পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ যেহেতু পলিটিক্যালি-স্ট্রাটিজিক্যালি খুব ভালো অবস্থানে আছে, তাই কারও কারও কাছে ‘চক্ষুশূল’ হয়ে উঠেছে। মানবাধিকারের বিষয়টি আসল উদ্দেশ্য নয়, আসল উদ্দেশ্য এসব চাপ দিয়ে কিছু ফায়দা নেয়া যায় কি না।
দেশে একটা লোকও গুম কিংবা খুনের শিকার হোক সরকার তা চায় না উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আসল উদ্দেশ্য গুম বা খুনও নয়। আসল উদ্দেশ্য হল এই চাপগুলো থেকে তারা কিছু সুবিধা পেতে পারে কিনা তা চেষ্টা করা।’
শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে জোরপূর্বক গুম বলে কোনো শব্দই তো নেই। ‘আমরা চাই না, কাউকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যাক। আমরা চাই প্রত্যেকের আইনের মাধ্যমে বিচার হবে।’
মোমেন বলেন, আমাদের আশপাশের বড় বড় দেশ এবং আমাদের সমুদ্র অ্যাকসেস এখন তাদের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
‘কিছু কিছু দুর্ঘটনার’ খবর পাওয়া যায় না উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কখনও কখনও বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এটি করে। পৃথিবীর সব দেশেই কমবেশি হয়ে থাকে। তবে অন্যান্য দেশের তূলনায় আমাদের এখানে তার পরিমাণ অনেক কম।
আরও পড়ুন: চিঠি নয় তথ্য বিবেচনায় নেবে আন্তর্জাতিক সংস্থা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, বিদেশিরা বলছেন, বাংলাদেশ চীনের লেজে পরিণত হয়ে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো চীনের ঋণের ফাঁদে পড়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ঋণের ফাঁদে বলতে আপনাকে ৪০ শতাংশ ঋণ নিতে হবে। আমাদের দেশের মোট ঋণের পরিমাণ মাত্র ১৫ শতাংশ বা প্রায় ১৬ শতাংশ।
তিনি বলেন, দেশ ও প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকালে দেখা যায়, আমরা সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছি বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং আইএমএফ থেকে। এরপর সবচেয়ে বেশি ঋণ নেয়া হয়েছে জাপান থেকে। চীন থেকে আমাদের ঋণ নেয়ার পরিমাণ মাত্র ৫ শতাংশের কাছাকাছি।
তিনি বলেন, কিছু অজ্ঞ লোক বলছে বাংলাদেশের সামরিক সরঞ্জামের ৮০ ভাগই চীনের কাছ থেকে কেনার কারণেই বাংলাদেশ চীনের লেজে পরিণত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটা একটি নির্লজ্জ মিথ্যা। আমরা যা কিনি, সব দেশ থেকে কিনি। আমরা সব জায়গা থেকে কিনি। ভারতও আমাদের দিতে চায়। তবে আমাদের সামরিক বাহিনী জানে কোথা থেকে কী কিনতে হবে।
আরও পড়ুন: লবিস্ট নয় ভুল ধারণা পরিবর্তনে পিআর ফার্ম নিয়োগ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জাতিসংঘে চিঠি শান্তিরক্ষা মিশনে কোন প্রভাব ফেলবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী