সীতাকুণ্ড থানাধীন ছোট কুমিরার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই ব্যক্তি নিহতের কথা জানিয়েছে র্যাব। নিহতদের ডাকাত দলের সদস্য দাবি করলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয়সহ বিস্তারিত জানায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মাশকুর রহমানের ভাষ্য, রাত পৌনে ২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭-৮ জনের অস্ত্রধারী ডাকাত দল একটি প্রাইভেটকার ডাকাতির চেষ্টা করছে- এমন খবর পেয়ে র্যাব তাদের ধরতে অভিযান যায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি করে।
‘পরে টিকতে না পেরে ডাকাত দল পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রসহ দুই ডাকাতের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তবে নিহত দুই ডাকাত সদস্যের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি,’ বলেন র্যাবের ওই কর্মকর্তা।
র্যাবের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ওয়ানশুটার গান, ৩১ রাউন্ড গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, গাজীপুরের টঙ্গী নদীবন্দর এলাকার একটি মাঠে সোমবার দিবাগত রাতে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক যুবক নিহতের কথা জানায় র্যাব।
নিহত যুবক ইসমাইল ফরিদপুরের বাসিন্দা। তাকে মাদক কারবারি বলে দাবি করছে র্যাব।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেনের ভাষ্য, টঙ্গী নদীবন্দর এলাকার একটি মাঠে সোমবার রাতে মাদক উদ্ধার করতে অভিযান চালায় র্যাব সদস্যরা। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারিরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে।
‘পরে অন্যরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারি ইসমাইলের মরদেহ উদ্ধার করে র্যাব সদস্যরা,’ বলেন ওই কর্মকর্তা।
র্যাবের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও কয়েক হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ‘বন্দুকযুদ্ধের’ সময় র্যাবের দুজন সদস্য আহত হয়েছেন।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মঙ্গলবার সকালে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।