মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
তার বিরুদ্ধে মামলাটি এখন বিচারিক আদালতে চলতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ. কে. এম. আমিন উদ্দিন ( মানিক) ও আসামিপক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এ. জে. মোহাম্মদ আলী ও মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা।
জানা যায়, ডা. আফজাল হোসেন (রাজু) পিতা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা থাকার সুবাদে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বদলী বাণিজ্যের মাধ্যমে ১০ কোটি ৬১ লাখ১৩১ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করে।
টাকাগুলো স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ধানমণ্ডি শাখা, সিলন ব্যাংক ধানমণ্ডি শাখা, এবি ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংকের শাখায় জমা রাখেন। পরে নয় কোটি ৬১ লাখ ১৩১ টাকা উত্তোলন করে উৎস গোপন বা আড়ালের উদ্দেশ্যে হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং করেন। এ অভিযোগ দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ইব্রাহিম অনুসন্ধান করে সত্যতা পাওয়ায় ২০০৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ধানমণ্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত করে ২৫ জুন ২০০৯ সালে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলাটি বিভাগীয় স্পেশাল জজ, ঢাকায় বিচারাধীন আছে।
গত বছরের ২২ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। চার্জ গঠনের পর আসামিপক্ষ গত ২৬ নভেম্বর মামলা বাতিলের জন্য অত্র ফৌজদারি বিবিধ মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিপক্ষ মামলার শুনানিতে জানান, ২০০২ সালের মানিলন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলাটি বর্তমান আইনে চলতে পারে না।
আদালত আদেশে বলে, নতুন আইনের কারণে পুরাতন আইনে দায়ের করা মামলা বাতিল/ ধ্বংস হতে পারে না। আবেদনটি খারিজ করা হলো।