সকালে কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এটা যারা অ্যাপ তৈরি করেছে সেই সিএনএস এর ব্যর্থতা এবং আমাদেরও (রেলওয়ে মন্ত্রণালয়) ব্যর্থতা।’
সুজন বলেন, ‘মানুষ অ্যাপের মাধ্যমে যদি টিকিট কাটতে ব্যর্থ হয় তাহলে আমরা ইতিমধ্যেই অন্য ব্যবস্থা হাতে নিয়েছি। অ্যাপের জন্য বরাদ্দ থাকা অবিক্রিত টিকিট ২৭ মে থেকে কাউন্টারে বিক্রি করা হবে।’
তিনি বলেন, সিএনএস এর অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, অনলাইনে ১৪ হাজার ৭৫৪টি এবং অ্যাপের মাধ্যমে ৫ হাজার ২৪২টি টিকিট বিক্রি করা হয়েছে।
সুজন বলেন, ৫ হাজারেরও বেশি টিকিট অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বুধবার থেকে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে আগামী ৩১ মের টিকিট বিক্রি করছে কর্তৃপক্ষ।
ঈদের বেশ কয়েকদিন আগের টিকিট হলেও আগাম টিকিট পেতে শত শত মানুষ রাজধানীর কমলাপুরসহ আরও চারটি রেলওয়ে স্টেশনে ভিড় জমিয়েছে।
তবে গত বছরগুলোর চেয়ে চলতি বছরে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ভিড় কম লক্ষ্য করা গেছে। এ বছর কর্তৃপক্ষ রেলের টিকিট ক্রয়ের জন্য পাঁচটি স্টেশনে ভাগ করে দিয়েছেন। এজন্য টিকিট ক্রয় করতে আসা মানুষ কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
পূর্ব ঘোষিত সূচি অনুসারে, আজকের পর আগামী ২৩ মে ১ জুনের, ২৪ মে ২ জুনের, ২৫ মে ৩ জুনের এবং ২৬ মে ৪ জুনের আগাম টিকিট বিক্রি করা হবে।
এছাড়া আগামী ২৯ মে ৭ জুনের, ৩০ মে ৮ জুনের, ৩১ মে ৯ জুনের, ১ জুন ১০ জুনের ও ২ জুন ১১ জুনের ফিরতি টিকিট বিক্রি হবে।
প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ আগাম টিকিট বিক্রি করা হবে এবং একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ চারটি টিকিট ক্রয় করতে পারবেন।
পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট কমলাপুর থেকে বিক্রি করা হবে এবং যারা চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর টিকিট নিবেন, তাদের বিমানবন্দর স্টেশন থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে।
ময়মনসিংহ ও জামালাপুরের টিকিট তেজগাঁও স্টেশনে, নেত্রকোনা, মোহনগঞ্জ এবং হাওর এক্সপ্রেসের টিকিট বনানী স্টেশনে এবং সিলেট ও কিশোরগঞ্জের টিকিট ফুলবাড়িয়ার পুরাতন রেলভবনে পাওয়া যাবে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অতিরিক্ত যাত্রী বহন সামলাতে আটটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।