ইসি
রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা ইসির
ত্রয়োদশ জাতীয় সয়সদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে কর্মপরিকল্পনায়।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ কর্মপরিকল্পনাটি তুলে ধরেন।
প্রকাশ করা কর্মপরিকল্পনায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভোটার তালিকা তৈরি, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের জন্য নির্দেশিকা হালনাগাদ, নির্বাচনী ম্যানুয়াল, নির্দেশিকা, পোস্টার ও পরিচয়পত্র মুদ্রণ, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও নির্বাচনী উপকরণ প্রস্তুত করা, নির্বাচনী বাজেট প্রস্তুত করা, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়। এছাড়াও নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার মতো বিভিন্ন নির্বাচনী প্রস্তুতিমূলক কাজের সময়সীমাও নির্ধারণ করা হয়েছে।
পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: শিগগিরই নির্বাচনী এলাকার চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করবে ইসি
ইসি সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো নির্দেশনা অনুসারে, কর্মপরিকল্পনায় আগামী রমজানের (ফেব্রুয়ারি ২০২৬) আগে কীভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যায়—তার রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে আমাদের একটি চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, আগামী রমজানের (ফেব্রুয়ারি ২০২৬) আগে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে....। তাই, আজ আমরা আপনাদেরকে আমাদের কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করছি। পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা আমাদের কর্মপরিকল্পনাগুলোকে মোট ২৪টি ভাগে ভাগ করে আমাদের কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করেছি।’
কিন্তু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কর্মপরিকল্পনায় কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা ছিল না।
কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, পর্যবেক্ষক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এবং জুলাই যোদ্ধাসহ অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে এবং পরবর্তী দেড় মাসের মধ্যে আলোচনা সম্পন্ন হবে।
এছাড়াও, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংসদীয় আসনের চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণের গেজেট প্রকাশ করা হবে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন নির্বাচনী আইন, বিধি ও নির্দেশিকা সংশোধন করা এবং নতুন রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধন দেওয়া হবে। ৩০ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
১৫ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী ম্যানুয়াল, নির্দেশিকা, পোস্টার এবং পরিচয়পত্র মুদ্রণ, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং নির্বাচনী উপকরণ প্রস্তুত করা এবং ১০ সেপ্টেম্বর ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ করা হবে। ভোটগ্রহণের নির্ধারিত তারিখের ২৫ দিন আগে চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা গেজেট প্রকাশ করা হবে।
৯৮ দিন আগে
নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা বৃহস্পতিবার প্রকাশ করবে ইসি
আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রত্যাশিত পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন তাদের কর্মপরিকল্পনা বৃহস্পতিবার প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের কর্মপরিকল্পনা (যা আগে তিনি নির্বাচনী রোডম্যাপ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন) সম্পর্কে অবহিত করতে প্রস্তুত, আমরা এটি প্রস্তুত করেছি...এটি এখন আমার টেবিলে আছে। আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।’
ইসি সচিব বলেন, তিনি বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে আরও বিস্তারিত তথ্য দিতে পারবেন। ‘ইনশাআল্লাহ, আমি আপনার সঙ্গে কিছু অতিরিক্ত তথ্য শেয়ার করব। ততক্ষণ পর্যন্ত, দয়া করে অপেক্ষা করুন, এটি এখন আমার টেবিলে আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুধু আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।’
ইসি কর্মকর্তাদের মতে, রোডম্যাপে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংস্কার, নির্বাচনী বিধি ও নির্দেশিকা হালনাগাদ, তথ্যপ্রযুক্তি-নির্ভর ভোটার নিবন্ধন এবং প্রবাসীদের জন্য পোস্টাল ব্যালট সিস্টেম এবং প্রয়োজনীয় নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের রূপরেখা রয়েছে।
পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের জন্য কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন ইসির
