গোয়েন্দা পুলিশ বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেনবাগ ও সদর উপজেলায় পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- আওয়ামী লীগ ইউনিয়ন ইউনিটের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চরজুবলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য রুহুল আমিন এবং বাচ্চু মিয়া। পুলিশ সুপার মো: ইলিয়াছ শরীফ জানান, বুধবার মধ্যরাতে সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে একটি পোল্ট্রি ফার্ম থেকে রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।
পরে শেনবাগ উপজেলায় আরেকটি অভিযান চালিয়ে একটি ইটভাটা কারখানা থেকে বাচ্চু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর মধ্য দিয়ে আলোচিত ওই গণধর্ষণের ঘটনায় সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে গোয়েন্দা পুলিশ মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার দুপুরে পৃথক দুইটি অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা জেলা থেকে মামলার প্রধান আসামি সোহেলকে ও লক্ষীপুর উপজেলা থেকে অপর আসামি মো. স্বপনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত রবিবার রাতে চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের সোহেল, হানিফ, স্বপন, চৌধুরী, বেচু, বাসু, আবুল, মোশারেফ ও ছালাউদ্দিন ৪০ বছর বয়সী চার সন্তানের নারীর বসতঘর ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে তারা ওই নারীর স্বামী ও ছেলে মেয়েদের বেঁধে রেখে তাকে ঘরের বাইরে নিয়ে গণধর্ষণ করে ও পিটিয়ে আহত করে।
পরদিন ওই নারী ও তার স্বামীকে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী সিরাজ উদ্দিন বাদী হয়ে নয়জনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনাটিকে সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখছে জানিয়ে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হবে বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার সচিবালয়ে এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনার ব্যাপারে শুনেছি। এ ধরনের ঘটনা অবশ্যই নিন্দনীয় এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অপরাধী যেই হোক শাস্তি তাকে পেতেই হবে। এ ব্যাপারে আমাদের নেত্রীর মনোভাব আমি জানি। অপরাধীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’
ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত হোক, কেউ পার পাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন আওয়ামী লীগ নেতা।