দুর্গাপূজা
২ ঈদের ১১ দিন, দুর্গাপূজায় ২ দিনের ছুটি অনুমোদন
ঈদুল ফিতরে ৫ দিন, ঈদুল আজহায় ৬ দিন এবং দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২ দিনসহ ২৬ দিন ছুটির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
নির্বাহী আদেশে ১২টি সাধারণ ছুটি ও ১৪টি ছুটি অন্তর্ভুক্ত ছিল। নয়টি ছুটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন (শুক্রবার ও শনিবার) মিলে যাবে।
পাঁচটি সাপ্তাহিক ছুটি এবং বিভিন্ন ধর্মের উৎসবের ছুটিসহ মোট ১২টি সাধারণ ছুটি থাকবে।
এছাড়া, নির্বাহী আদেশে ১৪টি ছুটি থাকবে, যার মধ্যে পহেলা বৈশাখ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় বিষয়ে চারদিনের সাপ্তাহিক ছুটি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এছাড়া বৈসাবি উপলক্ষে তিন দিনের ছুটি পাবেন আদিবাসীরা।
২ মাস আগে
বাংলাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপন হয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক মূল্যবোধকে পুনর্ব্যক্ত করে এবারও দেশব্যাপী আনন্দঘন পরিবেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠী তাদের সর্ববৃহৎ উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপন করেছে।
গতকাল সন্ধ্যায় সারা বাংলাদেশে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দশদিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারা বাংলাদেশ জুড়ে ৩২ হাজারেরও বেশি পূজা মণ্ডপ স্থাপন করা হয়। এসব মণ্ডপে হিন্দু নারী, পুরুষ ও শিশুরা দেবীর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, কোনো ধরনের উস্কানি ও অপপ্রচারকে উপেক্ষা করে সরকারের নেওয়া সব পদক্ষেপের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অভিনন্দন জানিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরকারীদের বিরুদ্ধে সতর্কতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
গত সপ্তাহে সারা দেশে যে কয়েকটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তার প্রেক্ষিতে সরকার অনতিবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বেসামরিক প্রশাসন এ পর্যন্ত ১১টি মামলা দায়ের করেছে এবং এসব ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৭ জনকে এরইমধ্যে আটক করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বাংলাদেশ রাষ্ট্রের একটি চিরন্তন পরিচয় যা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছে। বাংলাদেশ সরকার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, প্রত্যেক ব্যক্তিরই তার ধর্ম বা বিশ্বাস নির্বিশেষে কোনোরকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের অধিকার রয়েছে।
বাংলাদেশে সব নাগরিকের, বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকার একান্ত কর্তব্যরূপে গণ্য করে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করছে যে বাংলাদেশের জনগণের ধর্মনিরপেক্ষ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিচিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সরকার সদা সচেষ্ট।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষক দল চলে যাওয়ার পরপরই বনানীর বাজারে বাড়ল পণ্যের দাম!
২ মাস আগে
১৫ বছর ধরে দুর্গাপূজার আয়োজন করে আসছেন নারীরা
উলুধ্বনি, শঙ্খ, কাঁসর আর ঢাকের তালে সারাদেশের মতো মাগুরায়ও মহাসমারোহে আয়োজিত হচ্ছে দুর্গাপূজা। এর মধ্যে আঠারো খাদা ইউনিয়নের বাঁশকোঠা গ্রামে এক পূজা মণ্ডপের বিশেষত্ব নজর কেড়েছে সবার। তবে ওই মণ্ডপে দুর্গাপূজার এমন আয়োজন এ বছরই প্রথম নয়।
গত ১৫ বছর ধরে শুধুমাত্র নারীদের আয়োজনে শারদীয় দুর্গাপূজা হয়ে আসছে এই মণ্ডপে। ৩২ জন নারী মিলে এই পূজার আয়োজন করে আসছেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজার আনন্দে মেতেছে রাজধানী; মহাঅষ্টমীতে মণ্ডপগুলোতে ভিড়
পূজা কমিটির সভাপতি অঞ্জলি টিকাদার বলেন, বর্তমানে কমিটিতে ৩২ জন নারী রয়েছেন। প্রথম বছর পূজা করে ২২ হাজার টাকা বেঁচে যায়। তা দিয়ে কালি মন্দিরের পাশে নতুন একটি শিব মন্দিরও তৈরি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এবছর সরকারিভাবে ৫০০ কেজি চাল পেয়েছি যা দিয়ে পূজার ব্যয়ভার মেটানো সম্ভব নয়। এলাকার নারীরা আমাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছেন বলে পূজাটা সফলভাবে উদযাপন করা সম্ভব হচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী তরুণ বিশ্বাস বলেন, বাঁশকোঠা গ্রামে আরও দুর্গাপূজা হলেও এ পূজাটি অন্যগুলোর থেকে ব্যতিক্রম। সারাবছর নারীরা বিভিন্নভাবে একটু একটু অর্থ জমিয়ে এই পূজার কাজে ব্যয় করেন।
তবে এবছর সব জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় খরচ মেটাতে পূজা কমিটিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: এবারের দুর্গাপূজায় প্রায় দ্বিগুণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মাগুরা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি বাসুদেব কুন্ডু বলেন, সব জায়গায় পুরুষরা পূজা পার্বণের আয়োজন বা কাজ করে থাকে। শুধুমাত্র বাশঁকোঠা গ্রামে নারীদের মাধ্যমে ১৫ বছর ধরে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যেখানে নারীরা পূজার সব দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করে থাকেন।
