ইসি
নির্বাচন কমিশন গঠনে সৎ-দক্ষ লোক নিয়োগ করা হবে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন অনুযায়ী সৎ, নির্ভীক ও দক্ষ লোক নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ।
তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী নিয়োগ হবে। আইনে তাই বলা হয়েছে। আমি সার্চ কমিটির সদস্য নই। আমরা কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেব।’
রবিবার (৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
নির্বাচন কমিশন গঠনে গঠিত সার্চ কমিটি রবিবার বিকালে সুপ্রিম কোর্টে বৈঠকে বসছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, কমিটির মিটিংয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নেওয়া হবে। সার্চ কমিটি তাদের কর্মপদ্ধতি ঠিক করবে।
এছাড়া অন্যান্য কাজগুলো কীভাবে হবে রবিবার সেটি তারা নির্ধারণ করবেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ।
তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী কমিটি ১৫ দিনের মধ্যে সুপারিশ দেবে। এরপর রাষ্ট্রপতি কবে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন, সেটা আমরা বলতে পারব না।
বৃহস্পতিবার প্রধান ইসিসহ অন্যান্য কমিশনার নিয়োগে নতুন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ দিতে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে সরকার।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে ৬ সদস্য বিশিষ্ট সার্চ কমিটির আহ্বায়ক আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান।
রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুইজন বিশিষ্ট নাগরিক সদস্য হলেন- বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার।
এছাড়া আইন অনুযায়ী পদাধিকারবলে সদস্য হিসেবে আছেন বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম এবং পিএসসির চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম।
অনুসন্ধান কমিটি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ মোতাবেক দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পন্ন করবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অনুসন্ধান কমিটির কার্য সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা দেবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
অনুসন্ধান কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে রাষ্ট্রপতির কাছে দুইজন ব্যক্তির নাম সুপারিশ করবে।
আরও পড়ুন: আমাদের কাজ হচ্ছে স্বচ্ছ ও জোরালো উপায়ে সত্য বলা: ট্রাম্পের মন্তব্যের জবাবে প্রেস সচিব
২ সপ্তাহ আগে
জনগণকে সারা দেশের উপজেলা কার্যালয় থেকে সেবা নেওয়ার পরামর্শ ইসির
ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা উপজেলা পর্যায়ের কার্যালয় থেকে গ্রহণ করতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই পরমর্শ দেয় ইসি।
আরও পড়ুন: যোগ্য ইসির অধীনে জাতীয় ঐক্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান গণফোরামের
নির্বাচন কমিশণ নতুন করে ভোটার নিবন্ধন, ভোটারদের ঠিকানা পরিবর্তন, এনআইডি সংশোধন, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহসহ এনআইডি সংক্রান্ত সব ধরনের সেবার বিষয়ে যেকোনো প্রয়োজনে উপজেলা বা থানা নির্বাচন কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দিয়েছে।
প্রয়োজনে সেবাপ্রার্থীরা ইসির হটলাইন নম্বর-১০৫ নম্বরে বিনা খরচে কল করে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের রোডম্যাপ ও নতুন ইসি চায় বিএনপি
২ সপ্তাহ আগে
গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য ইসি দায়ী: রিজভী
বাংলাদেশে গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য যারা দায়ী তাদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনও রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবিধানিক ব্যবস্থা লঙ্ঘনের জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
রিজভী বলেন, 'আপনি, সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল একতরফাভাবে কারচুপি-ডাকাতির নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেছেন। কেন পদত্যাগ করলেন না? দেশ ও জাতির চেয়ে চাকরির গুরুত্ব কি আপনার কাছে বেশি ছিল? আমাদের দেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য যারা দায়ী তাদের মধ্যে নির্বাচন কমিশন অন্যতম।’
গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কৃষিবিদ সমিতি (এ্যাব)।
রিজভী বলেন, তরুণ ও কিশোরদের নেতৃত্বে পৃথিবী কাঁপানো আন্দোলনের মাধ্যমে এক ভয়ংকর দানবকে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি, ২০ দলীয় জোটসহ সমমনা দলগুলো আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পথ সুগম করতে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তার ওপর ভিত্তি করেই ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটে।’
স্বৈরাচারের দোসরদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন শহীদদের আত্মত্যাগের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিশ্বাসঘাতকতা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, বিএনপি স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতি গভীরভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ একটি রাজনৈতিক দল। 'আমরা সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।'
