আবদুল হামিদ
জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করবেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শনিবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। যা হবে দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার শেষ ঈদ।
জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন হবে অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য: নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় রাষ্ট্রপতি ঈদের জামাতে অংশ নেবেন।
রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাবেন-বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
নামাজ শেষে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বঙ্গভবনে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তিনি।
এছাড়া প্রতিকূল আবহাওয়া বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে জামাত সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় বায়তুল মোকাররম মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার জুড়ে বিস্তৃত জাতীয় ঈদগাহের প্যান্ডেলে প্রায় ৩৫ হাজার লোক ঈদের জামাতে অংশ নিতে পারে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি হামিদকে বিদায় জানাতে প্রস্তুত হচ্ছে বঙ্গভবন
দেশের উন্নয়নে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ রাষ্ট্রপতির
১ বছর আগে
সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে সংসদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শুক্রবার সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সংসদীয় ব্যবস্থায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিগুলোকে সত্যিকার অর্থে কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সংসদের সামগ্রিকভাবে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও ভূমিকা রয়েছে। প্রথমত, শ্রেণী, পেশা ও লিঙ্গ নির্বিশেষে সমাজের মতামতের প্রতিনিধিত্ব করা; দ্বিতীয়ত, আইন প্রণয়ন এবং সরকারি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ এবং তৃতীয়ত তদারকির মাধ্যমে নির্বাহী শাখার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, সংসদীয় ব্যবস্থায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিগুলোকে সত্যিকার অর্থে কার্যকর করতে পারলে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যাবে।
শুক্রবার জাতীয় সংসদের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ‘বিশেষ অধিবেশনে’ ভাষণ দানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র তাল মিলিয়ে এগিয়েছে'- লক্ষ্য করে তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র বিরাজ করলেই উন্নয়ন ও অগ্রগতি এগিয়ে যায়। আবার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অভাবে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।
উন্নয়নকে স্থায়ী ও টেকসই করতে হলে তৃণমূল পর্যায়ে বিকাশের জন্য গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও গণতান্ত্রিক চর্চাকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের অনুপস্থিতিতে যে উন্নয়ন হয় তা কখনই সর্বজনীন হতে পারে না। এ ধরনের উন্নয়ন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকেন্দ্রিক হয়ে ওঠে। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর দেশে ফেরার পরপরই বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক লক্ষ্যে একটি সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনার কাজ শুরু করেন। জনগণের মুক্তি। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি দেশকে শূন্য থেকে স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান ছড়িয়ে দিন: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকদের হাতে বঙ্গবন্ধু শহীদ না হলে দেশ অনেক আগেই উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হতো। ১৯৭৫ সালের পর বহু বছর উন্নয়ন ও গণতন্ত্র অবরুদ্ধ ছিল।
সংসদকে কার্যকর করতে সকল সংসদ সদস্যকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, রাজনীতিতে মত, নীতি ও আদর্শের ভিন্নতা থাকতে পারে। তবে সংসদকে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করার বিষয়ে কোনো ভিন্নমত থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, এই সংসদকে জনগণের আশা-আকাঙ্খা বাস্তবায়নের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা দল-মত নির্বিশেষে সকল সদস্যের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র কোনো আমদানি-রপ্তানিযোগ্য পণ্য বা সেবা নয়।
