে। এরপর নারায়ণগঞ্জেও হচ্ছে। সারা বাংলাদেশেই ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট হবে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিকে আমরা অনেক বেশি উর্বর করব। সেখানে ইনকাম জেনারেশনের যে ব্যবস্থা রয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি ইনকাম করার জন্য একটি মাল্টিপল ইনপুট দেয়া হবে। পরিকল্পিতভাবে আমরা এগুলো করার চেষ্টা করছি। যার কারণে সমগ্র বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পরিবর্তন আসবে।
‘একটা গ্রামকে চিহ্নিত করার জন্য বলেছি। যে গ্রামটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেব। আমরা মানুষগুলোকে যদি তার জীবন-মানের উন্নতি করতে পারি, রোজগারের ব্যবস্থা করতে পারি, সে যদি মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা রোজগার করতে পারে তাহলে তার জীবন-মান উন্নত হবে। এ রকম একটা গ্রাম করব। এটার জন্য স্টাডি করা হচ্ছে,’ বলেন তিনি।
হকারদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রসঙ্গেয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পর্যালোচনা করে যেটা যৌক্তিক হবে, যাতে উভয়পক্ষের (হকার ও পথচারী) কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেটা করব। কারণ হকার এবং পথচারী উভয়েই বাংলাদেশের জনগণ। এখানে যে সকল সীমাবদ্ধতা আছে এবং যে ধরনের সুযোগ আছে সেগুলো বিবেচনায় রেখে ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি এবং পেপার ওয়ার্ক করছি। আশা করি এ সমস্যাটিও আমরা সমাধান করতে পারব।’