নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জে মাদক কারবারিদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদক কারবারিদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মোহাম্মদ হাবিব নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। হাবিব নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়া এলাকার আনোয়ার মোল্লার ছেলে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। পরে বুধবার (১৯ মার্চ) ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতর ভাই বাবু বলেন, ‘হাবিব পেশায় একজন অটোরিকশাচালক। সে চনপাড়া এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় মাদক কারবারিদের দুই পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে। পরে ওইখানে তার একটি গুলি এসে গায়ে লাগে। খবর পেয়ে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরের দিকে তার মৃত্যু হয়।’
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
নিহত হাবিবের দুইটি সন্তান রয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক বলেন, ‘লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।’
৭ দিন আগে
তিন মাসের শিশুকে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শিশু মাসের সন্তানকে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী দাবি করা ওই নারীর স্বামী।
বুধবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার জালকুড়ি উত্তরপাড়া পানি ট্যাংক এলাকায় ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছে ওই নারীর পরিবারের সদস্যরা। এরপর গতরাতে (বৃহস্পতিবার) তার স্বামী সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন— জালকুড়ি উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা আরিফ (৩২), ডালিম (৩৫) ও তাদের সহযোগী হিসেবে দেওয়া হয়েছে বেলাল (৩৫) নামের এক ব্যক্তির নাম।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগীরা যে বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছেন, অভিযুক্ত আরিফ ও ডালিমও একই বাসার ভাড়াটিয়া। উভয়পক্ষ এক বাড়িতে থাকার সুবাদে অভিযুক্তদের সঙ্গে বাদীর পরিচয় রয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাকপ্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ, ৩ আসামি কারাগারে
বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে আরিফ ইফতার সামগ্রী দিতে বাদীর ঘরের দরজায় টোকা দেন। সে সময় তার স্ত্রী দরজা খুলে ইফতার সামগ্রী নিয়ে দরজা লাগিয়ে দেন। ইফতারের পর ফের দরজায় টোকা পড়লে ওই গৃহবধূ আবারও দরজা খোলেন এবং ভুক্তভোগীর তিন মাসের সন্তানকে কোলে নেওয়ার বাহানায় ঘরে ঢুকে দ্রুত দরজা বন্ধ করে দেন আরিফ। এ সময় ফাঁকা ঘরে ওই নারীকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান তিনি। পরে গৃহবধূ চিৎকার দিতে শুরু করলে অভিযুক্ত শিশুটিকে ছিনিয়ে নিয়ে তার ঘরে চলে যান। এরপর সন্তানকে সুস্থ ফেরত পেতে হলে ওই গৃহবধূকে তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়াতে হবে বলে জানান।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে তিনি তার স্বামীকে ফোন করে ঘটনাটি জানান। পরে তার স্বামী দ্রুত এক সহকর্মীকে নিয়ে বাসায় আসেন এবং অভিযুক্ত আরিফের ঘর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। এরপর অভিযুক্ত আরিফ, ডালিম ও বেলালসহ আরও ১০-১২ জন তাদের ফোন করে ডেকে নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করতে নানা ধরনের হুমকি দেন।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’
১২ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণ: স্ত্রী-সন্তানের পর চলে গেলেন স্বামীও
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাসের পাইপে লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় মা ও মেয়ের পর এবার মারা গেলেন বাবা সোহাগ। এ নিয়ে এ ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ মোট চারজনের মৃত্যু হলো।
সোমবার (১০ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মারা যান সোহাগ (পোশাক শ্রমিক)।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, ‘সোহাগের শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তিনি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।’
এর আগে রবিবার তার স্ত্রী পোশাকশ্রমিক রূপালী ও শনিবার দেড় বছরের শিশু সুমাইয়া একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তারা যথাক্রমে ৩৪ ও ৪৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে বর্ষবরণের কনসার্টে যুবক খুন, আহত ৩
ডা. শাওন বলেন, ‘এ ঘটনায় রিকশাচালক মো. হান্নান শনিবার ৪৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় মারা যান। এছাড়া হান্নানের স্ত্রী পোশাকশ্রমিক নূরজাহান আক্তার লাকি, তাদের সন্তান জান্নাত, সামিয়া ও সাব্বির এখনও বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন।’
গত ৩ মার্চ ভোরে লাইনের লিকেজ থেকে ঘরে জমা গ্যাস বিস্ফোরণের পর আগুনে দুটি পরিবারের আট সদস্য দগ্ধ হন।
