বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী
সাইবার যুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধীদের পরাজিত করার আহ্বান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সামনে আরেকটি যুদ্ধ অপেক্ষমান। আর সেটি হচ্ছে সাইবার যুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি সাইবার জগতে নানা মিথ্যা ও অপপ্রচার চালিয়ে আমাদের মহান স্বাধীনতার অর্জনকে ধূলিস্যাৎ করতে চাইছে। সরকারের বিরুদ্ধে ভূয়া ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। এদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে ডিজিটাল যোদ্ধা হিসেবে এই অপশক্তিকে সাইবার যুদ্ধে পরাজিত করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে এলআইসিটি প্রকল্প আয়োজিত আমার মুজিব ক্যাম্পেইনের আওতায় ‘আমাদের মুজিব’ শীর্ষক রচনা ও ‘মুজিবের কাছে চিঠি’ লেখা প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
তরুণ প্রজন্মকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত ও দেশপ্রেম জাগ্রত করা, সুনাগরিক এবং দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে আমার মুজিব ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) এলআইসিটি প্রকল্পের জনপ্রিয় প্লাটফর্ম ‘দুর্বার’এর মাধ্যমে।
বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন ও আদর্শ অনুসরণ করার আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর মানবিকতা, শোষণ-বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সংগ্রাম, সাহস, দূরদর্শিতা ও নৈতিকতার গুণাবলির মধ্যে নিহিত রয়েছে একজন আদর্শ মানুষ হওয়ার শিক্ষা।
পলক বলেন, যিনি বঙ্গবন্ধু মুজিবের লেখা তিনটি বই- ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী,’ ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘আমার দেখা নয়াচীন’ পড়বেন তিনি মূল্যবোধ ও নৈতিকতার শিক্ষা পাবেন। তিনি ‘মুজিব গ্রাফিক নভেল’ কে প্রাথমকি স্কুল পর্যায়ে পড়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানান।
বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, এলআইসিটি প্রকল্পের আইটি-আইটিইএস পলিসি এডভাইজার সামি আহমেদ, বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, বাক্কো’র মহাসচিব তৌহিদ হোসেন, ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার, বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল হাসান অপু, উই ফোরামের সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা। অনুষ্ঠানে ‘মুজিবের কাছে চিঠি’ লেখা প্রতিযোগিতায় ৯ম ও ১০ম শ্রেণি ক্যাটেগরিতে চ্যাম্পিয়ন নন্দী মজুমদার বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাঁর চিঠিটি পড়ে শোনান। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন এলআইসির প্রকল্পের ডিজিটাল কমিউনিকেশন বিশেষজ্ঞ হাসান বেনাউল ইসলাম।
উল্লেখ্য, সর্বমোট ৮১৪ রচনা এবং ৩৪১টি চিঠি বিচারকমন্ডলীর মাধ্যমে বাছাই করে শ্রেণিভিত্তিক বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে মোট ১৫ জনকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। এর মধ্যে ৯ জন রচনায় এবং ৬ জন চিঠিতে। মুজিবের কাছে চিঠি লেখা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা হলেন: ১ম ও ২য় শ্রেণি ক্যাটেগরিতে ব্রাম্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ মডেল একাডেমির ফাইজা তাবাসসুম নুসরাত (চ্যাম্পিয়ন) ও ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নওশীন আজাদ (রানার আপ), ৪র্থ থেকে ৫ম শ্রেণি ক্যাটেগরিতে রংপুরের শঠিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লামিয়া মারজান (চ্যাম্পিয়ন) ও সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নিহাল আহমদ ও মতিঝিল সরকারি মডেল স্কুল থেকে মেধা সরকার (যুগ্মভাবে রানার আপ), ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি ক্যাটেগরিতে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের রণিত অধিকারী (চ্যাম্পিয়ন) ও ঢাকার বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ থেকে সাফওয়ান আজমাঈন (রানার আপ), ৯ম থেকে ১০ম শ্রেণি ক্যাটেগরিতে গোপালগঞ্জের সরকারি কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনের নন্দী মজুমদার (প্রথম) ও ঢাকার রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের মো. মুনতাজিম রহমান সায়মন (রানার আপ) এবং আমাদের মুজিব রচনা প্রতিযোগিতায় একাদশ থেকে দ্বাদশ ক্যাটাগরিতে বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের তাসনীম তিশা (চ্যাম্পিয়ন) ও ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্রান্ড কলেজের ইকরা আলম রেজা এবং একই প্রতিষ্ঠানের অথৈ দাস শৈতী (যুগ্মভাবে রানার আপ) এবং স্নাতক ১ম ও শেষ বর্ষ ক্যাটেগরিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. সাগর হোসেন চ্যাম্পিয়ন ও ঢাকা কলেজের আল মামুন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল কাইউম যুগ্মভাবে রানার আপ ।
উল্লেখ্য, ১৫ জন বিজয়ীদের মধ্যে ৮ জনই মেয়ে এবং তূলনামূলকভাবে ঢাকার বাইরের অংশগ্রহণকারীরা অনেক ভালো করেছে।
৩ বছর আগে
মহামারিতে বৈশ্বিক শান্তি আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে: প্রধানমন্ত্রী
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিশ্ব শান্তি নিশ্চিত করা অতীতের চেয়ে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, 'করোনাভাইরাসের মতো অদৃশ্য শত্রুর আবির্ভাবের সাথে সাথে প্রযুক্তির দ্রুত প্রসার এবং সময়ের অগ্রগতির ফলে নতুন ধরনের হুমকির উপাদানের উদ্ভূত হয়েছে।'
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়নের জন্য আরও জ্বালানি প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
সোমবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ‘শান্তির অগ্রসেনা-২০২১’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনুশীলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আয়োজিত একটি বহুজাতিক অনুশীলন বঙ্গবন্ধু সেনানিবাস, ঘাটাইল, টাঙ্গাইলে ৪-১২ এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ও ভারতের সেনা সদস্যদের পাশাপাশি ভুটান ও শ্রীলঙ্কার সেনা সদস্যরাও এই অনুশীলনে অংশ নিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষীদের বহুমাত্রিক ও জটিল পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। 'তাই, শান্তিরক্ষীদের মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।'
তিনি উল্লেখ করেছেন, এ পর্যন্ত ১৫৮ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী মারা গিয়েছেন এবং ২৩৭জন আহত হয়েছেন। 'জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে আসন্ন সংকট মোকাবেলার জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করার সময় এসেছে।'
শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোকে ‘শান্তির অগ্রসেনা অনুশীলন’-এ উপস্থাপন করা হয়েছিল যেন ভবিষ্যতের শান্তিরক্ষীরা এ জাতীয় পরিস্থিতি মোকাবেলায় যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণে দক্ষভাবে প্রশিক্ষিত হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কোনো দেশের জাতীয় ঐক্য ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যথাযথ প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী অপরিহার্য। 'একইভাবে, সামরিক সদস্যদের ক্ষমতা প্রমাণ করার ক্ষেত্রে নিয়মিত অনুশীলনের বিকল্প নেই।'
আরও পড়ুন: তরুণদের শক্তি ও সম্ভাবনা বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রীর জোর
২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের সময়ে ফিরে তাকিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার 'ফোর্সেস গোল-২০৩০' শীর্ষক একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে এবং একটি উচ্চতর পেশাদার ও প্রশিক্ষিত সামরিক বাহিনী গঠনের লক্ষ্য নিয়ে এটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার ২০১৬ সালে ‘বাংলাদেশ পিস বিল্ডিং সেন্টার (বিপিসি)’ প্রতিষ্ঠা করেছে। গত ১২ বছরে তিনটি বাহিনীর আধুনিকায়নে এর উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটেছে।
'আমরা আমাদের সেনাবাহিনীতে পরিশীলিত অস্ত্র এবং প্রযুক্তি যুক্ত করেছি। আমরা সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে 'জিরো-টলারেন্স নীতি' গ্রহণ করেছি,' তিনি বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮০০ জন নারীসহ ১ লাখ ৭৫ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী পাঁচটি মহাদেশের ৪০ টি দেশে ৫৪ টি মিশনে অংশ নিয়েছেন। যেখানে ১০টি শান্তিরক্ষা মিশনে ৭ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশী সেনা ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
'আমাদের শান্তিরক্ষীরা প্রতিটি মিশনে জাতিসংঘের পতাকা উঁচু করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল করেছে। সে কারণেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী সরবরাহকারী দেশ হয়ে উঠেছে,' তিনি বলেন।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে: জেনারেল আজিজ
আর্থসামাজিক বিকাশের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারি চলাকালীন সময়েও যখন বিশ্ব অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছিল, সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার চেষ্টা করেছে, দেশকে জিডিপিতে ৫.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম করেছে। 'সেই সাথে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছি।'
অনুষ্ঠানে আগত ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারভানে বক্তব্য রাখেন এবং সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ স্বাগত ও ধন্যবাদ বক্তব্য প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে, সেনাবাহিনী প্রধান অনুশীলনে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ করেন।
৩ বছর আগে
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ঐক্যের আহ্বান মোদির
সন্ত্রাসবাদের মতো অমানবিক কাজের পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবে রূপদানকারী শক্তিগুলোকে মোকাবিলা করার জন্য সবাইকে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সন্ত্রাসবাদের মতো সাধারণ হুমকির কথা উল্লেখ করে শুক্রবার তিনি বলেন, ‘এই অমানবিক কাজের পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবে রূপদানকারী শক্তিগুলো এখনও সক্রিয় রয়েছে। আমাদের অবশ্যই তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে এবং তাদের মোকাবিলা করার জন্য সংগঠিত হতে হবে।’
মোদি বলেন, আমরা ঐতিহ্যের অংশীদার, আমরা উন্নয়নের অংশীদার, আমরা লক্ষ্যও ভাগাভাগি করি, আমাদের চ্যালেঞ্জগুলোও ভাগাভাগি করি।
আরও পড়ুন: স্থিতিশীল দক্ষিণ এশিয়া গড়তে ভারতকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
মেগা উদযাপনে যোগ দিতে ঢাকায় নরেন্দ্র মোদি
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে বাণিজ্য ও শিল্পে আমাদের জন্য একই ধরনের সম্ভাবনা থাকলেও তেমনি সন্ত্রাসবাদের মত সমান বিপদও রয়েছে।’
মোদি বলেন, ‘আমাদের উভয় দেশেই গণতন্ত্রের শক্তি রয়েছে, এগিয়ে যাওয়ার সুস্পষ্ট দূরদর্শিতা রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ অগ্রযাত্রা এই পুরো অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ।’
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোদি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রার এই গুরুত্বপূর্ণ পর্বে আমাকে অংশ করায় আমি আনন্দিত।’
তিনি বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানান যিনি তার পুরো জীবন বাংলাদেশ ও জনগণের জন্য উত্সর্গ করেছেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস: মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়তে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভারতীয়দের জন্য এটি গর্বের বিষয় যে শেখ মুজিবুর রহমানকে গান্ধী শান্তি পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করার সুযোগ পেয়েছি।’
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
হাসিনার পাশে বসে বাংলাদেশের গল্প শুনতে এসেছি: ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে বসে বাংলাদেশের গল্প শোনার জন্য সফরে এসেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গল্প শোনার জন্য এখানে এসেছি, আমি আরও বেশি গর্বিত, কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন অনুপ্রেরণাদায়ী নেতা এবং আমার কাছে মাতৃসুলভ ব্যক্তিত্ব।’
বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১০ দিনের অনুষ্ঠানমালার অষ্টম দিনে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
লোটে শেরিং বলেন, ঠিক ৫০ বছর আগে একটি দেশ অশান্তি ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে জন্ম নিলেও এটি এখন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে এগিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়তে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
পিটিএ থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে অবকাঠামো নির্মাণে গুরুত্ব প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী এবং এমন একটি দেশের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করছি, যেটার জন্য তিনি পুরো জীবন ব্যয় করেছেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, অন্যকে বলার মত একটি গল্প প্রত্যেক মানুষ ও জাতির অবশ্যই থাকা উচিত। বিশ্বের সব মানুষকে বলার মত একটি চমৎকার গল্প বাংলাদেশকে দিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ধরনের তাৎপর্যপূর্ণ অনুষ্ঠান কেবল বাংলাদেশের নয়, বিশ্বের মানুষের উদ্দীপনা জাগ্রত করতে পারে। বিশেষ করে এমন সময়ে যখন করোনাভাইরাস মহামারি অনেক মূলবান প্রাণ নিয়ে গেছে এবং লাখ লাখ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত করেছে।’
বিপুল জনসংখ্যা নিয়েও শেখ হাসিনা ও তার সরকার যেভাবে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা করেছে তার প্রশংসার করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পারস্পরিক সুবিধার জন্য নেপালের সাথে পিটিএ চান প্রধানমন্ত্রী
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ঢাকায়
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শান্তিপূর্ণ, প্রগতি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশের জন্য তার যে চেতনা, তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। আমি সম্মান জানাতে এসেছি শেখ হাসিনার প্রতি, যিনি তার বাবার সোনার বাংলা স্বপ্ন ধারণ করে কাজ করে চলেছেন।
বক্তব্য শুরুর আগে বাংলাদেশের সাথে ভুটানের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নিজের দেশের একটি স্মারক ডাকটিকেট শেখ হাসিনার তুলে দেন লোটে শেরিং।
৩ বছর আগে
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরু
বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে শনিবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শুরু হয়েছে।
৩ বছর আগে
ঢাকায় শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসে
দু'দিনের সরকারি সফরে শুক্রবার সকালে ঢাকায় পৌঁছেছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।
৩ বছর আগে
নেত্রকোনার ৯৬০ গৃহহীন পরিবার ঘর পাচ্ছেন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নেত্রকোনার ১০ উপজেলার ৯৬০টি ভূমি ও গৃহহীন দরিদ্র পরিবার মাঝে আধাপাকা নতুন ঘর উপহার দেয়া হচ্ছে।
৩ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিনে মোদির শ্রদ্ধা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
৪ বছর আগে
অনলাইনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনে যোগ দেবেন মোদি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ১৭ মার্চ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
৪ বছর আগে
চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণে হতাহতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা চীনের উহান শহর ও অন্যান্য স্থানে করোনাভাইরাস সংক্রমণে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
৪ বছর আগে