১৪ আগস্ট, ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেছিলেন, রোডম্যাপটি নির্বাচনের জন্য কমিশনের প্রস্তুতির একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরবে।
তিনি আরও বলেন, এটি প্রধান নির্বাচনী কাজ এবং তাদের সময়সীমা নির্দিষ্ট করবে। যার মধ্যে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপের সময়সূচি, পাশাপাশি নির্বাচনী আইন সংশোধন ও সংস্কারের সময়সীমা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছিলেন, পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং ইসি ইতোমধ্যেই সারা দেশে তার প্রস্তুতি গ্রহণ জোরদার করেছে।
পড়ুন: নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ নিয়ে ইসির ৪ দিনের শুনানি শেষ
৯৯ দিন আগে
নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ নিয়ে ইসির ৪ দিনের শুনানি শেষ
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের আগে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত দাবি ও আপত্তির উপর চার দিনের শুনানি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকালে নগরীর নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘৩৩টি জেলার ৮৪টি আসনের দাবি, অভিযোগ এবং সুপারিশের উপর শুনানি সম্পন্ন হয়েছে।’
রাজধানীর নির্বাচন ভবনে ২৪ থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত শুনানি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।
চার নির্বাচন কমিশনার - আবদুর রহমানেল মাসুদ, তাহমিদা আহমেদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এসব অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন। আর ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ শুনানি পরিচালনা করেন।
এর আগে ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন ৩০০টি আসনের সীমানা নির্ধারণের একটি খসড়া প্রকাশ করে। এতে ১৪টি জেলার ৩৯টি আসনে সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছিল।
পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের জন্য কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন ইসির
খসড়া অনুসারে, গাজীপুরে আসন সংখ্যা পাঁচ থেকে বাড়িয়ে ছয় করা হয়েছে। আর বাগেরহাটে আসন সংখ্যা চার থেকে কমিয়ে তিনটি করা হয়েছে।
পুনর্বিন্যাস করা ৩৯টি আসন হলো- পঞ্চগড়-১ ও ২, রংপুর-৩; সিরাজগঞ্জ-১ ও ২; সাতক্ষীরা-৩ ও ৪; শরীয়তপুর-২ ও ৩; ঢাকা-২, ৩, ৭, ১০, ১৪ ও ১৯; গাজীপুর-১, ২, ৩, ৫ ও ৬; নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪ ও ৫; সিলেট-১ ও ৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩; কুমিল্লা-১, ২, ১০ ও ১১; নোয়াখালী-১, ২, ৪ ও ৫; চট্টগ্রাম-৭ ও ৮ এবং বাগেরহাট-২ ও ৩।
খসড়া প্রকাশের পর, কমিশন ৮৪টি আসনের উপর দাবি, অভিযোগ এবং পরামর্শ সম্বলিত প্রায় ১ হাজার ৮৯৩টি আবেদনপত্র পেয়েছে।
শুনানি শেষ হওয়ার পর ইসি এখন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে আসনের নতুন সীমানা নির্ধারণ চূড়ান্ত এবং প্রকাশ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
৯৯ দিন আগে
নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি: সিইসি নাসির
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও স্বল্প সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শনিবার (৯ আগস্ট) রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনী ব্যবস্থায় জনগণের আস্থা পুনঃস্থাপন এখন বড় চ্যালেঞ্জ। মানুষ এই ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারিয়েছে। তাদের আবার ভোটকেন্দ্রে ফিরিয়ে আনা বড় কাজ হবে।
তিনি জানান, শিগগিরই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ‘তফসিল ঘোষণার দুই মাস আগে ভোটের তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে,’ যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সিইসি ও ইসি নিয়োগে হবে বাছাই কমিটি: আলী রীয়াজ
নাসির উদ্দিন জোর দিয়ে বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ইসি কোনো দল বা গোষ্ঠীর পক্ষে বা বিপক্ষে কাজ করবে না।
‘আমরা দেশের ১৮ কোটি মানুষের পক্ষ থেকে কাজ করব। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, যা ইসি প্রতিহত করার চেষ্টা করছে,’ বলেন তিনি।
ভোটাধিকার প্রয়োগে সবাইকে আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, ভোট দেওয়া শুধু নাগরিক দায়িত্ব নয়, এটি নৈতিক দায়িত্বও।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছভাবে আয়োজনের জন্য ইসি সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান সিইসি।
১১৭ দিন আগে
এনসিপি: ‘মেরুদণ্ডহীন’ ইসি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় না ফিরলে নির্বাচন বয়কট
বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে ‘মেরুদণ্ডহীন’ আখ্যা দিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেছেন, কমিশনের সামনে এখনও নিজেদের সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। শেষ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় না ফিরলে নির্বাচন বয়কট করবে এনসিপি।
রবিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসিরউদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমরা যতই এই নির্বাচন কমিশনকে দেখতে পাচ্ছি, ততই বুঝতে পারছি এটি মেরুদণ্ডহীন প্রতিষ্ঠান।’
নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, গত ১৫ বছরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এখন তারা এমন পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে, যাতে নির্দিষ্ট একটি দল ছাড়া কেউ নির্বাচনে এলে সমস্যা তৈরি হয়।
এনসিপি নেতা বলেন, ভবিষ্যতের বাংলাদেশে যদি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট একটি দল ছাড়া কেউ ভোট দিতে আসে, তাহলে (নির্বাচন কমিশন বা কোনো দল) সেক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করবে। আর নির্বাচন কমিশন এখন ঠিক সেই দিকেই অগ্রসর হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পড়ুন: শাহবাগে ছাত্রদলের সমাবেশ চলছে
বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়ে তার দলের এমন পর্যবেক্ষণের কারণ ব্যাখ্যা করে নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, নির্বাচন কমিশন এখন এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করছে, যেখানে কেউ যদি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণে অংশ নিতে চায়, তাহলে তারা (ইসি) সেই প্রক্রিয়ায় বাধা দিচ্ছে।
‘দ্বিতীয়ত, আমরা যতই এই নির্বাচন কমিশনকে দেখি, ততই বুঝতে পারি এটি একটি মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন। তৃতীয়ত, নির্বাচন কমিশন এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রাপথের দিশা দেখাবে—কিন্তু যতটুকু এখন পর্যবেক্ষণ করছি, আরও দিন দিন আমরা দেখতে পাচ্ছি এটার (নির্বাচন) অধিকাংশ অঙ্গ জুড়ে হলো সামরিক উর্দি পরা পোশাকে এবং বাকি যতটুক আছে সেটা আবার দলীয় পোশাকে আবৃত্ত।’
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সমস্যাগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরছে তাদের দল এবং এই কমিশনের ‘মেরুদণ্ডহীনতা’ ধীরে ধীরে জাতির সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
এক প্রশ্নের জবাবে এনসিপি নেতা বলেন, ‘আমরা তাদের (নির্বাচন কমিশন) সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছি, কথা বলছি, তাদের ভুলগুলো দেখিয়ে দিচ্ছি এবং সংশোধনের সুযোগ দিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি সামরিক উর্দি পরে দলীয় উর্দি পরে তার মেরুদণ্ড বিকিয়ে দিতে চায় এবং ভোট না দিতে চায়, তাহলে এনসিপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হতে পারে।
শেষে নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘আমরা তাদের এখনও সুযোগ দিচ্ছি, তাদের সে শুভোদয় হোক এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আসুক। ভোট নেওয়ার প্রক্রিয়া তারা শুরু করুক, যেন বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা সচেষ্ট হয়।’
১২৩ দিন আগে
ছয় মাসে ৯ লাখের বেশি এনআইডি সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তি: ইসি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গত ছয় মাসে বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রামের আওতায় ৯ লাখেরও বেশি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তি করেছে।
বুধবার (২ জুলাই) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রামের আওতায় গত ছয় মাসে আমরা ৯ লাখ সাত হাজার ৬৬২টি এনআইডি সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তি করেছি।’
ক্র্যাশ প্রোগ্রামের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে ইসি সচিব আরও বলেন, ‘বর্তমানে মাত্র ৭৬ হাজার ৬৯৪টি এনআইডি সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এনআইডি সেবা সংক্রান্ত জনগণের ভোগান্তি কমেছে।’
আরও পড়ুন: জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে একটি ‘সনদের’ জায়গায় পৌঁছানোর আশা আলী রীয়াজের
‘চলতি বছরের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৮০৬টি এনআইডি সংশোধনের আবেদন জমা ছিল। এরপর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত আরও ৬ লাখ ৫ হাজার ৫২০টি নতুন আবেদন জমা পড়ে,’ যোগ করেন তিনি।
এই ছয় মাসে মোট ৯ লাখ ৮৪ হাজার ৩৫৬টি আবেদন জমা পড়ে, যার মধ্যে ৯ লাখ ৭ হাজার ৬৬২টি নিষ্পত্তি হয়েছে এবং ৭৬ হাজার ৬৯৪টি এখনও নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান তিনি।
ইসি সচিব বলেন, ‘যত দ্রুত আবেদন নিষ্পত্তি হচ্ছে, তত দ্রুত হয়রানি ও ভোগান্তির অভিযোগও কমছে।’
তিনি আরও জানান, ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ইসিতে মোট ৫৪ লাখ ৭৬ হাজার ১১টি সংশোধনের আবেদন জমা পড়েছে, যার মধ্যে ৫৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪২০টি এরমধ্যেই নিষ্পত্তি হয়েছে।
১৫৫ দিন আগে
