সকালে রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশন মন্দিরসহ সারাদেশের বিভিন্ন মন্দির ও পূজা মণ্ডপে মহাঅষ্টমীর প্রধান আকর্ষণ- কুমারী পূজা পালন করা হয়। এছাড়া এদিন সন্ধী পূজাও পালন করা হবে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, ‘মা দেবীরূপে’ কুমারী মেয়েকে জীবন্ত প্রতিমা কল্পনা করে জগজ্জননীর উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করাই কুমারী পূজা।
ভক্তদের মতে, এটি একাধারে ঈশ্বরের উপাসনা, মানববন্দনা আর নারীর মর্যাদার প্রতিষ্ঠা। নারীর সম্মান, মানুষের সম্মান আর ঈশ্বর আরাধনাই কুমারী পূজার অন্তর্নিহিত শিক্ষা।
মহাঅষ্টমীতে এক কুমারী কন্যাকে দেবীর আসনে বসিয়ে তাকে ঘিরে পালন করা হয় নানা আচার-অনুষ্ঠান।
কুমারী মেয়েটিকে দেবী দুর্গার শুদ্ধ নারীরূপে চিন্তা করে তাকে দেবী জ্ঞানে পূজা করেন ভক্তরা।
পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গোৎসবের চতুর্থ দিনে সোমবার নবমী পূজা পালন করবেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। মঙ্গলবার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের শেষ হবে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রতি শরতে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্বর্গলোক কৈলাস ছেড়ে মর্ত্যে আসেন দেবী দুর্গা। নির্দিষ্ট তিথি পর্যন্ত বাবার বাড়িতে কাটিয়ে আবার ফিরে যান দেবালয়ে। দেবীর অবস্থানকালে এই পাঁচ দিন পৃথিবীতে ভক্তরা ‘দেবী মা’র বন্দনা করেন।