দুর্গাপূজা
দুর্গাপূজায় সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ৮ দিন বন্ধ থাকবে আমদানি-রপ্তানি
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে টানা আট দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে এ সময়ে বন্দর অভ্যন্তরে থাকা আমদানি পণ্য খালাস কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।
বৃহস্পতিবার ( ২৫ সেপ্টেম্বর) সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত গেল ১২০০ কেজি ইলিশ
তিনি জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি এবং ভারতের মহদিপুর স্থলবন্দর রপ্তানিকারক সমিতির ছুটি মিলে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ৮ দিন এই বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ৮ দিন বন্ধের পর ৪ অক্টোবর থেকে আবারও আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।
তবে এ সময়ে বন্দর অভ্যন্তরে থাকা আমদানি পণ্য খালাসের কাজ স্বাভাবিকভাবে চলবে বলে জানান তিনি।
৭১ দিন আগে
আজ শুভ মহালয়া
আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) শুভ মহালয়া। এই দিনের মাধ্যমে শুরু হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এই বিশেষ দিনে ধ্বনিত হয় দেবী দুর্গার মর্ত্যে আগমনের বার্তা, যা অশুভের বিরুদ্ধে শুভের চিরন্তন জয়ের প্রতীক।
শরতের শুভ্র এই সকালে চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়েই সূচনা হয়েছে দেবীপক্ষের। ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন মন্দিরে চলছে চণ্ডীপাঠ, তর্পণ এবং দেবী দুর্গার বন্দনা।
মহালয়া শুধু পূজার একটি আনুষ্ঠানিক সূচনাই নয়, এটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি আধ্যাত্মিক উপলক্ষও। এই দিন থেকেই দুর্গাপূজার ক্ষণ গণনা শুরু হয়। ষষ্ঠীপূজা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর, আর ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে দেবী মর্ত্যলোকে ত্যাগ করে আবার কৈলাসে ফিরে যাবেন।
পুরাণ মতে, দুর্গোৎসবের তিনটি পর্ব—‘মহালয়া’, ‘বোধন’ আর ‘সন্ধিপূজা’। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস। পুরাণ মতে, মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বরে কোনো মানুষ বা দেবতা কখনো মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। ফলে অসীম ক্ষমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করে এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চায়।
তাই ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব—ত্রয়ী সম্মিলিতভাবে ‘মহামায়া’র রূপে অমোঘ নারীশক্তি সৃষ্টি করলেন। একেক দেবতা দিলেন অস্ত্র। দেবতাদের দেওয়া দশটি অস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে সিংহবাহিনী দেবী দুর্গা ৯ দিনব্যাপী যুদ্ধে মহিষাসুরকে পরাজিত ও হত্যা করেন।
৭৫ দিন আগে
কোনো সরকার নাগরিকের মৌলিক অধিকার বঞ্চিত করতে পারে না: অধ্যাপক ইউনূস
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করেছেন। এ সময় দুর্গাপূজার আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেছেন, কোনো সরকার নাগরিকদের মৌলিক সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অধিকার রাখে না।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি পরিদর্শন ও হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি মনে করেন, পুরো বাঙালি জাতি একটি বড় পরিবার। সরকারের দায়িত্ব হলো সব নাগরিকের সমান অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করা। তাছাড়া, অশুভ শক্তিকে পরাজিত করতে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।
আগামী ২২ সেপ্টেম্বর তার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যাওয়ার কথা রয়েছে। তিনি বলেন, পূজার সময় ঢাকায় না থাকার কারণে ভেতরে ভেতরে আক্ষেপ থাকলেও মন্দিরে গিয়ে তিনি শান্তি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: তরুণেরা সক্রিয় থাকলে দেশের কোনো সমস্যা অমীমাংসিত থাকবে না: প্রধান উপদেষ্টা