তিনি বলেন, ‘অতীতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল এমন একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা ক্ষমার কথা বলছেন। যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের আমরা কীভাবে ক্ষমা করতে পারি?’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গুমের ঘটনা জাতিসংঘের নেতৃত্বে তদন্তের আহ্বান ফখরুলের
সব অফিস-আদালত-আদালতে শেখ হাসিনার ভূত এখনো বিদ্যমান উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখন একটি বিশেষ মহলের লোক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ একদলীয় বাকশাল শাসন প্রতিষ্ঠা করলে চারটি ছাড়া বাকি সব পত্রিকা বন্ধ করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরের ক্ষমতায় থাকাকালে কিছু সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ করে দিয়ে এবং মিডিয়ার মালিকানা দলের অনুগতদের কাছে হস্তান্তর করে ভিন্নভাবে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে। ‘তাই এসব গণমাধ্যমগুলো ধারাবাহিকভাবে আওয়ামী লীগের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে।’
রিজভী বলেন, গণমাধ্যমের প্রাথমিক কাজ হচ্ছে সত্য উদঘাটন ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা। ‘গণতন্ত্রের জন্য এটা অপরিহার্য। গণমাধ্যম যখন এই ভূমিকায় ব্যর্থ হয়, তখন তা গণতন্ত্রের স্তম্ভের পরিবর্তে স্বৈরশাসকদের হাতিয়ার হয়ে ওঠে। সত্যিকারের গণতান্ত্রিক দেশে স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য গণমাধ্যমের গুরুত্ব অপরিসীম।’
দেশে গণতন্ত্রের বিকাশের জন্য স্বাধীন গণমাধ্যম অত্যাবশ্যক উল্লেখ করে তিনি সাংবাদিকদের সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: অপরাধীদের ক্ষমা নয়, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া উচিত: রিজভী
২ মাস আগে
ইসিতেই এনআইডি নিবন্ধনের কাজ রাখার দাবি কর্মকর্তাদের
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে স্থানান্তরে বিগত আওয়ামী লীগের আমলে প্রণীত আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে সংগঠনটি।
সংগঠনটির মহাসচিব এবং ইসির জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের সই করা স্মারকলিপিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজস্ব জনবল ব্যবহার করে গত ১৭ বছর ধরে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
কমিশন ২০০৭-২০০৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় জাতীয় ভোটার ডাটাবেজ তৈরির পর জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ অনুযায়ী নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করে আসছে।
যেহেতু ইসির জনবল নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যবহৃত হয়, তাই এতে বাড়তি কোনো খরচের প্রয়োজন হয় না।আরও পড়ুন: ভোটার উপস্থিতির যে কোনো সংখ্যাই গ্রহণযোগ্য: নির্বাচন কমিশনার আলমগীর
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সারা দেশে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব অবকাঠামো, প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল রয়েছে।
কিন্তু বিগত সরকার সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করেছিল
ইসির কর্মকর্তারা তাদের স্মারকলিপিতে বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে রোল মডেল হিসেবে বিবেচনা করে জ্যামাইকা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, সেন্ট লুসিয়া এবং সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রানাডা দ্বীপপুঞ্জসহ বিভিন্ন দেশের নির্বাচন কমিশন সফলভাবে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
তারা বলেন, নিবন্ধন কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্থানান্তর করা হলে তা অহেতুক বিতর্কের সৃষ্টি করবে এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ডাটাবেজ নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করবে।
সমস্যার কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, আদালতের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, আইনি জটিলতা ও ভোটার তালিকার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, নাগরিকদের তথ্যের গোপনীয়তার সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হবে, নতুন অবকাঠামো স্থাপন ও জনবল নিয়োগে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থের অপচয় হবে এবং ডাটাবেজের সত্যতা নষ্ট হয়ে যাবে এবং ডেটার জন্য নিরাপত্তা হুমকি দেখা দেবে।
গত সেপ্টেম্বরে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করা হলেও নিবন্ধন কার্যক্রম এখনো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করা হয়নি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ বিষয়ে দায়মুক্তি কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
২ মাস আগে
