চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি জাইল্যার টেক এলাকায় রাত সোয়া ১টার দিকে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস (হাইচ) ও চট্টগ্রাম থেকে থেকে কক্সবাজারমুখী রিলাক্স পরিবহনের নৈশকোচের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৯ জন নিহত হয়েছেন।
চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন জানান, হাইচ গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে ঘটনাস্থলে অন্তত আটজন নিহত ও চারজন আহত হন। পরে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর আরও একজনের মৃত্যু হয়।
নিহত আটজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তারা হলেন- লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া লস্কর পাড়া এলাকার হজেরা বেগম (২৬), চুনতি খলিফার পাড়া এলাকার আবু তাহের (২২), কক্সবাজার সদরের পিএমখালীর ছনখোলা নয়াপাড়া এলাকার মো. জিসানের স্ত্রী তসলিমা আক্তার (২০), তার শিশু মেয়ে সাদিয়া (২), তসলিমা আক্তারের মা হাসিনা মমতাজ (৪৫), চকরিয়ার খুটাখালীর উত্তর মেধাকচ্ছপিয়া এলাকার বান্ডু মিয়ার ছেলে মো. নুরুল হুদা (২৫), চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার সিকদারপাড়া এলাকার মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে আফজাল হোসেন সোহেল (৩০) ও বাঁশখালীর শেখেরখীল এলাকার মো. সিদ্দিকের ছেলে মো. সায়েম (২২)।
মাদারীপুর সদর উপজেলার কলাবাড়ি এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে একটি বাস খাদে পড়ে গেল দুই নারীসহ বাসের সাত যাত্রী নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- আমরাতলা গ্রামের বাসিন্দা হাসিয়া (৫০), পান্তাপাড়া গ্রামের আব্বাস (৩০), খয়ারভাঙ্গা গ্রামের নয়ন (৩০), রানু বেগম (৩০) এবং আটিপাড়া গ্রামের হবী হাওলাদার (৫০), শরিফ (১৩), আম্বিয়া (৬৫)।
ফরিদপুরের চন্দ্রপাড়া এলাকায় ওরশ শেষে মুরিদানদের নিয়ে ফিরছিল বাসটি।
মাদারীপুর সদর থানার ওসি কামরুল হাসান বলেন, ‘দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি ট্রাকের ধাক্কায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি কলাবাড়ি ব্রিজের রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিন যাত্রী নিহত হন।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, আহতদের হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান আরও চারজন।
যশোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন।
যশোর-খুলনা মহাসড়কের চাউলিয়া ও যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে পৃথক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কোতয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) সমীর কুমার সরকার জানান, যশোর সদর উপজেলার চাউলিয়ায় সকাল ১১টার দিকে খুলনাগামী একটি ট্রাকের সাথে চার চাকার স্থানীয় একটি পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। আহত হন ১৫ জন।
নিহতরা হলেন-মনিরামপুর উপজেলার গাবুখালি গ্রামের সুভাষ বৈরাগীর ছেলে সুব্রত বৈরাগী (২৫) এবং ৩২ বছর বয়সী অজ্ঞাত এক নারী ও একই বয়সী অজ্ঞাত এক পুরুষ।
অন্যদিকে যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে রাত দেড়টার দিকে রূপসা পরিবহনের একটি বাস এক বাইসাইকেল আরোহীকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহত আলেক সরদার (৫৫) যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা।
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় একটি জিপ উল্টে এক নির্মাণ শ্রমিক নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
নিহত জিয়া মাঝি (৪৫) নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা।
সাজেক থানার এসআই কামরুজ্জামান জানান, নির্মাণাধীন ভবনের ছাঁদ ঢালাইয়ের কাজের জন্য ৩৫ জন শ্রমিক হাটহাজারী থেকে দুটি জিপগাড়িতে করে মাচালং যাচ্ছিলের। দুপুর ২টার দিকে একটি জিপগাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হন। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।