রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার একাধিক ঘাটে সহসা বড় ফেরি ভিড়তে পারছে না।
শুক্রবার সকালে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে মহাসড়কের গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার যানজট দেখা দেয়। আটকা পড়া মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হন।
সকালে গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, ঘাট থেকে দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের প্রায় ছয় কিলোমিটার লম্বা দুই লাইনে অসংখ্য গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। বিপরীত দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দক্ষিণাঞ্চলের গাড়িগুলো সহজে সামনে যেতে পারছে না। ঢাকামুখী গাড়িগুলো ঘাটের দিকে খুব ধীর গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। পণ্যবাহী ট্রাক, কার্ভাডভ্যানসহ অন্যান্য জরুরি গাড়ির সাথে যানজটে আটকা পড়ে আছে যাত্রীবাহী নৈশকোচ।
এদিকে যাত্রীবাহী বাস, পচনশীল পণ্যের গাড়িসহ অন্যান্য জরুরি গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার হওয়ায় সাধারণ পণ্যের গাড়ি তিন-চার দিন মহাসড়কে আটকে রয়েছে। তাদের পড়তে হচ্ছে বাড়তি ভোগান্তিতে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয় জানায়, ছয়টি ঘাটের মধ্যে নাব্যতা দূর করতে ১ ও ৩ নম্বর ঘাটের কাছে কয়েকদিন ধরে খনন হচ্ছে। দিনে ঘাট দু’টিতে সতর্কতার সাথে ভিড়লেও রাতে ঝুঁকি এড়াতে সহজে ফেরি ভেড়ে না। এছাড়া ৩ নম্বর ঘাটের একটি পকেট বন্ধ রয়েছে। ২ নম্বর ঘাটে বিআইডব্লিউটিসি’র খননযন্ত্রের বোট রাখায় ফেরি ভিড়তে পারছে না। ৪ নম্বর ঘাটের কাছে খনন চলায় দিনে ভিড়লেও রাতে ঝুঁকি এড়াতে কম ফেরি ভিড়ছে। ৫ ও ৬ নম্বর ঘাটের সামনে খনন চললেও ফেরি স্বাভাবিকভাবে ভিড়ছে। তবে ৫ নম্বর ঘাটের আপ পকেটের সামনে পানি কম থাকায় ফেরি ভেড়ে না।
এমন পরিস্থিতিতে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হওয়ায় উভয় ঘাটে আটকা পড়ছে গাড়ি।
এদিকে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, নাব্যতা সংকট থাকায় একাধিক ঘাটে ফেরি ভিড়তে সমস্যা হওয়ায় যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। সেই সাথে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথ বন্ধ থাকায় ওই রুটের ঢাকাগামী গাড়ি দৌলতদিয়ায় আসায় বাড়তি যানজট তৈরি হচ্ছে। যাত্রীবাহী বাসসহ জরুরি গাড়ি আগে পার হওয়ায় সাধারণ পণ্যের গাড়ি দুই-তিন ধরে আটকা থাকছে।