তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে কেউ এ ধরনের দুঃসাহস দেখাবেন না। নদী তীর দখলকারীরা শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান ছিল, আমরা তাদেরকে দখলদার হিসেবে দেখেছি।’
সোমবার উচ্ছেদ করা বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদের তীররক্ষা প্রকল্প পরিদর্শন এবং বিরুলিয়ায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেয়ে অন্য কেউ বেশি অনুভব করেনা। নদীর প্রবাহ ঠিক রাখা, দখলমুক্ত করা এবং জীবন জীবিকার চাহিদা পুরণে সরকার সচেষ্ট রয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নদী তীরের ৯০ ভাগ দখলমুক্ত করতে পেরেছি। সীমানা পিলার দৃশ্যমাণ, পাকা দেয়াল এবং ওয়াকওয়ের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পের কাজের গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে পরিকল্পনা কমিশনে সংশোধিত প্রকল্প পাঠানো হয়েছে, সেটি অনুমোদিত হলে নদী তীরের কাজগুলো আরও বেশি টেকসই হবে। ২০২৪ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘উদ্ধার করা জায়গায় সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম ধারাবহিকভাবে চলমান থাকবে। সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী রক্ষা, দখল ও দূষণরোধ এবং পরিবেশের উন্নয়নে মাস্টার প্লান অনুমোদিত হয়েছে। এটা বাস্তবায়ন করতে পারলে ঢাকার চারপাশের নদী নয়, ঢাকার মধ্য দিয়ে নৌ চলাচল সম্ভব।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অনল চন্দ্র দাস, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম মোহাম্মদ সাদেক এবং প্রকল্প পরিচালক নুরুল হক উপস্থিত ছিলেন।