১৫ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে সাত মাসে ২৩ কারখানা বন্ধ, বেকার হাজার হাজার শ্রমিক
নারায়ণগঞ্জে গত ৭ মাসে নানা কারণে কিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক। কারখানাগুলো বন্ধের পেছনে মোটাদাগে তিনটি বিষয়কে দায়ী করা হচ্ছে।
প্রথমত, বন্ধ হয়ে যাওয়া বেশিরভাগ কারখানার মালিক আর্থিক সংকট ও ক্রয়াদেশ না থাকায়—এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করা হয়। দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মালিকদের কয়েকটি কারখানায় তাদের ফ্যাসিস্ট কর্মকাণ্ডের কথা মনে করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। ফলে সেই কারাখানাগুলো বন্ধ হয়েছে। তৃতীয়ত, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যবসায়ী আত্মগোপনে থাকায় তাদের কারখানাগুলোও রুগ্ন হয়ে পড়েছে।
শিল্প পুলিশ জানায়, বন্ধ হওয়া কারখানার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে ২৩টি রয়েছে। এসব কারখানায় অনেক শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করতেন। বেকার শ্রমিকেরা প্রায়ই কারখানা খুলে দেওয়া ও বকেয়া পাওনার দাবিতে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে।
জানতে চাইলে নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা জোগাড় করতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে। প্রায় সবগুলো কারখানার শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ বাকি আছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেকার হওয়া শ্রমিকদের কেউ কেউ চাকরি পাচ্ছেন। কেউ কেউ গ্রামে চলে যাচ্ছেন। অনেকে বেকার থাকছেন।
রাজধানীর পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও মুন্সিগঞ্জ জেলায় প্রায় ২ হাজার শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার মধ্যে ২৩ প্রতিষ্ঠান স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়েছে। এসব শিল্পকারখানার প্রায় ৬ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী চাকরি হারিয়েছেন।
শিল্প পুলিশ-৪-এর কর্মকর্তারা জানান, গত সাত মাসে গ্রিন বাংলা হোম টেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, এশিয়ান ফ্যালকন গার্মেন্টস, জিএল ফ্যাশন, মাস্টার টেক্সটাইল, ওয়েস্ট বেস্ট অ্যাটায়ার্স, স্টার কাটিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংসহ ২৩টি কারখানা বন্ধ হয়। সব কারখানাই ছোট ও মাঝারি। আর্থিক সংকট ও পর্যাপ্ত ক্রয়াদেশের অভাবে কারখানা বন্ধ হয়েছে।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাকশিল্পে অসন্তোষ পতিত স্বৈরশাসকের সুবিধাভোগীদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: রিজভী
২১ দিন আগে
মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া এলাকায় সড়ক অবরোধ করে মালিকপক্ষের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করেছেন পোশাক শ্রমিকরা।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকার ইউরোটেক্স নিটওয়্যার লিমিটেডের শ্রমিকরা মামলা তুলে নিয়ে হয়রানি বন্ধের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন। এসময় চাষাঢ়া সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
ওই পোশাক কারখানার সুইং অপারেটর মিঠু চন্দ্র দাস বলেন,‘কিছুদিন পূর্বে একটা আন্দোলন হয়েছিল। সেই আন্দোলনের কারণে আমাদের শ্রমিকদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ হয়রানি করছে। মাস্তানদের দিয়ে শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। সেই মামলা প্রত্যাহার করে পুলিশ ও মাস্তানদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা গার্মেন্টস ও সুয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি এম এ শাহীন বলেন, ‘ইউরোটেক্স নিটওয়্যার লিমিটেডের শ্রমিকরা তাদের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারেন না। কথা বলতে গেলেই চাকরিচ্যুত করা হয়। প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিকের গত মাসের বেতন এখনও দেয়নি।’
আরও পড়ুন: ‘দুই কোম্পানির সুবিধার্থে’ সড়কে দেওয়াল, ক্ষোভে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
তিনি আরও বলেন, ২৭ জন শ্রমিকের নামে মামলা দিয়ে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এলাকার মাস্তানদের লেলিয়ে দিয়েছে। আজ হঠাৎ কোনো নোটিশ ছাড়া কারাখানা বন্ধ করে দিয়েছে। যার কারণে শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছে।
এ সময় শ্রমিকরা কারখানা খুলে দিতে ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে পুলিশের হয়রানি বন্ধের দাবি জানান। তারা বলেন, সন্ত্রাসী দিয়ে তাদের ভয়ভীতি দেখানো বন্ধ করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, ইউরোটেক্স গার্মেন্টস ভাঙচুরের ঘটনায় গার্মেন্টস মালিক ফতুল্লা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: সাভারে বেক্সিমকো শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, ৩ গাড়িতে আগুন
ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শ্রমিকরা আজ সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন। এর ফলে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের রাজীব চন্দ্র ঘোষ বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকেই বিভিন্ন সময় ইউরোটেক্স নিটওয়্যার লিমিটেডের শ্রমিকরা বিশৃঙ্খলা করে আসছিল। তাদের বিশৃঙ্খলার কারণে মালিকপক্ষ মামলা করে। আর তাই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে তারা রাস্তায় নেমেছে।
৩৭ দিন আগে
ফতুল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে গুলি করে হত্যা
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মামুন হোসাইন নামের স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার পূর্ব লালপুর এলাকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম।
নিহত মামুন হোসাইন ওই এলাকার প্রয়াত সমন আলীর ছেলে। ৪০ বছর বয়সী মামুন ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। লালপুর এলাকায় রড, সিমেন্ট, বালুর ব্যবসা ছিল তার।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ভোরে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশ বলছে, সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনার সঙ্গে জড়িত হুডি-জ্যাকেট পরা দুই যুবককে দেখা গেছে। তাদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে।
নিহত মামুনের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে ওসি শরীফুল জানান, গতকাল (বৃহস্পতিবার) গভীর রাত পর্যন্ত বাসার অদূরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলেন মামুন হোসাইন। কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর অজ্ঞাত কেউ তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই তাকে গুলি করার খবর পান স্বজনরা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বড় ভাই আমজাদ হোসেন বলেন, ‘রাতে ফিরে ভোরের দিকে মামুন বাসায় ঘুমাচ্ছিল। তাকে ঘুম থেকে তুলে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। কারা তাকে ডেকে নিয়ে গেছে, সেটা এখনও জানতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘মামুনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে আজাদ নামে এক ছেলে ঘুমায়। গুলির শব্দ শুনে সে বেরিয়ে এলে মামুনের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে সে।’
স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার পরিবারের সঙ্গে মামুনের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ছিল। হত্যাকাণ্ডের পেছনে ওই দ্বন্দ্ব কাজ করতে পারে বলে ধারণা নিহতের ভাইয়ের।
পুলিশ কর্মকর্তা শরীফুল বলেন, ‘হত্যার কারণ সম্পর্কে এখনও সুনির্দিষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে, হুডি-জ্যাকেট পরা দুই ব্যক্তি সিসিটিভি ফুটেজে স্পটেড হয়েছেন। তাদের শনাক্ত করতে কাজ করছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হবে বলে।’
৪৭ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে বর্ষবরণের কনসার্টে যুবক খুন, আহত ৩
নারায়ণগঞ্জে বর্ষবরণের কনসার্টে হৃদয় নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তার দুই বন্ধুসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে ফতুল্লা থানার পাগলা বউবাজার রেল স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হৃদয় (২০) ফতুল্লা থানার পাগলা বউ বাজার এলাকার হাবির মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন- সানি (২০), আপন (২১) ও রাব্বি (২৫)।
নিহতের বন্ধু সাব্বির জানান, নিজ এলাকায় কয়েকজন বন্ধু মিলে বর্ষবরণ পালন করছিলেন তারা। এ সময় পূর্ব শত্রুতার জেরে একই এলাকার ৭-৮ জন যুবক তাদের মারধর করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হৃদয়কে মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকাবাসী জানায়, বর্ষবরণ উপলক্ষে পাগলা বউবাজার রেলস্টেশন সংলগ্ন খেলার মাঠে দুদল কনসার্টের আয়োজন করে। একসময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার পরপরই র্যাব ১১ ও ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বর্ষবরণ উযদাপন করার সময় দুদল ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ সময় এক দল অপর দলকে ছুরিকাঘাত করলে তিন বন্ধুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে হৃদয় মারা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আহত অপর দুজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হৃদয়ের লাশ হাসপাতালে রয়েছে। অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাদের মধ্যে পূর্ব বিরোধ ছিল কিনা তা নিয়ে তদন্ত চলছে। কারা এই ঘটনায় ঘটিয়েছে তা শনাক্ত করার কাজ চলছে।’
৮৪ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে দ্বিতীয় দিনের মতো নৌশ্রমিকদের ধর্মঘট, অচল নৌবন্দর
মেঘনা নদীতে এমভি আল–বাখেরার ৭ শ্রমিক হত্যার বিচার, প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন ও নৌ–নিরাপত্তার দাবিতে নারায়ণগঞ্জে দ্বিতীয় দিনের মতো নৌশ্রমিকদের ধর্মঘট চলছে।
