রবিবার দুপুরে উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের হুরমাহিশা গ্রামে মিয়াজী বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় মৃত্যুর খবর শুনে মা আমেনা বেগম এখন অনেকটা বাকরুদ্ধ। ছেলের নিহতের খবর শুনে কাঁদতে কাঁদতে চোখের পানি শুকিয়ে গেছে তার।
নিহত মোজাম্মেলের বড় ভাই শাহাদাত হোসেন মিজি বলেন, সাড়ে ৩ বছর আগে নিউজল্যান্ডে পড়ালেখার জন্য যায় সেলিম। দেশে একটি প্রাইভেট মেডিকেলে ডেন্টালে পড়াশুনা শেষ করে। উচ্চ শিক্ষার জন্য মতলবের নারায়নপুর অগ্রনি ব্যাংক থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা ঋণ তাকে নিয়ে বিদেশে পাঠান বড় ভাই।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মোজাম্মেলের ইমু নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তার এক বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পারেন সে সন্ত্রাসী হামলায় মারা গেছেন। ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে তারা এখন দিশেহারা। কারণ ভাইকে নিয়ে তাদের অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু তার মৃত্যুতে এখন সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে।
নিহতের মা আমেনা বেগম তার ছেলে হত্যার বিচার দাবি করে বলেন, সরকার যেন তার ছেলের লাশ তার কাছে ফিরিয়ে দেয়।
নিহতের মামা দেলোয়ার হোসেন বলেন, মোজাম্মেল হক সেলিম খুবই ভদ্র ও শান্ত প্রকৃতির ছিল। নারায়নপুর উচ্চ বিদ্যালয় পড়া শেষ করে সে ঢাকায় চলে যায়। উচ্চ মাধ্যমিক ঢাকায় পড়েন। সব শেষে ঢাকা মিরপুর মার্কস মেডিকেল কলেজ থেকে ডেন্টাল বিষয়ে বিএসসি (ডেন্টিস) সম্পন্ন করেন। ২০১৫ সালে নিউজল্যান্ডে চলে যান।
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি এবং খোঁজ খবর নিচ্ছি।