নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নগর ভবন ঘেরাও
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নগর ভবন ঘেরাও করেছেন পরিচ্ছন্ন কর্মীরা।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নগর ভবন প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়ে তাদের দাবি জানান।
তারা বলেন, আমাদের বেতন ৮ হাজার টাকা। তার মধ্যে গ্যাস ও পানির বিলের জন্য বেতন থেকে টাকা কেটে নিয়ে মাস শেষে আমাদের ৫ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এই টাকা দিয়ে বাজার করব নাকি ছেলেমেয়ের লেখাপড়া করাব? তাই আমাদের দাবি, বেতন বাড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: ৫ দফা দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের সচিবালয় ঘেরাও
এ সময় বেতন সর্বনিম্ন ১৫ হাজার টাকা করার দাবি জানান তারা।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির আহমেদ বলেন, ‘বেতন বাড়ানোর দাবিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নগর ভবনে জড়ো হয়েছে।’
যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে পুলিশ রয়েছে বলে জানান ওসি নাসির আহমেদ।
২০ ঘণ্টা আগে
নারায়ণগঞ্জে আ.লীগ নেতা আব্দুল কাদির গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল কাদিরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকা থেকে রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে তিনি গ্রেপ্তার হন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৩৩৭
আব্দুল কাদির নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর ছোট বোনের স্বামী। দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে বদিউজ্জামান হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোসাম্মৎ আদুরী খাতুন বাদী হয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আসামিরা চাষাঢ়ায় ছাত্র-জনতার ওপর ককটেল বিস্ফোরণ করে ভয়ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে। সে সময় তারা নিজেদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালান এবং আন্দোলনে অংশ নেওয়া জনতাকে মারধর করেন।
আসামিদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করলে আদুরী খাতুনের স্বামী গার্মেন্টস শ্রমিক বদিউজ্জামান গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় আসামিরা বদিউজ্জামানের ব্যবহৃত ১৮ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ফোনটিও লুট করে নিয়ে যান। পরে বদিউজ্জামানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলায় ৩৬ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। সেই মামলায় আব্দুল কাদিরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মার চর দখল নিয়ে প্রতিপক্ষের ‘হামলায়’ নিহত ১, আহত ১৫
১ সপ্তাহ আগে
নারায়ণগঞ্জে ইজিবাইকের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে ইজিবাইকের ধাক্কায় মোহাম্মদ মোস্তাকিম নামে ছয় বছর বয়সি এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে ডিগ্রির চর বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাসচাপায় শিশুর মৃত্যু
আহত অবস্থায় মোস্তাকিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সকাল সোয়া ১০টার দিকে মৃত্যু হয় তার।
নিহত মোস্তাকিম নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিল।
মোস্তাকিমের মা সোনিয়া আক্তার বলেন, সকালে মাদ্রাসায় যেতে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী একটি ইজিবাইক মোস্তাকিমকে ধাক্কা দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, নিহতের লাশ জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
৩ সপ্তাহ আগে
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ডরগাঁওয়ে একটি বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৬ পোশাক শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গ্যাস সিলিন্ডার বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে গেলে তারা আহত হন।
আহতরা হলেন- আবুল হোসেন (৫০), শেলী আক্তার (৩৫), মুন্নি আক্তার (২২), জুয়েল (২০), ইসমাইল (২৩) ও তাসলিমা (১৬)।
আরও পড়ুন: পতেঙ্গায় জাহাজে বিস্ফোরণ; ৩ জনের লাশ উদ্ধার