পরিচ্ছন্ন ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথ তৈরি করবে ইসির পোস্টার নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রচারে পোস্টার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির এই সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। পরিবেশ দূষণ রোধে এই সিদ্ধান্ত সহায়ক হবে বলেও মন্তব্য করেন তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, কাগজ বা পোস্টার ব্যবহারে বন উজাড় হয়, তাছাড়া বর্ষার মৌসুমে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত ওই প্লাস্টিকের প্রলেপ দেওয়া পোস্টারগুলো পয়ঃনিষ্কাশন ও জলপথ বন্ধ করে দিয়ে পরিবেশ দূষণের কারণ হয়।
এর আগে, গত ১৯ জুন রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য প্রণীত ২০২৫ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধির খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় ইসি। এতে নির্বাচনী প্রচারে পোস্টার ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে এই সুপারিশ করা হয়।
তবে প্রথমবারের মতো এই আচরণবিধিতে বিলবোর্ড ব্যবহারের অনুমতি রাখা হয়েছে।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. আবদুল আলিম জানান, পোস্টার নিষিদ্ধ করার পেছনে চারটি প্রধান কারণ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে— পরিবেশগত ক্ষতি, অশোভন প্রচারপদ্ধতি, অনিয়ন্ত্রিত ব্যয় ও পোস্টার ঘিরে সংঘর্ষজনিত সহিংসতা।
আরও পড়ুন: নতুন ভোটারদের নিবন্ধনের সময়সীমা নির্ধারণের ক্ষমতা চায় ইসি
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘পোস্টার ব্যবহার একটি অশোভন পদ্ধতি, যা বিশ্বের অধিকাংশ দেশে দেখা যায় না— এমনকি ভুটান নামক ছোট দেশেও না। এখন আমাদের কাছে বিকল্প রয়েছে, যেমন: সোশ্যাল মিডিয়া ও বিলবোর্ড।’
ড. আলিম বলেন, প্রচলিত পোস্টার বন উজাড়ে ভূমিকা রাখে এবং লেমিনেটেড ও পলিথিনের প্রলেপ দেওয়া পোস্টার পরিবেশ দূষণ ঘটায়।
তিনি আরও বলেন, ‘পোস্টারের সংখ্যা নির্বাচন কমিশনের নজরদারির আওতায় আনা যায় না। আর নির্বাচনকালে পোস্টার নিয়ে বিরোধ থেকেই অনেক সহিংস ঘটনার সূত্রপাত হয়।’
পরিবেশ ও সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা (ইএসডিও) এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে আনুমানিক ২৭ হাজার টন প্লাস্টিকের আবরণ দেওয়া পোস্টার ও কার্ড ব্যবহার করা হয়েছিল।
ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহী শহরের ছাপাখানাগুলো নিয়ে পরিচালিত এক জরিপের ভিত্তিতে এ হিসাব করা হয়।
ইএসডিওর মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারে পোস্টার ব্যবহারের প্রবণতা কোনো সভ্য দেশে দেখা যায় না। এত বিপুলসংখ্যক পোস্টার ব্যবহার শুধু বিশৃঙ্খলাই সৃষ্টি করে না, এটি একদিকে অর্থের অপচয়, অন্যদিকে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি।’
পরিবেশবিদ অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, অতীতে লেমিনেটেড পোস্টার নিষিদ্ধ করা হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে ব্যাপক প্লাস্টিক বর্জ্য সৃষ্টি হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের পোস্টার নিষিদ্ধের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের এই চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটি পোস্টার ঘিরে যে সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়, তা রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’
আরও পড়ুন: নিবন্ধনের শেষ দিনে নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিড়
তিনি বলেন, ‘প্লাস্টিকের প্রলেপ দেওয়া পোস্টারগুলো নগর এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা বন্ধ করে জলাবদ্ধতা বাড়ায়। আর সেগুলো পুড়িয়ে ফেলা হলে বায়ু দূষণ বাড়ে।’
নির্বাচনী প্রচারে পোস্টার ব্যবহারে বিপুল পরিমাণ কাগজের প্রয়োজন হয়, যা সরাসরি বন উজাড়ে সহায়তা করে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘যদি এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে বাংলাদেশে একটি পরিচ্ছন্ন প্রচার সংস্কৃতির সূচনা হতে পারে।’
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরও নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত গাছ বাঁচাবে এবং কাগজ তৈরির সঙ্গে যুক্ত রাসায়নিক দূষণ কমাবে, ফলে পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব হ্রাস পাবে।
১৫৬ দিন আগে
নির্বাচনের প্রস্তুতি: ইসি ও সুশীল সমাজের সঙ্গে কাজ করছে ইইউ
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও সুশীল সমাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
রবিবার (২২ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকায় ইউরোপীয় দূতাবাস এমন তথ্য জানিয়েছে।
ইইউ দূতাবাস বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশের জন্য আরও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্মাণে সুশীল সমাজকে ক্ষমতায়নে কাজ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি ও এর অংশীদাররা।