সবাই এ দেশের নাগরিক, কারও প্রতি বৈষম্য করা হবেনা বলেও আশ্বাস দেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি সবার উদ্দেশ্যে বলেন, নিজেকে মনে করিয়ে দিন, আপনি এই দেশের নাগরিক, এবং আপনাকে সংবিধান প্রদত্ত অধিকার ও মর্যাদা অবশ্যই দিতে হবে।
ঐক্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস জানান, পূজার আনন্দ উপভোগ না করতে পারার আশঙ্কায় তিনি আগেভাগেই সেখানে গেছেন।
এর আগে, সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুর্গাপূজা ঘিরে যেন কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের সুযোগ তৈরি না হয়, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।
তার আগে, গতকাল (সোমবার) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন হিন্দু নেতারা।
সে সময় প্রধান উপদেষ্টাকে আসন্ন দুর্গাপূজার মণ্ডপগুলোতে যেতে আমন্ত্রণ জানান বিভিন্ন পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতারা।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে সব সময় দেখা করার ইচ্ছা থাকলেও সুযোগ হয় না। পূজা উপলক্ষে বছরে একবার সামনাসামনি দেখা হয়, কথা বলার সুযোগ হয়।’
৮০ দিন আগে
অনেক জায়গায় পূজা কমিটির মধ্যে কোন্দল রয়ে গেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দুর্গাপূজা উদযাপনে অনেক জায়গায় পূজা কমিটির মধ্যে কোন্দল রয়ে গেছে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
দুর্গাপূজার সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার প্রস্তুতির বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, পূজার ক্ষেত্রে যত ধরনের প্রস্তুতি আছে আমাদের নিতে হবে। পূজা একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠান, এটার পবিত্রতা রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। কে কোন ধর্মের আমরা সেটা দেখবো না, আমাদের সবার দায়িত্ব তারা যেন পূজাটা ভালোভাবে করতে পারে। এজন্য সবার সাহায্য-সহযোগিতা দরকার।
তিনি বলেন, পূজার ক্ষেত্রে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সেজন্য আমাদের যা যা করার আমরা সবই করব। পূজাটা যেন নির্বিঘ্নে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে করতে পারে সেজন্য আমরা সব ব্যবস্থা করে দেব। এটার পবিত্রতা যেন রক্ষা হয় আমরা সব ব্যবস্থা করবো।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে চালু হচ্ছে অ্যাপ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘অনেক জায়গায় একটু সমস্যা আছে। কমিটির নিজেদের মধ্যে একটা কোন্দল রয়ে গেছে। আমরা অনুরোধ করব, তাদের নিজেদের কোন্দলটা মিটিয়ে পূজাটা যাতে ভালোভাবে সম্পন্ন হয়। আপনারা (সাংবাদিক) লোকজনকে বলবেন, আমরাও বলব। আমরা আশা করি পূজাটা খুব ভালোভাবে ও নির্বিঘ্নে উৎসবমুখর পরিবেশ এবং ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে হয়ে যাবে।'
এ সময় লুট হওয়া অস্ত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, লুট হওয়া অস্ত্র প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে।
জাতীয় নির্বাচনের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে খুব ভালো থাকে, এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।
ডাকসু-জাকসু নির্বাচন হলো। এ নির্বাচন নিয়ে কি আলোচনা হয়েছে কিনা সে প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, এগুলোর মধ্যে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যতটুকু দায়িত্ব ছিল, আমরা মনে হয় সেটা শতভাগ সম্পন্ন করতে পেরেছি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে কারো কোনো অভিযোগ নেই। আমাদের প্রস্তুতিরও কোনো অভাব ছিল না।
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলার চ্যালেঞ্জটা কিভাবে মোকাবেলা করা হবে সে বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, জাতীয় নির্বাচন তো আরও অনেক পরে। এটার জন্য আমরা ট্রেনিং শুরু করে দিয়েছি। প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে।
৮২ দিন আগে
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ১২০০ টন ইলিশ রপ্তানি করবে সরকার
