সংস্থাটি শুক্রবার এক বিবৃতিতে এসব সামগ্রী কেন যথানিয়মে ও যথাসময়ে রাষ্ট্রীয় তোশাখানায় জমা দেয়া হলো না তা দেশবাসীকে জানানোর আহ্বান জানিয়েছে।
সেই সাথে এ ধরনের উপহার কি শুধু ঘড়িতেই সীমাবদ্ধ বা এমন সংগ্রহ কি শুধু সেতুমন্ত্রীরই আছে নাকি এর স্বরূপ ও বিস্তৃতি আরও ব্যাপক ও গভীর তা খতিয়ে দেখতে সরকারের প্রতি আহ্বান রেখেছে টিআইবি।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের তার দামি ঘড়ির সংগ্রহ নিয়ে বলেন, ‘ঘড়ি আমাকে কর্মীরা ভালোবেসে দিয়েছেন। তারা বিদেশ থেকে আসার সময় অনেক উপহার সামগ্রী নিয়ে আসেন। কেউ নিয়ে আসেন কোর্ট পিন, কেউ স্যুট নিয়ে আসেন। আমি নিজে কিছু কিনি না।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ওবায়দুল কাদের তার বিলাসবহুল ঘড়ির সংগ্রহ সম্পর্কে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা প্রশ্নবিদ্ধ এবং পর্যাপ্ত নয়, বরং আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উদ্রেক করেছে।
‘যেভাবেই তিনি উপহারগুলো পেয়ে থাকুন না কেন, বিধি অনুযায়ী এগুলো যথাসময়ে তোশাখানায় জমা দেয়া হলো না কেন; জমা না দেয়ার সিদ্ধান্ত যেহেতু তিনি নিয়েছেন সেহেতু সংশ্লিষ্ট ধারা অনুসরণ করে উপহারপ্রাপ্ত বস্তুর প্রকৃত মূল্য অনুযায়ী অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে কি না- এ ধরনের প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট উত্তর জানার অধিকার জনগণের রয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
ড. জামান আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য মতে মন্ত্রী বলেছেন যে ঠিকাদাররা নির্বাচনের সময় ‘একটা এমাউন্ট’ দিতে চেয়েছিল, যা তিনি গ্রহণ করেননি। তার মতো গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান থেকে সেসব ঠিকাদারের এ ধরনের অনৈতিকতা ও দুর্নীতির চর্চা প্রতিরোধে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে? কাউকে কি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে? না কি কমপক্ষে জনস্বার্থে তাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে? জানতে চায় টিআইবি।’