নৌশ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে শীতলক্ষ্যা, বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী ও মেঘনা নদীতে লাইটার জাহাজের চলাচল বন্ধ আছে। এছাড়া নদীর বিভিন্ন স্থানে জাহাজগুলো নোঙর করে রাখা হয়েছে। এতে অচল হয়ে পড়েছে নৌবন্দর।
নৌশ্রমিকরা জানান, নদীপথে ১৬টি পয়েন্টে দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনা এরাতে প্রশাসনের কাছে বারবার নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছে, কিন্তু নিরাপত্তা পাওয়া যায়নি। এছাড়া নৌশ্রমিকদের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই বলে তারা মনে করেন।
বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার বলেন, ‘এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও এর সঙ্গে অন্য কারা জড়িত ছিল, সেটা বের করতে প্রশাসনের সঠিক তদন্ত দাবি করছি।’
আরও পড়ুন: তৃতীয় দিনের ধর্মঘটে বেনাপোলে বাস বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
তিনি বলেন, ‘সারা দেশে হাজার হাজার পণ্যবাহী নৌযান ও কয়েক লাখ শ্রমিকদের নিরাপত্তা দাবি করছি। যারা নিহত হয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে জনপ্রতি ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। নৌপথের শ্রমিকদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা দিতে হবে। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতিসহ পণ্যবাহী নৌযান ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।’
গত সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) চাঁদপুরের মেঘনা নদীর মাঝেরচরে এমভি আল–বাখেরা জাহাজ থেকে পাঁচ শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
রক্তাক্ত অবস্থায় আরও দুজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নৌশ্রমিক হত্যার বিচার, আসল ঘটনা উদঘাটন ও নিহতদের জীবনের আয় সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ পরিবারকে দেওয়াসহ ৮ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন ও নৌযানশ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: ধর্মঘটে বেনাপোলে বাস বন্ধ, ভোগান্তিতে পাসপোর্ট যাত্রীরা
৮৮ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি এস এম আকরাম আর নেই
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এস.এম আকরাম মারা গেছেন।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
তিনি বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ আলী নগরের বাসিন্দা।
সরকারি চাকরি ছেড়ে (অতিরিক্ত সচিব) ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আকরাম।
২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আবুল কালামের কাছে পরাজিত হলেও তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নিযুক্ত হন।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের অন্য একটি আসন থেকে তাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হলেও পরে এ আসনটি মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরে তিনি নাগরিক ঐক্যে যোগ দেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নাগরিক ঐক্যের হয়ে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ে পরাজিত হন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বন্দরের আলী নগরে তার লাশ নিজ বাড়িতে আনা হয় দুপুরে জানাজা শেষে আলী নগর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
৯৯ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে গণপিটুনিতে ছিনতাইকারীর মৃত্যুর অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ছিনতাই করে পালানোর সময় গণপিটুনিতে আহত ছিনতাইকারী নাদিম মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নাদিম সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সানারপাড় নিমাইকাশারির বারেক মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পোশাককর্মী নিহত
এর আগে, গত রবিবার ভুইগড়ে ছিনতাই করে পালানোর সময় গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হয় নাদিম। তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, রবিবার কাঁচপুর এলাকার ওমর নামের এক কাচামাল ব্যবসায়ী পাইকারি মালামাল কেনার জন্য ঢাকায় যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম রোড থেকে সিএনজিতে ওঠে। এসময় যাত্রীবেশে দুই যুবক ওমরকে ছুরিকাঘাত করে আহত করে সঙ্গে থাকা টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এসময় ওমরের ডাক চিৎকারে একটি ট্রাক সিএনজিটিকে পথে বাঁধা দেয়।
এসময় গণপিটুনিতে আহত হয় ছিনতাইকারী নাদিম।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, আহত অবস্থায় নাদিমকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এঘটনায় সিএনজি চালক ও অপর ছিনতাইকারী পলাতক রয়েছে। আহত ওমর ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: সাভারে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
১১৪ দিন আগে