বুধবার যশোরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিমানবাহিনী একাডেমি থেকে যে মৌলিক প্রশিক্ষণ তোমরা গ্রহণ করেছ তার যথাযথ অনুশীলন ও প্রয়োগের মাধ্যমে পেশাগত মানোন্নয়নে তোমরা সদা সচেষ্ট থাকবে। মনে রাখবে- সততা, একাগ্রতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে বিমানবাহিনীর ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।’
দক্ষতা অর্জনে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিমানবাহিনীর সদস্যদের সার্বিক দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ক্যাডেটদের মৌলিক প্রশিক্ষণ ও প্রাতিষ্ঠানিক মানোন্নয়নের লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়নসহ প্রশিক্ষণের মেয়াদকাল বৃদ্ধি করা হয়েছে।’
রাষ্ট্রপতির মতে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী জাতির গর্বের প্রতীক। দেশের আকাশ সীমার প্রতিরক্ষা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি জাতীয় যেকোনো প্রয়োজনে দেশ ও জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে বিমানবাহিনীর সদস্যরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাচ্ছেন।
তিনি জানান, দেশের বিমান পরিবহন খাতকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপন এবং লালমনিরহাটে বিমানবাহিনীর জন্য অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রি নির্মাণের প্রক্রিয়া এগিয়ে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী বিমান তৈরির মতো সক্ষমতা অর্জন করবে এবং দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। পাশাপাশি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিমানবাহিনী একাডেমি দেশ-বিদেশে সুনাম ও মান সমুন্নত রাখবে বলেও আশা করেন তিনি।
এর আগে রাষ্ট্রপতি প্রধান অতিথি হিসেবে খোলা জিপে চড়ে চৌকস প্যারেড পরিদর্শন এবং কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন। সেই সাথে তিনি ফ্লাইট ক্যাডেটদের মাঝে ট্রফি, সনদ ও ফ্লাইং ব্যাজ বিতরণ করেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিমানবাহিনী একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছলে বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত এবং বিএএফ একাডেমির কমান্ড্যান্ট এয়ার কমোডর মোহাম্মদ শাফকাত তাকে স্বাগত জানান।
এবার শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে ১০ জন নারীসহ মোট ৬১ জন ফ্লাইট ক্যাডেট কমিশন পেয়েছেন।