চট্টগ্রাম বিভাগের ৪ ওসিকে প্রত্যাহারের সুপারিশ ইসির
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে এবং বির্তকিত ভূমিকার কারণে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) চট্টগ্রাম বিভাগের ৪ ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (২৭ মে) বিকালে তাদের প্রত্যাহার চেয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর চিঠি দিয়েছে ইসি।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ রোধে ২০ বছরের পুরোনো বাস প্রত্যাহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
প্রত্যাহার হওয়া দুই ওসি হলেন- আনোয়ারা থানার মোহাম্মদ সোহেল আহমেদ ও চন্দনাইশ থানার ওবায়দুল ইসলাম।
ইসি জানায়, কুমিল্লার দেবীদ্বার, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও আনোয়ারা থানার ওসিকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই চার ওসিকে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শককে (তদন্ত) ৩১ মে পর্যন্ত দায়িত্বে থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া পটুয়াখালীর দুমকী থানার ওসিকে ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শককে (তদন্ত) দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপে ১৩০ জনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার
চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
৫ মাস আগে
ভবিষ্যতের জন্য নির্মল নির্বাচনি পরিবেশ রেখে যেতে চাই: ইসি
নির্বাচনের সময় অর্জিত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ভবিষ্যতের জন্য একটি নির্মল নির্বাচনি পরিবেশ রাখতে চান বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা।
শনিবার বিকালে জিলা স্কুলের মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে তিনটি উপজেলার (সদর, চিরিরবন্দর ও খানসামা) প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সিইসিসহ অন্যদের আমন্ত্রণ জানাল রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন
এসময় তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ভোটের সময় কোনো প্রিজাইডিং অফিসার অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া নিরপেক্ষ ও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনেরও আহ্বান জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতার আহমেদ, জেলা নির্বাচন অফিসার কামরুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: ভোটার উপস্থিতির যে কোনো সংখ্যাই গ্রহণযোগ্য: নির্বাচন কমিশনার আলমগীর
নির্বাচন কমিশনারদের বেতন-সুবিধা সংক্রান্ত আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
৫ মাস আগে
নির্বাচনে বহিরাগত রোধে চেকপোস্ট বসানোর নির্দেশ ইসির
নির্বাচনে বহিরাগত রোধে চেকপোস্ট বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান।
তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন উপহার দেব। যেটা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও সাংবাদিকদের অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন: কোনো কেন্দ্রে জাল ভোট হলে প্রিজাইডিং অফিসারকে বরখাস্ত করা হবে: নির্বাচন কমিশনার
শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে ভোলা জেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও ভোট গ্রহণের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি হাবিব বলেন, আমার আস্থা ও বিশ্বাস আসন্ন নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। আমাদের কাছে সবাই প্রার্থী। নিশ্চিত থাকেন একটা ভালো নির্বাচন হবে।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবাইকে বলেছি যেকোনো প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হলে তাদের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়া কেউ যদি প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ জমা দিলে প্রত্যেকটা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। পরিষ্কারভাবে রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারসহ সবাইকে বলেছি কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- ৭ উপজেলার ৭৯ জন প্রার্থী, জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. মাহিদুজ্জামান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলারক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।
আরও পড়ুন: ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে: নির্বাচন কমিশনার
আমরা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর: দক্ষিণ এশীয় নির্বাচন কমিশনারদের প্রধানমন্ত্রী
৬ মাস আগে
উপজেলা নির্বাচন: চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করল ইসি
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিল হাসানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে শুনানি শেষে ইসি এ সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বুধবার নির্বাচন ভবনে তলব করে ইসি।
আরও পড়ুন: খুলনায় স্কুল পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ১
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন,চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিলেও কমিশন সন্তুষ্ট হয়নি।