২ মাস আগে
শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা সম্পন্নের সব প্রস্তুতি নিয়েছে ডিএমপি
প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় শারদীয় দুর্গাপূজার উৎসব। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এই উৎসবের শেষ দিনে বিজয়া দশমীর মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে যেন হয় সে লক্ষ্যে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
গত ৯ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে রবিবার (১৩ অক্টোবর) বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রা ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
আরও পড়ুন: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ডিএমপি
শনিবার সন্ধ্যায় ডিএমপির উপকমিশনার (ডিসি-মিডিয়া) তালেবুর রহমান জানান, এরইমধ্যে রবিবারের অনুষ্ঠান উৎসবমুখর ও আনন্দময় করতে ডিএমপির পক্ষ থেকে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিসর্জন শোভাযাত্রার সম্ভাব্য রুট হবে, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে পলাশী মোড় - জগন্নাথ হল - কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার - দোয়েল চত্বর - হাইকোর্ট বটতলা - সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল - পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স - নগর ভবন - গোলাপশাহ মাজার - বঙ্গবন্ধু স্কয়ার - গুলিস্তান - নবাবপুর লেভেল ক্রসিং - নবাবপুর রোড - মানসী হল ক্রসিং - রথখোলা ক্রসিং - রায়সাহেব বাজার ক্রসিং - শাঁখারীবাজার - জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় - সদরঘাট বাটা ক্রসিং - পাটুয়াটুলি ক্রসিং/সদরঘাট টার্মিনাল ক্রসিং হয়ে ওয়াইজঘাটে গিয়ে শেষ হবে।
বিজয়া শোভাযাত্রা ও প্রতিমা পূজা উপলক্ষে স্বাভাবিক নিরাপত্তার পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, পলাশী মোড় ও বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকায় তিনটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও পলাশীর মোড়, রায় সাহেব বাজার ও ওয়াইজ ঘাটে তিনটি ওয়াচ টাওয়ার বসানো হয়েছে।
এছাড়া ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন টিম ও সোয়াট টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে।
আরও পড়ুন: ডিএমপির ১০ থানা পেল নতুন গাড়ি
২ মাস আগে
পূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: আদিলুর রহমান খান
দুর্গাপূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে সতর্ক করে শিল্প ও গৃহায়ণ উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, যারা সবসময় দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে যুক্ত থাকে, অন্যায়ের সঙ্গে যুক্ত থাকে, মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ার সঙ্গে যুক্ত তারাই পূজায় বিশৃঙ্খলা করেছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকালে মুন্সীগঞ্জ সদরের পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রত্যেকটি ধর্মের নাগরিক বাংলাদেশে যেন স্বাধীনভাবে তার ধর্ম পালন করতে পারে সে চেষ্টা চলছে। প্রত্যেক নাগরিকের নাগরিক অধিকার আছে এবং সেই অধিকার প্রতিপালিত হতে হবে, এতে কোনো বাধা থাকবে না।
আরও পড়ুন: এবারের দুর্গাপূজায় প্রায় দ্বিগুণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, মুন্সীগঞ্জের সুষ্ঠুভাবে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, আশা করি সারা দেশে এভাবে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়েছে সেটি আমরা সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধীদের আইনের আওতায় এনেছে, সেখানে কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। যেন সবাই ধর্ম পালন করতে পারে, হিন্দু ভাই-বোনরা যেন পূজা নির্বিঘ্নে করতে পারে সেই নিশ্চয়তা বিধান করার জন্য এসেছি।
মুন্সীগঞ্জ কেন্দ্রীয় জয়কালিমাতা মন্দির, ইদ্রাকপুর লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর মন্দির, বাগমামুদালীপাড়া মন্দিরের মণ্ডপ পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা।
এসময় মণ্ডপসংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন তিনি।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকার হিসেবে মানুষের যে অধিকারগুলো হারিয়ে গেছে, সেটা ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশের সব নাগরিক হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান তাদের কারোর ওপর কোনো রকম বাধা আক্রমণ মানে দেশের মানুষের উপর আক্রমণ। সেটা আমরা সিরিয়াসলি নিচ্ছি বলেই আমাদের সহকর্মীরা, আমাদের বন্ধুরা এখানে আছেন সবার পাশে দাঁড়াচ্ছেন এবং অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে তারা তাদের ভূমিকা পালনের চেষ্টা করছেন।’