পরে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে (এসএইচএনআইবিপিএস) নেওয়া হয়।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তরিকুল ইসলাম জানান, আহতদের শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মোগল মিয়া জানান, রাতে কেউ মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে ওই বাড়িতে আগুন লাগে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে গ্যাস পাম্পে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৩, দগ্ধ ২০
৩ সপ্তাহ আগে
নারায়ণগঞ্জে আসামির ছুরিকাঘাতে পুলিশ সদস্য আহত
নারায়ণগঞ্জে একটি মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গেলে ছুরিকাঘাতে কামরুজ্জামান নামে এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের জিমখানা মোড়ের ভিক্টোরিয়া জামে মসজিদের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্য কামরুজ্জামান নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত আছেন।
তিনি বর্তমানে রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিটিউটে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিকাশ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত করে ৩ লাখ টাকা ছিনতাই
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানায়, গত সোমবার কামরুজ্জামান একটি মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে যান। এসময় আসামি বাবু ছুরি দিয়ে তার ডান হাতের কব্জিতে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে সহকর্মীরা কামরজ্জামানকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শিহাব বলেন, কামরজ্জামানকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখান থেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে হৃদরোগ ইনস্টিটিটিউটে ভর্তি করা হয় বরে জানান এসআই শিহাব।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, যে বাবু ছুরিকাঘাত করেছে তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল। সে মাদক ব্যবসায়ী। আসামি বাবুর অবস্থান জানতে কামরুজ্জামান সেখানে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, পুলিশের লোক টের পেয়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় বাবু। কামরুজ্জামান বর্তমানে রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওসি নজরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে এক ব্যক্তি নিহত
৪ সপ্তাহ আগে
নারায়ণগঞ্জে সেনাসদস্য হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে শাহীন আলম নামে এক সেনাসদস্য হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিদ্ধিরগঞ্জের সিআই খোলা এলাকার আলী হোসেনের ছেলে জীবন (২৫) এবং মিজমিজি বাতানপাড়া এলাকার শওকত আলীর ছেলে সুমন মিয়া (২৭) ও আসলাম মিয়ার ছেলে জুম্মন মিয়া (২৪)।
আরও পড়ুন: রেনু হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন
রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ জানান, আসামিদের মধ্যে সুমন পলাতক রয়েছে। বাকিরা রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন ভূঁইয়া সবুজ বলেন, পটুয়াখালীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর সদস্য শাহীন আলম (২২) ২০২২ সালের ১৫ জানুয়ারি সাত দিনের ছুটি নিয়ে চাঁদপুরে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। রাত হয়ে যাওয়ায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার হিরাঝিল এলাকায় বন্ধুর বাসায় থাকার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে যাওয়ার পথে মৌচাক বেঙ্গল প্যাসিফিক প্রাইভেট লিমিটেড কারখানার পাশে ১০ তলার মোড়ের সামনে তার গতিরোধ করে পেশাদার ছিনতাইকারী জীবন, সুমন ওরফে বিয়ার সুমন ও জুম্মন। ছিনতাইয়ে বাধা দিলে শাহীনকে ছুরিকাঘাত করে তারা। আহতাবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
৪ সপ্তাহ আগে
অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে নারায়ণগঞ্জের বাণিজ্যিক কেন্দ্র নয়ামাটি
নারায়ণগঞ্জ শহরের অন্যতম বাণিজ্যিক এলাকা নয়ামাটির অলি-গলি দিয়ে কখনো চার চাকার গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না। অথচ এখানে বছরে শতশত কোটি টাকার হোসিয়ারি পণ্য বেচাকেনা হয়। এখানকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতেও।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো এলাকা বৈদ্যুতিক তারের জঞ্জালে মোড়ানো। কিছুকিছু জায়গায় তারের জঞ্জালের কারণে আকাশও দেখা যায় না। বিশাল এলাকাজুড়ে থাকা এই বাণিজ্যিক এলাকার প্রায় প্রতিটি ভবন কাপড়, কেমিক্যাল আর সুতায় ঠাসা। অন্যদিকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও প্রবেশ করতে পারে না। সেখানে বড় ধরনের আগুন লাগলে কীভাবে নেভানো হবে সেই প্রশ্নের উত্তর নেই কারো কাছে।