এছাড়া বরিশাল-৬ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আব্দুল হাফিজ মল্লিক ইসিতে এসে ৮ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, কমিশনের শুনানিতে সংসদ সদস্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় নির্বাচন কমিশন তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির আরও ৫ নেতাকে বহিষ্কার
৬ মাস আগে
প্রার্থী নয়, অপরাধ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ইসি
প্রার্থী দেখে নয়, বরং অপরাধ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
তিনি বলেন, যে প্রার্থীই অপরাধ করুক না কেন, দলমত নির্বিশেষে সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বিয়ে না দেওয়ায় মাকে খুনের ঘটনায় ছেলে গ্রেপ্তার
শনিবার জেলার প্রশাসকের সন্মেলনকক্ষে নির্বাচনি আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক এক মত বিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ ও শক্তিশালীভাবে তাদের কাজ করে তবে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা হওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, বিগত নির্বাচনে যারা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ভোটারদের নির্বিঘ্নে, নিরাপদে ও নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট দিতে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ তৈরিতে যা যা করতে হয় স্থানীয় প্রশাসন তাই করবে।
কোনোভাবেই ভোটররা যেন অসন্তুষ্ট না হয় এবং তাদের মধ্যে যেন ভীতির সৃষ্টি না হয় সেই ব্যাপারে সর্বদা সজাগ থাকতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: জাল ভোট হলে তাৎক্ষণিক সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ: ইসি হাবিব
গাজায় মৃত মায়ের গর্ভ থেকে উদ্ধারের ৫ দিন পর মারা গেছে শিশুটি
৬ মাস আগে
উপজেলা নির্বাচনে অনিয়ম হলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে: ইসি
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘জাতীয় সংসদের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও কোনো অনিয়ম হলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে এবং এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে কোনো কুণ্ঠাবোধ করা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘যেভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করেছি, সেভাবে উপজেলাও হবে। কোনোভাবে জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে নিচে নামার সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন: ষষ্ঠ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়ন দাখিল পদ্ধতি চালু করেছে ইসি
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর পিটিআই ভবনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আওতায় কীভাবে নির্বাচন হচ্ছে সেটি সবাই দেখবে। উপজেলা নির্বাচনে জাতীয় নির্বাচনের মতো দলীয় প্রার্থী থাকছে না এবং দলীয় প্রতীকও নেই। আশা করছি ভোটারের সংখ্যা বাড়বে। এবং নির্বাচন যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের শেষ মুহূর্তে প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে এভাবে কখনো প্রার্থিতা বাতিল হয়নি। ওইদিন ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাতিল করার মতো যথেষ্ট উপাদান ছিল। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুস্তাফিজুর রহমানকে সপ্তাহখানেক আগে থেকে নজরদারি করা হচ্ছিল। যখন তিনি থানায় ঢুকে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মারধর করছেন, সার্কেল এসপিও তাকে নিবৃত্ত করতে পারছেন না, এরপর আর বসে থাকা যায়নি। তখনই আমরা প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমরা এবারও ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চলাকালীন সময়ে কোনো রকমের সিদ্ধান্ত নিতে কুণ্ঠাবোধ করব না। আমাদের একটাই চাওয়া- নির্বাচনকে সুন্দর করতে হবে। যেখানেই কোনো অনিয়ম হবে, কারচুপি বা অন্যায় কার্যক্রম হবে সেখানে প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নিতে পারবেন। আপনারা ভোটের দিন যে যেখানে থাকবেন, আইনের স্বপক্ষে সর্বময় ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। এতে যদি কোনো রকমের বিপদগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, আমরা আপনাদের পাশে আছি।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে কেউ চায় না নির্বাচন খারাপ হোক। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বিভিন্ন বক্তব্যে বিষয়টি উল্লেখও করেছেন। ভোট সুন্দর ও সুষ্ঠু করার জন্য যা যা দরকার সব করবেন।’
বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, বিজিবির রিজিওনাল কমান্ডার মো. আজিজুর রহমান, ডিজিএফআই চট্টগ্রাম শাখার অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
আরও পড়ুন: নারীদের আইসিটিতে দক্ষ করে তুলতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
আইসিএমএবির প্রাক-বাজেট গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত
৬ মাস আগে