হামিদ বলেন, ‘আমাদের মনে হলে অন্য দেশ থেকে পছন্দের পরিমাণে গণতন্ত্র আমদানি বা রপ্তানি করা’ এর সারমর্ম নয়। গণতন্ত্র বিকাশ লাভ করে এবং চর্চার মাধ্যমে শক্তিশালী হয়।’
তিনি বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রামে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সংসদীয় কার্যক্রমে লিপিবদ্ধ বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য অধ্যয়ন করলে সংসদকে কীভাবে প্রাণবন্ত ও কার্যকর করা যায় তা আমরা শিখতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, কীভাবে বিরোধী দলকে আস্থায় নেওয়া যায় এবং অন্যদের সম্মান করা যায়, বঙ্গবন্ধু বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান যে আমরা বঙ্গবন্ধুর মতো বৈশ্বিক মর্যাদার একজন কিংবদন্তী নেতা পেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা তাকে ধরে রাখতে পারিনি।’
আরও পড়ুন: টেকসই উন্নয়নের জন্য দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিন: রাষ্ট্রপতি
নবনির্বাচিত স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারকে অভিনন্দন জানানোর সময় তিনি পঞ্চাশ বছর আগে প্রথম সংসদের প্রথম অধিবেশনে সংসদ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বক্তব্যের কথা স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুকে উদ্ধৃত করে বলেন, সংসদ সদস্যরা আপনাদের দায়িত্ব পালনে সব সময় সহযোগিতা করবেন।
বঙ্গবন্ধু আশা প্রকাশ করেন যে ঐতিহ্যবাহী সংসদীয় রীতিনীতি মেনে কার্যক্রম নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হবে এবং তাদের কাছ থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা পাবেন।
সেসময় সংসদ নেতা শেখ মুজিব বলেছিলেন, ‘আপনাদের মনোযোগ দিতে হবে যাতে এই সংসদের মর্যাদা সমুন্নত থাকে, কারণ আমরা যে ইতিহাস তৈরি করেছি তাতে কোনও ত্রুটি থাকা উচিত নয়।’
হামিদ বলেন, দেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে
গত দেড় দশক ধরে শাসন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতার কারণে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ এখন অগ্রগতির এই ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।’
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশন শুরু করেছে বাংলাদেশ সংসদ।
এটিও একাদশ জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশন।
সংসদ সদস্যদের আলোচনা সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর একটি প্রস্তাব জাতীয় সংসদে গৃহীত হবে।
১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ তার প্রথম অধিবেশন বসে।
আরও পড়ুন: মেডিকেল কলেজকে টাকা বানানোর যন্ত্রে পরিণত করা উচিত নয়: রাষ্ট্রপতি
১ বছর আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী, ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব চান রাজা চার্লস
যুক্তরাজ্যের(ইউকে) রাজা চার্লস-৩ বলেছিলেন যে তিনি কমনওয়েলথ সনদের দশম বার্ষিকীর এই বিশেষ বছরে কমনওয়েলথের সদস্য হিসেবে দুই দেশের মধ্যে অব্যাহত উষ্ণ বন্ধুত্ব এবং শক্তিশালী ও ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব চায়।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে পাঠানো অভিনন্দন বার্তায় যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন, ‘যেহেতু আপনি এবং সর্বত্র বাংলাদেশিরা, স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছেন, আমার সঙ্গে আমার স্ত্রী আগামী বছরের জন্য আপনাকে আমাদের উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
রাজা চার্লস স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য,বিনিয়োগ ও ডিজিটাল অর্থনীতির সম্পর্ক জোরদার করবে যুক্তরাজ্য: ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমরা এই চ্যালেঞ্জিং সময়ের মুখোমুখি, সমৃদ্ধি, গণতন্ত্র এবং শান্তির জন্য এবং সর্বোপরি জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি মোকাবিলায় আমাদের একসঙ্গে কাজ করা আরও গুরুত্বপূর্ণ।’
বার্তাটিতে লেখা হয়েছে,‘লন্ডনের ব্রিক লেনে আমাদের সাম্প্রতিক সফরের সময় অনেক ব্রিটিশ বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের অভ্যর্থনা পেয়ে আমার স্ত্রী এবং আমি আনন্দিত এবং খুশি হয়েছি, যা আমাদের জনগণ এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রদর্শন করে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ক্রস-পার্টি প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা
