সোমবার পাঠানো এই চিঠিতে বলা হয়, ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা জমায়েত আয়োজনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন রিটার্নিং কর্মকর্তা বা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তার কাজ থেকে অনুমতি গ্রহণ এবং স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিতকরণের নির্দেশনা দিয়েছে।
ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ধর্মীয় সভা, ওয়াজ মাহফিল বা এমন জমায়েতের বিষয়ে একটি মহল বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। এ ধরনের অপপ্রচারের ফলে নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি, সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রকৃতপক্ষে ধর্মীয় সভা, ওয়াজ মাহফিল বা এমন জমায়েতের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। পূর্ব নির্ধারিত অথবা ইতিমধ্যে অনুমোদিত কোনো অনুষ্ঠান আয়োজনে বাধা নেই।
তবে ধর্মীয় সভা ও ওয়াজ মাহফিলে কোনো প্রার্থী, রাজনৈতিক দলের সদস্য বা অন্য কারো কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা বা কারো পক্ষে-বিপক্ষে বক্তব্য দেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কমিশন।
চিঠিতে আরো বলা হয়, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এবং নির্বাচন-পূর্ব পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে পূর্ব নির্ধারিত ধর্মীয় সভা ও ওয়াজ মাহফিল ছাড়া নতুন কোনো অনুষ্ঠান নির্বাচনের পর অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বরের পর আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশন অনুরোধ জানিয়েছে।