দুর্গাপূজা উপলক্ষে এক হাজার দুইশ টন ইলিশ শর্তসাপেক্ষে ভারতে রপ্তানির জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি-২ শাখার উপসচিব এস এইচ এম মাগফুরুল হাসান আব্বাসীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে ইলিশ মাছ রপ্তানির বিষয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিবছরের ন্যায় চলতি ২০২৫ সালে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১,২০০ (এক হাজার দুইশত) ইলিশ ভারতে শর্তসাপেক্ষে রপ্তানির জন্য সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সে আলোকে আগ্রহী রপ্তানিকারকদের নিকট হতে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত অফিস চলাকালীন সময়ের মধ্যে হার্ড কপিতে আবেদন আহ্বান করা হচ্ছে।
পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পক্ষে নয়: ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, ইআরসি, আয়কর সার্টিফিকেট, ভ্যাট সার্টিফিকেট, বিক্রয় চুক্তিপত্র, মৎস্য অধিদপ্তরের লাইসেন্সসহ সংশ্লিষ্ট দলিলাদি দাখিল করতে হবে।
সরকার প্রতি কেজি ইলিশের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ১২ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই যারা আবেদন করেছেন, তাদেরকেও নতুনভাবে আবেদন দাখিল করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
৮৭ দিন আগে
দুর্গাপূজায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে চালু হচ্ছে অ্যাপ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পূজা মণ্ডপে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে একটি অ্যাপ চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, কোনো পূজা মন্ডপে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে এই অ্যাপের মাধ্যমে তা সেখানে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সচিত্র জানিয়ে দেবেন। এর ভিত্তিতে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পদক্ষেপ নেবেন শীর্ষ কর্মকর্তারা।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা শেষে উপদেষ্টা এই অ্যাপ চালুর কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, 'সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইয়েরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এটি (দুর্গাপূজা) খুবই ভালোভাবে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে তাদের যে একটি বড় ভূমিকা হলো, তারা পুরো সময়টা দেখার জন্য দিনে তিনজন রাতে চারজন লোক দিবেন যাতে মণ্ডপটা ২৪ ঘণ্টা পুরো অবজারভেশনে থাকে। আমাদের আনসার সদস্য এবং সদস্যাও থাকবেন। তারাও পর্যবেক্ষণ করবে যাতে কোথাও যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়।'
তিনি বলেন, 'আমরা একটা নতুন অ্যাপও তৈরি করে দিয়েছি। কোথাও যদি কোনো ধরনের ঘটনা ঘটে, তবে এটা তার সত্যতা আছে কিনা সেটা চেক করা যাবে। একইসঙ্গে ঘটনা যে ঘটেছে সেটির প্রতিকার যাতে সঙ্গে সঙ্গে নেওয়া যায়, সেটার ব্যবস্থা করা হয়েছে।'
বৈঠকে থাকা একাধিক কর্মকর্তা জানান, মূলত মণ্ডপগুলোতে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা সদস্যদের অ্যাপে প্রবেশের ক্ষমতা থাকবে। কোনো ঘটনা ঘটলে তারা অ্যাপে প্রবেশ করে তাৎক্ষণিক ছবি এবং ভিডিওর মাধ্যমে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেবেন। তাদের সে ছবি ও ভিডিও তৎক্ষণাৎ শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে চলে যাবে। তারা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নেবেন।
পড়ুন: পূজায় মদ-গাঁজার আসর বসানো যাবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, 'পূজা উপলক্ষে আশেপাশের যে মেলা বসে সেখানে গাজার আড্ডা বসে, মদের আড্ডা বসে- সেগুলো কিন্তু এবার কোনো অবস্থায় হতে পারবে না। এবার কোনো মেলা হবে না। তবে ছোটখাটো দুই একটা দোকান থাকতে পারে। কমিটির কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ওই দোকানগুলো স্থাপন করতে পারবে।'
আপনারা বলেছেন যারা নির্বাচন অংশ নিতে পারবে না তারা নাশকতা করার চেষ্টা করছে। তারা পূজাটাকে উপলক্ষ হিসেবে নেবে কিনা- এ বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, 'যারা দুষ্কৃতিকারী তারা সব জায়গায় দুষ্কর্ম করার চেষ্টা করে। এটা শুধু পূজা নয় সব জায়গায় করার চেষ্টা করবে। এটা প্রতিহত করার দায়িত্ব হলো আমাদের, আপনাদের, আমাদের সবার। আমরা সবাই মিলে এটি প্রতিহত করব।'
পূজার আগে প্রতিমা বানানোর সময় অনেক সময় ভাঙচুর হয়। সেই ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, 'আমাদের প্রিভেনটিভ (প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা) তো শুরু হয়ে গেছে।'
নাশকতা কারা করবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আপনারা তো বললেন যে দুষ্কৃতিকারীরা করতে পারে। তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। দুষ্কৃতিকারীদের তো কোনো দল-মত নেই।'
৮৮ দিন আগে
২ ঈদের ১১ দিন, দুর্গাপূজায় ২ দিনের ছুটি অনুমোদন
ঈদুল ফিতরে ৫ দিন, ঈদুল আজহায় ৬ দিন এবং দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২ দিনসহ ২৬ দিন ছুটির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
নির্বাহী আদেশে ১২টি সাধারণ ছুটি ও ১৪টি ছুটি অন্তর্ভুক্ত ছিল। নয়টি ছুটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন (শুক্রবার ও শনিবার) মিলে যাবে।
পাঁচটি সাপ্তাহিক ছুটি এবং বিভিন্ন ধর্মের উৎসবের ছুটিসহ মোট ১২টি সাধারণ ছুটি থাকবে।
এছাড়া, নির্বাহী আদেশে ১৪টি ছুটি থাকবে, যার মধ্যে পহেলা বৈশাখ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় বিষয়ে চারদিনের সাপ্তাহিক ছুটি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এছাড়া বৈসাবি উপলক্ষে তিন দিনের ছুটি পাবেন আদিবাসীরা।
৪১৩ দিন আগে
বাংলাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপন হয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক মূল্যবোধকে পুনর্ব্যক্ত করে এবারও দেশব্যাপী আনন্দঘন পরিবেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠী তাদের সর্ববৃহৎ উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপন করেছে।
গতকাল সন্ধ্যায় সারা বাংলাদেশে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দশদিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারা বাংলাদেশ জুড়ে ৩২ হাজারেরও বেশি পূজা মণ্ডপ স্থাপন করা হয়। এসব মণ্ডপে হিন্দু নারী, পুরুষ ও শিশুরা দেবীর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, কোনো ধরনের উস্কানি ও অপপ্রচারকে উপেক্ষা করে সরকারের নেওয়া সব পদক্ষেপের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অভিনন্দন জানিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরকারীদের বিরুদ্ধে সতর্কতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
গত সপ্তাহে সারা দেশে যে কয়েকটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তার প্রেক্ষিতে সরকার অনতিবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বেসামরিক প্রশাসন এ পর্যন্ত ১১টি মামলা দায়ের করেছে এবং এসব ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৭ জনকে এরইমধ্যে আটক করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বাংলাদেশ রাষ্ট্রের একটি চিরন্তন পরিচয় যা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছে। বাংলাদেশ সরকার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, প্রত্যেক ব্যক্তিরই তার ধর্ম বা বিশ্বাস নির্বিশেষে কোনোরকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের অধিকার রয়েছে।
বাংলাদেশে সব নাগরিকের, বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকার একান্ত কর্তব্যরূপে গণ্য করে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করছে যে বাংলাদেশের জনগণের ধর্মনিরপেক্ষ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিচিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সরকার সদা সচেষ্ট।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষক দল চলে যাওয়ার পরপরই বনানীর বাজারে বাড়ল পণ্যের দাম!
