প্রধানমন্ত্রী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিহতদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ‘মুজিব বর্ষের’উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং উপস্থিত থাকবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট এবং সিপিসির সাধারণ সম্পাদক শি জিনপিংয়ের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস আপনার সুযোগ্য নেতৃত্বে চীন সরকার সর্বোচ্চ দক্ষতা ও নিয়ন্ত্রণের সাথে পরিস্থিতির অবনতি মোকাবিলা করতে এবং সংক্রমণ থামাতে সক্ষম হবে।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন এ সংকট নিরসনে একটি টাস্কফোর্স গঠন ও জরুরি হাসপাতাল স্থাপন সময়োপযোগী ও প্রশংসার দাবিদার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার বন্ধুত্বপূর্ণ চীনের সরকার ও আক্রান্তদের মানুষের দুর্দশা লাঘবে তাদের পাশে থাকবে।
ভুক্তভোগীদের দুর্দশা লাঘবে যে কোনো ধরনের সহায়তা দিতে বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
চীনে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের এ সঙ্কটময় মুহূর্তে সুরক্ষা দেয়ায় চীনের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
চীন ও সেদেশের জনগণের প্রতি প্রেসিডেন্ট শি’র দক্ষ নেতৃত্ব এবং অঙ্গীকারের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রেসিডেন্ট শি’র বুদ্ধিদ্বীপ্ত নেতৃত্ব চীনকে উন্নয়নের অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
তার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে চীন উন্নয়নের বিশ্ব মডেল হয়ে উঠেছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশেষ করে এশীয় অঞ্চলে চীনের প্রেসিডেন্টের অবদান সত্যই প্রশংসার দাবিদার, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৫২ এবং ১৯৫৭ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চীন সফর বাংলাদেশ এবং আধুনিক চীনের মধ্যকার সম্পর্ক দৃঢ় ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করে। আর সম্পর্ক উন্নয়নে আপনার অবিসংবাদিত নেতৃত্বের অধীনে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে, উল্লেখ করেন তিনি।
চীনের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।