একই সাথে সম্ভব হলে স্যালাইন, প্যারাসিটামল ও ডেঙ্গু পরীক্ষার কীট বিনামূল্যে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ করা যায় কিনা, সে বিষয়টি আদালত বিবেচনা করতে বলেছে।
আগামী ১ আগস্ট এসব বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ মৌখিকভাবে এই আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেছেন, এর আগের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা আদালতকে ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি’র ব্যাপারে অগ্রগতি জানাই। আমি আদালতকে জানিয়েছি সরকার এ পরীক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা ফি নির্ধারণ করেছে। এছাড়া বিষয়টি তদারকি করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১০টি টিম গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আদালত এ দুর্যোগের সময় সরকার নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত যাতে কেউই আদায় না করতে পারে তা তদারকি করতে নির্দেশ দিয়েছে। একই সাথে আগামী বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে অগ্রগতি জানাতে বলেছে। আমি আদেশের বিষয়টি ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে জানিয়ে দিয়েছি।
এর আগে গত ২৫ জুলাই ডেঙ্গু পরীক্ষায় বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হচ্ছে মর্মে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। ওই খবর আদালতের নজরে এনে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুশতাক আহমেদ চৌধুরী পদক্ষেপ নেয়ার আবেদন জানান।
হাইকোর্ট সেদিন ডেঙ্গু পরীক্ষায় বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কী পদক্ষেপ নিয়েছেন তা জানতে চান। সে অনুযায়ী সোমবার আদালতকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে গৃহীত পদক্ষেপ জানান ডিএজি বাশার।