নিবারণযোগ্য অন্ধত্ব প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতি (ওএসবি) এবং আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা অরবিস ইন্টারন্যাশনাল।
রাজধানীর গুলশানে মঙ্গলবার অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ সম্পর্কিত এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।
ওএসবি মহাসচিব অধ্যাপক ডা. দীপক কুমার নাগ এবং অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
ওএসবি সভাপতি অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাফল্য এখন কারও কারও চক্ষুশূল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চক্ষু বিশেষজ্ঞদের সক্ষমতা বাড়াতে এ চুক্তির আওতায় একসঙ্গে কাজ করবে ওএসবি ও অরবিস ইন্টারন্যাশনাল এবং পাশাপাশি ওএসবি আগামী বছরের নভেম্বরে চট্টগ্রামে ১১তম ফ্লাইং আই হসপিটাল ট্রেনিং প্রোগ্রামের (উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল প্রশিক্ষণ কার্যক্রম) আয়োজনে নেতৃত্ব দেবে।
এছাড়া এ দু’টি সংস্থা অরবিস সাইবারসাইট রিসোর্স ব্যবহার করে চক্ষু বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চক্ষুসেবার মান উন্নত করতে সহযোগিতামূলক নানা পদক্ষেপ নেবে এবং প্রশিক্ষণ, শিক্ষা ও গবেষণা পরিচালনার জন্য একাডেমিক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলবে।
ওএসবি নির্বাহী কমিটির পক্ষে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মুক্তি রানী মিত্র।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের পরিচালক নাজনীন চৌধুরী, সহযোগী পরিচালক ড. লুৎফুল হোসেন ও ইকবাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মির্জা মনবীরা সুলতানা ও এস এম মনিরুল আহসান এবং কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্পেশালিস্ট সাহস মোস্তাফিজ।
সরকারি হিসাব বলছে, বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ও ৪৮ হাজার শিশু অন্ধ। পাশাপাশি ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ ছানি, প্রতিসরণ ত্রুটি, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি, গ্লুকোমা ও কর্নিয়ার দাগ নিয়ে বসবাস করছে, যেগুলো নিবারণযোগ্য অন্ধত্বের সবচেয়ে বড় কারণ।
ওএসবি হলো চক্ষু বিশেষজ্ঞদের একটি জাতীয় পর্যায়ের প্ল্যাটফর্ম, যেটি অন্ধত্ব প্রতিরোধে কাজ করছে। অন্যদিকে অরবিস ইন্টারন্যাশনাল একটি আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা যেটি চার দশকেরও বেশি সময় ধরে নিরারণযোগ্য অন্ধত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: ‘প্রতিবন্ধী-বয়স্কদের সুযোগ প্রাপ্তির জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ দরকার’