গত ৭ অক্টোবর রাত ১১টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের কালীরবাজারে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগ্নিকাণ্ডে ৪০ দোকান পুড়ে যায়। এরপর থেকে নয়ামাটির হোসিয়ারি ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে বিরাজ করছে ভয় আর আতঙ্ক।
আরও পড়ুন: জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
বাংলাদেশ হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জে ৮ হাজারের মতো হোসিয়ারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার অধিকাংশ এই নয়ামাটি ও এর আশাপাশের এলাকায় অবস্থিত। অথচ নয়ামাটি অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
নয়ামাটির হোসিয়ারি ব্যবসায়ী আব্দুস সেলিম বলেন, ‘এখানে যত মার্কেট আর বাড়ি দেখেন সব জায়গায় কোটি কোটি টাকার খেলা। কিন্তু জীবনের নিরাপত্তা নেই। আপনি ঠিকমতো খুঁজে দেখেন কোথাও আগুন নেভানোর যন্ত্র নেই। পানির রিজার্ভ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে যেহেতু আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে পারবে না, সেই কথা মাথায় রেখেই ব্যবসা করা উচিৎ। তবে সেটা নিয়ে কারো চিন্তা ভাবনা নেই। এর পেছনে সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানও দায়ী বলে আমি মনে করি।’
রহমান হোসিয়ারির নারী শ্রমিক আবেদা পারভীন বলেন, ‘যেই রাস্তা দিয়ে ঢুকেছেন সেখানে তারের মধ্যে প্রায়ই আগুন লাগে। তখন বিল্ডিং থেকে পানি বালু দিয়া আগুন নেভানো হয়। আমরা এমন এক জায়গায় কাজ করি তা আর কী বলব। ৫-৬ তলার উপরে কারখানায় শ্রমিকেরা থাকে। নিচে আগুন লাগলে আমরাদের সবার মরা ছাড়া উপায় নেই। গার্মেন্ট আর হোসিয়ারিতে অনেক তফাত। গার্মেন্টে দুইটা সিঁড়ি থাকে আগুন নেভানোর মেশিন থাকে। নয়ামাটির হোসিয়ারিতে এগুলো নেই।’
তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘আমাদের মালিকেরা টাকা কম কামায় নাকি? তাদেরটা ধরা পড়ে না। সরকারের উচিত এখানে নজর দেওয়া, না হলে আমাদের আগুনে জ্বলে মরতে হবে।’ নয়ামাটির কয়েকজন ব্যবসায়ীর অভিযোগ, এলাকাটি ভয়াবহ অগ্নিঝুঁকির মধ্যে থাকলেও ফায়ার সার্ভিসের নজর খুব কম এখানে। নয়ামাটির নিরাপদ বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরিতে এই সরকারি প্রতিষ্ঠান তেমন কোনো উদ্যোগ নেয় না।
তবে এ বিষয়ে কথা বলতে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক ফখরউদ্দীন আহমেদকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাকে অফিস টাইমে ফোন দেবেন। আমি এখন অসুস্থ।’
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে আহত ৩
১ মাস আগে
নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. আমিনুল হক এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেল (৩৪) চট্টগ্রামের চন্দনগাঁও এলাকার একেএম ফরিদ আহমেদ চৌধুরীর ছেলে।
সেই সঙ্গে নিহত জান্নাতুল ফেরদৌস খুলনার খালিশপুর এলাকার জহিরুল ইসলামের মেয়ে।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ বলেন, ‘২০২২ সালের ৪ নভেম্বর রূপগঞ্জ থানার দায়ের করা হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে বাদীপক্ষ।’
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. সালাহ উদ্দিন সুইট বলেন, ‘আসামি মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেল এবং ভুক্তভোগী জান্নাতুল ফেরদৌস জ্যোতি ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। এই দম্পতি
রূপগঞ্জ উপজেলার মৈকুলি এলাকায় হাবিবুর রহমানের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৪ নভেম্বর গভীর রাতে দ্বন্দ্বের এক পর্যায়ে স্বামী আব্দুল্লাহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় জান্নাতুলের মা শারমিন আক্তার ডলি বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেছেন।
১ মাস আগে
নারায়ণগঞ্জে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা
সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা।
