পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, পরিকল্পিত সাতটি সমঝোতা স্মারকের প্রাক-স্বাক্ষর প্রক্রিয়া সোমবার রাতের মধ্যে শেষ হবে এবং মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সময় তা হস্তান্তর করা হবে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এগুলো আজ রাতেই চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন:মিয়ানমারের মর্টার শেল ছোড়ার প্রতিবাদ জানাবে ঢাকা: পররাষ্ট্র সচিব
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কুশিয়ারা নদীর অন্তর্বর্তীকালীন পানি বণ্টন এর মধ্যে অন্যতম। এর আগেই বাংলাদেশ ও ভারত একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) চূড়ান্ত করেছে।’
এর আগে রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা, রেলওয়ে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ে সাতটি দ্বিপক্ষীয় নথিতে স্বাক্ষর করার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বাসভবনে (আইটিসি মৌর্য) সাক্ষাতের পর জয়শঙ্কর জানান, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত হওয়াতে তিনি আনন্দিত।
আরও পড়ুন: ভারতের নতুন পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন
এক টুইটে তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতৃত্ব স্তরের যোগাযোগের আন্তরিকতা ও ধারাবাহিকতা আমাদের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশি সম্পর্কের একটি অন্যতম নিদর্শন।’
এই সফর দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে পৌঁছানোর পরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ১০ মিনিট) দেশটির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোশ এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান।
আরও পড়ুন: হাসিনা-মোদির রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন এখনো চূড়ান্ত নয়: পররাষ্ট্র সচিব
বিমানবন্দরে একটি সাংস্কৃতিক দল স্বাগত নাচ এবং বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে পরিবেশন করে।
বিমানবন্দর থেকে শেখ হাসিনা একটি আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রায় আইটিসি মৌর্যের উদ্দেশে যাত্রা করেন, যেখানে তিনি সফরকালে অবস্থান করবেন। রাস্তাগুলোর দুই পাশ বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হয়েছে। পথে বসানো হয়েছে শেখ হাসিনা ও মোদির প্রতিকৃতিও।
ইউক্রেন সংকট, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও চলমান কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে এই সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ দুই দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশি এই চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে চায়
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনার চুক্তি করছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র সচিব