মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো একটি ভিডিও বার্তায় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যে কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে আমাদের জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং বিশেষত হাসপাতালগুলোতে আমাদের সেবা দিয়ে যেতে হবে।’
ইতিমধ্যে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে এবং লকডাউন জারি করা হলে কীভাবে কাজ করতে হবে এবং পরিচালনা করতে হবে সে বিষয়ে কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পরে দেশের পরিস্থিতি আচ করে তার মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
দেশের জনগণের যাতে কোনো পরিস্থিতিতেই বিদ্যুত, গ্যাস ও এলপিজির মতো জরুরি পরিষেবাগুলো পেতে কোনো সমস্যায় না পড়তে হয় সে জন্য এগুলোর সরবরাহ অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান তিনি।
নসরুল হামিদ বলেন, কারখানা উৎপাদন ও পরিবহন কার্যক্রম বন্ধ রাখায় বিদ্যুত ও পেট্রোলিয়ামের চাহিদা যথেষ্ট পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে এবং সেজন্য সরকারকে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব বিবেচনা করে বিদ্যুত বিল পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। যার ফলে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা নিয়মিত বিদ্যুত ও গ্যাস বিল সরকারের কোষাগারে জমা হবে না।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় করোনাভাইরাস রোগীদের সেবার সুবিধার্থে বিভিন্ন বেসরকারি বিদ্যুত কেন্দ্র পরিচালকদের সহায়তায় বিভিন্ন বিভাগকে প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি সরবরাহ করবে।
নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুত ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব কর্মী এবং বিদেশি নাগরিক যারা বিভিন্ন বিদ্যুত কেন্দ্রগুলোতে কাজ করছেন তাদের জন্যও প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
‘আমাদেরকে বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং জরুরি সেবা সরবরাহে নিযুক্ত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের নিরাপত্তা সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে।’
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে যেখানে প্রায় ৯ হাজার বিদেশি নাগরিক কাজ করে সেখানে এখন এর সংখ্যা তিন হাজারে নেমে এসেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।