তাদের নিপুণ হাত কাদামাটি, খড়, বাঁশ, সুতলি, রং ও তুলি দিয়ে গড়ে তুলছেন একেকটি অসাধারণ প্রতিমা। এছাড়া দেবী দুর্গা, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিককে আকৃতি দিতে রাত দিন পরিশ্রম করছেন তারা।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সবমিলিয়ে ২১৩টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকবে: ডিএমপি কমিশনার
আগামী বুধবার (৯ অক্টোবর) মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজা এবং রবিবার (১৩ অক্টোবর) দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গাপূজা।
এর আগে বুধবার (২ অক্টোবর) মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু দেবীপক্ষ।
সরেজমিনে শহরের দেওভোগ আখড়া, পালপাড়া, উকিলপাড়া, সাহাপাড়া, আমলাপাড়া, নয়ামাটি, নিতাইগঞ্জের বলদেব জিউর আখড়া মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, মৃৎশিল্পীরা ফুটিয়ে তুলছেন প্রতিমা। মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। ইতোমধ্যে খড় আর কাদামাটি দিয়ে শেষ হয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজ। এখন চলছে রং আর তুলি দিয়ে প্রতিমার সাজানোর কাজ।
মৃৎশিল্পীরা বলেন, তাড়াতাড়ি কাজ নামানোর জন্য আমরা রাত দিন পরিশ্রম করছি। সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের লাভ হয় না।
মৃৎশিল্পী তারক নাথ বলেন, গত বছর প্রতিমার বাজেট ছিল ৩০-৪০ হাজার টাকা। এবছর তা অনেক কমে গেছে। আর আমাদের পরিশ্রম বেড়ে গেছে। তারকাঁটা থেকে শুরু করে বাঁশ, কাঠ, সুতা, খড়ের দাম অনেক বাড়তি। তাই খরচ বেশি পড়ছে। লাভ না হলেও পেশা ধরে রেখেছি।
আরও পড়ুন: আসন্ন দুর্গাপূজায় নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তার আশ্বাস আইজিপির
নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপন বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২১৩টি দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, হেফাজতে ইসলামসহ সমস্ত দল আমাদের পাশে আসেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির প্রস্তুতি। মন্দিরের কমিটি থেকে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। মণ্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব যেনো শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপন করতে পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অতীতেও যে পরিমাণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল তার চেয়ে বেশি আছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ থাকবে। মণ্ডপের বাইরে ও রাস্তায় পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্য, র্যাব, সেনাবাহিনীসহ সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে।
আশা করছি প্রতি বছরের মতো এবারও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা পালিত হবে বলে জানান নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের ‘বিশেষ অনুরোধে’ ইলিশ রপ্তানির অনুমতি: মৎস্য উপদেষ্টা
১ মাস আগে
নারায়ণগঞ্জে মহাসড়কের পাশ থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এশিয়ান হাইওয়ের পাশ থেকে ফাতেমা বেগম নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বস্তল এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত নারী ফাতেমা বেগম (৫০) বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দ দশদোনা এলাকার আব্দুল করিম মিয়ার স্ত্রী।
নিহত ফাতেমার ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম জানান, তার মা শনিবার বিকালে তার ছোট মেয়ের জামাই নান্টু মিয়ার সঙ্গে মদনপুরে কিস্তিতে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন। তারপর থেকেই তিনি নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও ফাতেমার কোনো সন্ধান না পেয়ে তারা বন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। তবে ঘটনার পর থেকেই ফাতেমার সঙ্গে থাকা মেয়ের জামাই নান্টুর আচরণ ছিল রহস্যজনক।
আরও পড়ুন: তিস্তায় হাত বাঁধা অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
পুলিশ জানান, রবিবার সকালে জামপুর ইউনিয়নের বস্তল এশিয়ান হাইওয়ের পাশে একটি অজ্ঞাত লাশ স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে তালতলা পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে। পরে খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা এসে লাশ শনাক্ত করে।
তালতলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে নিখোঁজের দুই দিন পর ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
১ মাস আগে