বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মতিয়ার রহমান এ আদেশ দেন। তবে রায় ঘোষণার সময় গাজী ওয়াহিদুজ্জামান আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
আসামি গাজী ওয়াহিদুজ্জামান বিআরডিবি এর পিইপি কর্মসূচির ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার মাঠ সংগঠক ছিলেন। তিনি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ধলইতলা গ্রামের বাসিন্দা।
দুদকের পিপি শেখ কুবাদ হোসেন জানান, আদালতের রায়ে গাজী ওয়াহিদুজ্জামানকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৮৬০ সালের ৪০৯ ধারায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি করার দায়ে ৮ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এর পাশাপাশি তাকে নগদ ১ লাখ ৯৩ হাজার ৫২১ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে দোষী সাব্যস্ত করে ৭ বছর সশ্রম করাদণ্ড এবং নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তবে আসামিকে সব সাজা একসাথে ভোগ করতে হবে বলে জানান তিনি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গাজী ওয়াহিদুজ্জামান বিআরডিবি এর পিইপি কর্মসূচির ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার মাঠ সংগঠক হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন গ্রাহকদের কাছ থেকে উত্তোলন করা ঋণের কিস্তি ও সঞ্চয় বাবদ ১ লাখ ৯৩ হাজার ৫২১ টাকা জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। এ ব্যাপারে ২০১৫ সালের ৫ নভেম্বর দুদক ফরিদপুরের তৎকালীন উপসহকারী পরিচালক প্রবীর কুমার দাস বাদী হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।