১ বছর আগে
স্বাধীনতা দিবস: বঙ্গভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তার স্ত্রী রাশিদা খানম রবিবার বঙ্গভবনে দেশের ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এক সংবর্ধনার আয়োজন করেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এছাড়া স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীও এসময় উপস্থিত ছিলেন।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দীর্ঘদিন পর প্রায় ২৫০০ অতিথিকে সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধান, সংসদ সদস্য, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী সমাজের নেতৃবৃন্দ, শিল্পী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, বীরত্ব পুরষ্কার প্রাপ্তরা এবং বিশিষ্ট নাগরিকরা এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শীর্ষ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সংবাদপত্রের সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
এ উপলক্ষে কেক কাটেন রাষ্ট্রপতি হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের উপহার পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে তারা আহত মুক্তিযোদ্ধা এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তি ও অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
পরে সংবর্ধনা ও ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়। দেশের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বঙ্গভবন জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা এম সাইফুল কবির।
এর আগে রাষ্ট্রপতি দিবসটি উপলক্ষে আজ সকালে রাজধানীর উপকণ্ঠে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি স্মার্ট কন্টিনজেন্ট রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে।রাষ্ট্রপতি স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইতেও সাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
স্বাধীনতা দিবসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
১ বছর আগে
রাষ্ট্রপতির বাড়িতে ১৬ পদের মাছে আপ্যায়িত প্রধানমন্ত্রী
কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মিঠাপানির হাওরের ১৬ পদের মাছ দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
রাষ্ট্রপতির পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ বিবেচনা করে স্থানীয় মিষ্টি খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস’ উদ্বোধনের পর মধ্যাহ্নভোজের জন্য রাষ্ট্রপতির পৈত্রিক বাড়িতে যান শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি মিঠামইনে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন
রাতাবোরো চালের ভাতের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে ১৬ পদের মাছের তরকারি, ভুনা ও দোপেয়েজা পরিবেশন করা হয়। মাছের মধ্যে ছিল- রুই, কাতল, চিতল, আইর, পাবদা, গোলসা ট্যাংরা, কালিবাউশ, শোল, বাইম, চিংড়ি, বোয়াল, গ্রাস কার্প, বাছা, রিটা ও পাঙাশ।
দুই দশকেরও বেশি সময় পর এটাই ছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রথম মিঠামইন সফর।
দুপুরের খাবার শেষে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমাবেশে বক্তব্য দিতে মিঠামইন হেলিপ্যাড মাঠে যান।
আরও পড়ুন:হাওর অঞ্চলের প্রতিটি সড়ক হবে এলিভেটেড: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
রাষ্ট্রপতি মিঠামইনে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কিশোরগঞ্জের হাওরের মিঠামইন উপজেলায় যাবেন বলে সোমবার তার পৈতৃক বাড়িতে পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
সোমবার বিকাল ৩টায় রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী একটি হেলিকপ্টার মিঠামইন উপজেলায় অবতরণ করে।
হেলিকপ্টার থেকে নামার পর বাসার সামনের সড়কে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতির গ্রামের বাড়িতে প্রধানমন্ত্রীকে হাওরের মাছ, অষ্টগ্রামের পনিরসহ স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন করা হবে।
আবদুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার বাসায় আসছেন বলে তিনি খুবই খুশি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরিবারের সবাই খুব খুশি।’