ইউরোপীয় পার্টনারশিপ ফর ডেমোক্রেসির (ইপিডি) সহায়তায় এর অংশীদার সংগঠন আনফারেল ১৮ থেকে ২০ জুন ঢাকায় তিনদিনব্যাপী একটি ওয়ার্কশপের আয়োজন করে। এর বিষয়বস্তু ছিল নাগরিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে নতুন প্রস্তাবে তিনটি বাদে সব দল একমত: জোনায়েদ সাকি
ইইউ দূতাবাস জানায়, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সক্রিয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে সব অংশগ্রহণকারী একমত পোষণ করেছেন।
নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের জন্য সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রণয়নে সহযোগিতা এবং এতে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালনের কথা স্বীকার করেছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন।
১৬৫ দিন আগে
সাবেক সিইসি-কমিশনারদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি
বিএনপি দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন তদারকিকারী সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে যাচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিএনপির প্রতিনিধিদল রবিবার (২২ জুন) সকালে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিনিধিদল প্রথমে সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশন অফিসে অভিযোগের একটি কপি জমা দেবেন এবং তারপর থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করবেন।
পড়ুন: দেশের অর্থ লুটপাট করে সুইস ব্যাংকে জমা: আ. লীগের সমালোচনা মির্জা ফখরুলের
শায়রুল বলেন, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। যেসব নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কারচুপি, ত্রুটিপূর্ণ এবং অন্যায্য বলে দাবি করে আসছে বিএনপি।
এর আগে ১৬ জুন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক সিইসি, নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্তের জন্য অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।
বিএনপি অভিযোগ করেছে যে, নির্বাচন কমিশন ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে একতরফা নির্বাচন পরিচালনায় আওয়ামী লীগকে সহায়তা করেছে। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং নির্বাচনের সময় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিরোধী দলের দাবি উপেক্ষা করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে তাদের।
২০১৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় নির্বাচন বিএনপিসহ বেশিরভাগ বিরোধী দল বর্জন করেছিল। ৩০০ আসনের অর্ধেকেরও বেশি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছিল, যা নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তৎকালীন কমিশনের নেতৃত্বে ছিলেন সিইসি কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে, বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দল অভিযোগ করেছিল যে, ভোটগ্রহণের আগের রাতে ব্যালট ভর্তি করা হয়েছিল। সেই নির্বাচনের তত্ত্বাবধান করেছিলেন সিইসি কেএম নূরুল হুদা।
বিএনপি ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকেও প্রত্যাখ্যান করেছিল, দলটি অংশগ্রহণ না করায় এটিকে ‘ডামি নির্বাচন’ বলে অভিহিত করেছিল। সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সেই কমিশনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
১৬৬ দিন আগে
নির্বাচন যখনই হোক, ইসিকে প্রস্তুত থাকতে হবে: সিইসি
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যখনই অনুষ্ঠিত হোক না কেন; নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) প্রস্তুত থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম মো. নাসির উদ্দিন।
রবিবার (১৫ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব বলেন।
সিইসি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কি না, এ বিষয়ে এখনও সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। আমি এই মুহূর্তে আমাদের প্রস্তুতির দিকেই পুরো মনোযোগ দিচ্ছি।’
‘সরকার যদি আলোচনা করে, তাহলে আমরা আরও স্পষ্ট ধারণা পাব এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারব,’ যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারের কোনো টানাপোড়েন ছিল না: পরিবেশ উপদেষ্টা
সরকার থেকে কোনো ইঙ্গিত পেলেই কমিশন কাজ শুরু করতে প্রস্তুত বলেও জানান নাসির উদ্দিন।
সিইসি আরও জানান, নির্বাচনের সময়সূচি চূড়ান্ত করার আগে সরকারের সঙ্গে আলোচনা হবে এবং ভোটের প্রায় দুই মাস আগে নির্বাচনসূচি ঘোষণা করা হবে।
এ সময় কর্মকর্তাদের রাজনীতিতে জড়িত না হওয়ারও অনুরোধ জানান তিনি। সিইসি বলেন, ‘আমি কর্মকর্তাদের রাজনৈতিকভাবে সচেতন থাকতে বলেছি, কিন্তু রাজনীতিতে জড়াতে না বলেছি। আমরা নির্বাচনে নিরপেক্ষ রেফারি।’
১৭২ দিন আগে