এ সময় তার সঙ্গে আরও ছিলেন- পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য মানবাধিকার কর্মী নাছিরউদ্দিন এলান, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, জেলা পুলিশ সুপার শামসুল আলম, সেনাবাহিনীর মেজর রাফি, কেন্দ্রীয় জয়কালীমাতা মন্দিরের সভাপতি পবিত্র সংকর চ্যাটার্জি কাজল, বাগমামুদালীপাড়া মন্দিরের সভাপতি ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব প্রশান্ত কুমার মন্ডল দুলাল, ইদ্রাকপুর লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর মন্দিরের সভাপতি অভিজিৎ দাস ববি, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম স্বপন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মানুষ কেমন বাংলাদেশ চায় তা দেয়ালে দেয়ালে লেখা হয়ে গেছে: উপদেষ্টা নাহিদ
২ মাস আগে
এবারের দুর্গাপূজায় প্রায় দ্বিগুণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এবারের দুর্গাপূজায় প্রায় দ্বিগুণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, এর আগে দুর্গাপূজায় ২ থেকে ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হতো। এবারের পূজায় সরকার ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এবার পূজায় নিরাপত্তা অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি। প্রশাসনও আন্তরিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। পূজা মণ্ডপের আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশসহ বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দশমী পর্যন্ত সারাদেশে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
শনিবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের সন্তোষপাড়া দুর্গামন্দিরের পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে জেলার শ্রীনগর উপজেলায় পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এসময় তার সঙ্গে আরও ছিলেন- ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি একেএম আওলাদ হোসেন, জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার, সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ, ওসি খন্দকার হাফিজুর রহমান, জেলা আনসার ও ভিডিপি কমান্ড্যান্ট বিউটি আক্তার, সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ধীরন, জামায়াত ইসলামী সিরাজদিখান উপজেলার সভাপতি মাওলানা কবির হোসেন, ইছাপুরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. সুমন মিয়া, সিরাজদিখান উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক জ্ঞানদীপ ঘোষ, সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মাসুদ ও সিরাজদিখান রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মো. নাছির উদ্দিনসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
২ মাস আগে
দুর্গাপূজায় নাশকতার সুযোগ নেই; রাজনৈতিক ফায়দা নিতে দেওয়া হবে না: নাহিদ ইসলাম
তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি বা ভালোবাসার একটা সীমা আছে। কখনোই সেই সীমা লঙ্ঘন করা উচিত নয়। কোথায় থামতে হবে সেটা আমাদের বুঝা উচিত।
কেউ যাতে নাশকতা করার সাহস না পায় সেজন্য অন্তর্বর্তী সরকার দুর্গোৎসবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে সেখানে সঙ্গে সঙ্গেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডোম জনগোষ্ঠীর সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের: নাহিদ ইসলাম
সব ধর্ম চর্চার অধিকার বা স্বাধীনতার প্রতি সম্মান বজায় রাখতে আহ্বান জানান তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, বিভিন্ন সময় ধর্মীয় সংঘাত করে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার এ ধরনের সুযোগ আমরা আর কাউকে দেব না
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি যেন সারাদেশে নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন করা যায়। এজন্য একদিন ছুটি বাড়ানো হয়েছে এবং সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছি যেখানে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসঙ্গে এগিয়ে যাব। আমরা বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি সমুন্নত রাখতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় না থাকলে এটি পুরো দক্ষিণ এশিয়াতেই প্রভাব ফেলবে। দেশের অনেক জায়গায় পরিস্থিতি ঘোলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর খামারবাড়িতে ও কলাবাগান মাঠে দুর্গাপূজার মণ্ডপ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।