তিনি বলেন, ‘কতবার টুঙ্গিপাড়ায় গিয়েছি বলতে পারব না। যতবার গিয়েছি, বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন। আমি এখন রাজনীতিতে নেই। তিনি আমার বাড়িতে আসবেন, আমি তাকে অভ্যর্থনা জানাতে এসেছি।’
প্রথমবারের মতো কিশোরগঞ্জে নিজ বাড়িতে আসছেন শেখ হাসিনা।
আবদুল হামিদ বলেন, ১৯৯৮ সালে আমার বাসায় আ কোনো উপায় ছিল না। এখন বাড়ির গেটে যাবো, আগে এখানে লঞ্চে ভিড় থাকত।
তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালে শেখ হাসিনা কিশোরগঞ্জে গিয়ে রাষ্ট্রপতির বাড়ি দূর থেকে দেখেছিলেন। কিন্তু তিনি আসেস নি।
আরও পড়ুন: ঋণ খেলাপির জন্য সাধারণ মানুষ নয়, বড় ব্যবসায়ীরা দায়ী: রাষ্ট্রপতি
১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আমার প্রচারণায় এসেছিলেন। তিনিও বাজার থেকে বাড়ি দেখেছেন, কিন্তু আসতে পারেননি।
এর আগে রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
হাওরের প্রায় সব ধরনের মাছ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পরিবেশন করা হবে জানিয়ে রাষ্ট্রপতির ছেলে বলেন, ‘হাওরের রুহু, কাতল, বাইম, চিতল, চিংড়ি ও পাবদাসহ সব ধরনের মাছ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আপ্যায়ন করার চেষ্টা করব।’
রাষ্ট্রপতির বাড়িতে আতিথেয়তা গ্রহণের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়ির পাশে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধন করবেন এবং বিকালে মিঠামইন হেলিপ্যাড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেবেন।
হামিদ ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত পাঁচ দিনের সরকারি সফরে নিজ জেলা কিশোরগঞ্জে পৌঁছেছেন।
গার্ড অব অনার শেষে রাষ্ট্রপতি কামালপুরে তার বাসভবনের উদ্দেশে রওনা হন, সেখানে তিনি রাত্রিযাপন করবেন।
সফরকালে রাষ্ট্রপতি মিঠামইন, করিমগঞ্জ ও সদর উপজেলাও পরিদর্শন করবেন।
৩ মার্চ রাষ্ট্রপতি সার্কিট হাউসে উপস্থিত থাকবেন এবং গার্ড অব অনার শেষে হেলিপ্যাডের উদ্দেশে রওনা হবেন। এরপর বিকাল সাড়ে ৫টায় বঙ্গভবনে পৌঁছানোর কথা বলে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।
আরও পড়ুন: ভাষা আন্দোলনের বীরদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, বঙ্গভবনে বর্তমান রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
১ বছর আগে
ঋণ খেলাপির জন্য সাধারণ মানুষ নয়, বড় ব্যবসায়ীরা দায়ী: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, ব্যাংকের খেলাপি ঋণের এক শতাংশের জন্যও সাধারণ মানুষ দায়ী নয়। বরং বড় ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা স্বেচ্ছায় ফেরত না দেয়ার অভিপ্রায়েই ঋণ নিয়ে থাকেন।
তিনি বলেন, ‘তারা ঋণ নেয় (ইচ্ছা করে) পরিশোধ না করার জন্য। অবশ্য এর সঙ্গে কিছু ব্যাংকারও জড়িত।’
শনিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ষষ্ঠ সমাবর্তনে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমানে দেশের ব্যাংক ও অন্যান্য ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ রয়েছে এক লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি, যা মোট ঋণের ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। দেশে এখন পর্যন্ত খেলাপি ঋণের এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৩৬ লাখ কোটি টাকা।
শিক্ষার্থীরাই দেশের ভবিষ্যৎ উল্লেখ করে হামিদ বলেন, কেউ হবে রাজনীতিবিদ, কেউ হবে ব্যবসায়ী বা শিল্পপতি, কেউ হবে আমলা।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মনে রাখবেন রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও আমলাদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় একটি দেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যায়। তা করতে ব্যর্থ হলে দেশ ও জাতির জন্য চরম বিপদ ডেকে আনে।’
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময়
সার্কভুক্ত একটি দেশের অর্থনীতির দেউলিয়া অবস্থার সংবাদের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই অর্থনৈতিক দেউলিয়াপনার জন্য আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করা হয়েছে। এই সিন্ডিকেটের অশুভ সম্পর্ক যেকোনো দেশের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।’ তবে তিনি কোনও দেশের নাম বলেননি।
প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধ, দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধে শিক্ষিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে এসব শিক্ষার মূল ক্ষেত্র।