৪১৬ দিন আগে
১৫ বছর ধরে দুর্গাপূজার আয়োজন করে আসছেন নারীরা
উলুধ্বনি, শঙ্খ, কাঁসর আর ঢাকের তালে সারাদেশের মতো মাগুরায়ও মহাসমারোহে আয়োজিত হচ্ছে দুর্গাপূজা। এর মধ্যে আঠারো খাদা ইউনিয়নের বাঁশকোঠা গ্রামে এক পূজা মণ্ডপের বিশেষত্ব নজর কেড়েছে সবার। তবে ওই মণ্ডপে দুর্গাপূজার এমন আয়োজন এ বছরই প্রথম নয়।
গত ১৫ বছর ধরে শুধুমাত্র নারীদের আয়োজনে শারদীয় দুর্গাপূজা হয়ে আসছে এই মণ্ডপে। ৩২ জন নারী মিলে এই পূজার আয়োজন করে আসছেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজার আনন্দে মেতেছে রাজধানী; মহাঅষ্টমীতে মণ্ডপগুলোতে ভিড়
পূজা কমিটির সভাপতি অঞ্জলি টিকাদার বলেন, বর্তমানে কমিটিতে ৩২ জন নারী রয়েছেন। প্রথম বছর পূজা করে ২২ হাজার টাকা বেঁচে যায়। তা দিয়ে কালি মন্দিরের পাশে নতুন একটি শিব মন্দিরও তৈরি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এবছর সরকারিভাবে ৫০০ কেজি চাল পেয়েছি যা দিয়ে পূজার ব্যয়ভার মেটানো সম্ভব নয়। এলাকার নারীরা আমাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছেন বলে পূজাটা সফলভাবে উদযাপন করা সম্ভব হচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী তরুণ বিশ্বাস বলেন, বাঁশকোঠা গ্রামে আরও দুর্গাপূজা হলেও এ পূজাটি অন্যগুলোর থেকে ব্যতিক্রম। সারাবছর নারীরা বিভিন্নভাবে একটু একটু অর্থ জমিয়ে এই পূজার কাজে ব্যয় করেন।
তবে এবছর সব জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় খরচ মেটাতে পূজা কমিটিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: এবারের দুর্গাপূজায় প্রায় দ্বিগুণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মাগুরা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি বাসুদেব কুন্ডু বলেন, সব জায়গায় পুরুষরা পূজা পার্বণের আয়োজন বা কাজ করে থাকে। শুধুমাত্র বাশঁকোঠা গ্রামে নারীদের মাধ্যমে ১৫ বছর ধরে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যেখানে নারীরা পূজার সব দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করে থাকেন।
৪১৮ দিন আগে
শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা সম্পন্নের সব প্রস্তুতি নিয়েছে ডিএমপি
প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় শারদীয় দুর্গাপূজার উৎসব। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এই উৎসবের শেষ দিনে বিজয়া দশমীর মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে যেন হয় সে লক্ষ্যে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
গত ৯ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে রবিবার (১৩ অক্টোবর) বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রা ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
আরও পড়ুন: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ডিএমপি
শনিবার সন্ধ্যায় ডিএমপির উপকমিশনার (ডিসি-মিডিয়া) তালেবুর রহমান জানান, এরইমধ্যে রবিবারের অনুষ্ঠান উৎসবমুখর ও আনন্দময় করতে ডিএমপির পক্ষ থেকে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিসর্জন শোভাযাত্রার সম্ভাব্য রুট হবে, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে পলাশী মোড় - জগন্নাথ হল - কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার - দোয়েল চত্বর - হাইকোর্ট বটতলা - সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল - পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স - নগর ভবন - গোলাপশাহ মাজার - বঙ্গবন্ধু স্কয়ার - গুলিস্তান - নবাবপুর লেভেল ক্রসিং - নবাবপুর রোড - মানসী হল ক্রসিং - রথখোলা ক্রসিং - রায়সাহেব বাজার ক্রসিং - শাঁখারীবাজার - জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় - সদরঘাট বাটা ক্রসিং - পাটুয়াটুলি ক্রসিং/সদরঘাট টার্মিনাল ক্রসিং হয়ে ওয়াইজঘাটে গিয়ে শেষ হবে।
বিজয়া শোভাযাত্রা ও প্রতিমা পূজা উপলক্ষে স্বাভাবিক নিরাপত্তার পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, পলাশী মোড় ও বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকায় তিনটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও পলাশীর মোড়, রায় সাহেব বাজার ও ওয়াইজ ঘাটে তিনটি ওয়াচ টাওয়ার বসানো হয়েছে।
এছাড়া ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন টিম ও সোয়াট টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে।
আরও পড়ুন: ডিএমপির ১০ থানা পেল নতুন গাড়ি
৪১৮ দিন আগে