এসময় তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নির্বিঘ্নে দুর্গোৎসব উদযাপনের আহ্বান জানিয়ে সবার সঙ্গে মত ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: ডিমকে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য হিসেবে ঘোষণার আহ্বান প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
দশমী পর্যন্ত সারাদেশে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
২ মাস আগে
বাগেরহাটে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাগেরহাটে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজামন্ডপগুলোতে মহাষ্টমী তিথিতে নানা উপকরণ দিয়ে দেবী দুর্গাকে পূজা আর আরধনা করছেন ভক্তরা।
শুক্রবার সকাল ৭টায় মহাষ্টমীতে পুস্পঞ্জলি দিতে বাগেরহাট শহরের শত বছরের প্রাচীনতম শ্রী শ্রী হরিসভা মন্দিরে শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ভক্তের ঢল নামে।
ভক্তরা দেবী দুর্গার কাছে সব ধরণের অশুভ শক্তি বিনাশ করে দেশবাসীর জন্য শান্তিকামনা করেন। ঢাকের বাজনা, শঙ্ক আর উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে পূজামন্ডপগুলো। চন্ডিপাঠ আর পূজারমন্ত্র ধ্বনিত হচ্ছে মন্ডপগুলোতে।আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: অনলাইনের কার্যক্রম মনিটরিং করছে র্যাবের সাইবার ইউনিট
পুস্পাঞ্জলি শেষে মা দুর্গার কাছে তারা সব ধরণের অশুভ শক্তি বিনাশ করে দেশবাসীর জন্য শান্তিকামনা করেছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ জানান, পূজামন্ডপগুলোতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলায় এবছর মোট ৫৯৭টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ১৫৩টি পূজামন্ডপকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাগেরহাটে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাগেরহাট জেলায় এবছর ৫৯৭টি পূজামন্ডবে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজামন্ডবগুলোতে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে। সেনাবাহিনী, র্যাব এবং জেলা প্রশাসনের মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক পুজামন্ডপগুলোতে টহল দিচ্ছে। একই সঙ্গে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে নিজস্ব সেচ্ছাসেবক বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়
২ মাস আগে
দুর্গাপূজা: নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়
দুর্গাপূজা উদযাপনের সময় আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হলে তা জানানোর জন্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: পদ্মা ব্যাংক থেকে ১২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা উদ্ধারে মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চাইল জীবন বীমা
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দিকের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ থেকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কার্যক্রম শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত।
পূজয় কোনো প্রকার আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটলে ০১৭৬৬৮৪৩৮০৯ মোবাইল নম্বরে কল করে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে অবহিত করা যাবে।রবে। এছাড়া সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের ১৪ তলায় ১৪২৪ নম্বর কক্ষেও সরাসরি তথ্য পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: ১ সিনিয়র সচিবসহ ২ সচিব ওএসডি, ২ মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব
২ মাস আগে
দুর্গাপূজায় ৬ দিন বন্ধ থাকবে সোনাহাট স্থলবন্দরের কার্যক্রম
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে কুড়িগ্রামের সীমান্তবর্তী ভূরুঙ্গামারী সোনাহাট স্থলবন্দরটি ছয় দিনের বন্ধ ঘোষণা দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ সময় সোনাহাট স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানিসহ সব ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে সোনাহাট স্থল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক সোনাহাট স্থলবন্দর বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সোনাহাট স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ৯-১৪ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ছয় দিনের ছুটি ঘোষণা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৬ দিন বন্ধ কুমিল্লার বিবির বাজার স্থলবন্দর
মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, সনাতন ধর্মালম্বীদের বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে পণ্য আমদানি-রপ্তানিসহ সব ধরনের দাপ্তরিক কাজ বন্ধ থাকবে। আগামী ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল থেকে সোনাহাট স্থলবন্দরের কাজ শুরু হবে।
স্থল বন্দরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আগামী ৯-১৪ অক্টোবর মোট ছয় দিন সোনাহাট স্থলবন্দর ছুটিতে থাকছে। এ ব্যাপারে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
২ মাস আগে