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু দুঃখের বিষয় হল আজকের রাজনীতিতে ক্ষমতা এবং অর্থ অনেক ক্ষেত্রেই নিয়ন্ত্রণকারী শক্তির ভূমিকা পালন করে। ছাত্র রাজনীতিতে এসব অশুভ ছায়া ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অধিগ্রহণ ও চাঁদাবাজির কারণে ছাত্র রাজনীতিকে এখন আগের মতো সম্মানের পরিবর্তে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে। এটা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভালো নয়।’
ব্যবসায়ীদের সমালোচনা করে হামিদ বলেন, তারা নৈতিকতা বাদ দিয়ে ব্যবসা শুরু করে কীভাবে রাতারাতি ধনী হওয়া যায় তা চিন্তা করেন।
হামিদ বলেন, একই কথা সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য। চাকরি করার পর কীভাবে দ্রুত গাড়ি ও বাড়ির মালিক হবেন তা নিয়েই তারা চিন্তিত।
তিনি বলেন, ‘তারা ভুলে যায় যে তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী এবং জনগণের সেবক। নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থে তারা মাঝে মাঝে দেশ ও জাতির বৃহৎ স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করতে দ্বিধা করে না।’
দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে দুর্নীতি অন্যতম বড় বাধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং শিক্ষকদেরও দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি মুক্ত রাখতে হবে।
হামিদ বলেন, কিছু উপাচার্য ও শিক্ষক আইনের অপব্যবহার করে নিজেদের সুযোগ-সুবিধা আদায়ে ব্যস্ত।
আরও পড়ুন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজস্ব পরিচয় তৈরি করুন: এনডিসি স্নাতকদের রাষ্ট্রপতি
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজস্ব আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে, আইনের অপব্যবহার করে এমন একটি বিভাগ তাদের সুযোগ-সুবিধা পেতে খুব ব্যস্ত। তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছাত্রদের ব্যবহার করতে দ্বিধা করে না।’
তিনি বলেন, শিক্ষা নিয়ে কোনোভাবেই আপস করা যাবে না এবং শিক্ষার্থীরা একাডেমিক সব কার্যক্রম ঠিক রেখে রাজনীতি, সমাজসেবা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড করতে পারে।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্য যে দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সঙ্গে আপস করে অ-একাডেমিক কর্মকাণ্ডে বেশি সময় দেয়া হচ্ছে। যে কারণে বিশ্বের প্রথম এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু সার্টিফিকেটভিত্তিক শিক্ষা দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম থেকে ৪৭তম ব্যাচের ৩১ হাজার ৭১৬ জন যোগ্য স্নাতকের মধ্যে মোট ১৫ হাজার ২১৯জন অনার্স, মাস্টার্স, এম ফিল, পিএইচডি, এমবিএ ডিগ্রি এবং উইকএন্ড কোর্সের অধীনে নিবন্ধন করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তনে ১৫ জন স্নাতককে আসাদুল কবির স্বর্ণপদক এবং শরাফুদ্দিন স্বর্ণপদক দেয়া হয় তাদের অসাধারণ একাডেমিক ফলাফলের জন্য।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন ১৯৯৭ সালে, দ্বিতীয়টি ২০০১ সালে, তৃতীয়টি ২০০৬ সালে, চতুর্থটি ২০১০ সালে এবং পঞ্চম সমাবর্তন ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ে সময়োপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
১ বছর আগে
চাহিদা ভিত্তিক পাঠ্যক্রম প্রণয়নের তাগিদ রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বর্তমান চাকরির বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন, কারণ চাহিদাভিত্তিক ও কর্মমুখী শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।
বুধবার মিরপুর সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ‘ষষ্ঠ সমাবর্তন-২০২৩’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতি গঠনের প্রথম ধাপ হিসেবে মানসম্মত শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এটি (মানসম্মত শিক্ষা) অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মেধা বিকাশের প্রধান মাধ্যম।
আরও পড়ুন: শিশুদের সৃজনশীল কাজে নিয়োজিত করুন, অভিভাবকদের প্রতি রাষ্ট্রপতি
তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে গবেষণাকে গুরুত্ব দিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন।
রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাঠদানে নিজেকে নিবেদিত করতে এবং মনে রাখতে বলেছিলেন যে ‘আনন্দ ব্যতীত শিক্ষা কোনও সুফল বয়ে আনতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে উদ্ভাবিত নতুন ধারণা এবং কৌশলগুলোকে শোষণ করে নিজেদেরকে সময়োপযোগী রাখতে হবে।’
হামিদ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে (আইটি) দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই।
ডিগ্রি অর্জনের জন্য স্নাতকদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি তাদের মনে রাখার পরামর্শ দেন যে, ‘শিক্ষা শুধু ডিগ্রি অর্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, একজন শিক্ষার্থী কীভাবে ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে এর সদ্ব্যবহার করতে পারে তার ওপর একজন স্নাতকের প্রকৃত সাফল্য নির্ভর করে।
বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে হামিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বিশ্ব মন্দা থেকে দেশকে বাঁচাতে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়াতে হবে। রপ্তানি বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সেটি করা উচিত।’
রাষ্ট্রপতি গ্রাজুয়েটদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রস্তুতি নেয়ারও পরামর্শ দেন।
এ উপলক্ষে ৩৬ জন স্নাতককে ‘চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল’ এবং ২৯ জন ‘ভাইস-চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল’ প্রদান করা হয়।
ষষ্ঠ সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন সেনাপ্রধান (সিএএস) জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিইউপির ভাইস-চ্যান্সেলর মেজর জেনারেল মো. মাহবুব-উল আলম, তিন বাহিনীর প্রধানগণ এবং বিইউপি’র প্রো-ভিসি, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভাষা আন্দোলনের বীরদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
উন্নয়ন প্রকল্পের সুফল জনগণের কাছে পৌঁছাতে বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
১ বছর আগে
উন্নয়ন প্রকল্পের সুফল জনগণের কাছে পৌঁছাতে বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ উন্নয়ন প্রকল্পের সুফল জনগণের কাছে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, শুধু উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নই আপনার দায়িত্ব নয়, জনগণ যাতে উন্নয়নের সুফল পায় তাও নিশ্চিত করা আপনার দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর: অ্যাটর্নি জেনারেল
বুধবার রাষ্ট্রপতি তার নামে একটি মিলনায়তনে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান।
তিন দিনের সফরে বিকালে মিঠামইনে পৌঁছান তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জনপ্রতিনিধিদের প্রধান কাজ হচ্ছে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের জন্য তাদের কল্যাণে কাজ করা।
এ সময় সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন ও রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের বিষয়ে নীরব বিএনপি
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক অপ্রত্যাশিত: সিইসি
১ বছর আগে
বর্তমান রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আজ সন্ধ্যায় দেখা করবেন নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাও নির্বাচিত রাষ্ট্রপতির সঙ্গে থাকবেন।
রাষ্ট্রপতি হামিদ সোমবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানান এবং ফোনে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে বাংলাদেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ঘোষণা: গেজেট
সাহাবুদ্দিন হবেন বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি।
গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থী সাহাবুদ্দিনকে বাংলাদেশের নির্বাচিত পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করেন।
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী রবিবার সাহাবুদ্দিনের জন্য দুটি মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয় এবং সোমবার যাচাই-বাছাই শেষে একটি বৈধ বলে গ্রহণ করা হয়। বিকালে এ সংক্রান্ত গেজেট জারি করা হয়।
রাষ্ট্রপতি হামিদ চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল তার মেয়াদ পূর্ণ করতে চলেছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নতুন রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সমালোচনা মান্নার
উত্তরসূরি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের শুভেচ্ছা
১ বছর আগে