আইনশৃংখলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকলেও নানা অজুহাতে লকডাউন অমান্য করে পথেঘাটে মানুষ অবাধে চলাচল করছেন। খাদ্যপণ্য পরিবহনের পাশাপাশি ছোট বড় বিভিন্ন ধরণের যাত্রীবাহী যানবাহনও চলছে অহরহ।
শনিবার রমজান মাসের প্রথম দিন থেকেই নগরীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ও পাইকারি পণ্যের বাজারগুলোতে এমন অবস্থা চলছে।
দ্বিগুবাবুর বাজার ও কালিরবাজারসহ সবখানেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। জেলা প্রশাসন এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ কমিটি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে মাইকিংসহ নানাভাবে মানুষকে সতর্ক করলেও অনেকেই তা মানছে না।
জেলা প্রশাসন থেকে বাজারগুলোতে বিক্রেতাদের যে পরিমান দূরত্ব বজায় রেখে বিক্রির নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল সেটাও মেনে চলছেন না কেউ। প্রতিটি দোকানেই ক্রেতাদের জটলা ও ভিড় লেগেই থাকছে। এসব কারণে নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তা এবং জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে জেলার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ অবনতি ঘটবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে আরও ৪১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬২৫ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২৫ জন।